কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা নগদে, চিন্তামুক্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিতরণ করা হবে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে। আগে থেকেই এর একটি বড় অংশ নগদের মাধ্যমেই এই সহায়তা পেয়ে আসছিল।
তবে এবার বিভিন্ন জায়গায় না রেখে সব শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা এক জায়গায় করায় অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের আওতায় এককালীন ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব দ্রুতই এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও ভেতরে ভেতরে নানান বিশৃঙ্খলা থেকেই গিয়েছিল। সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু মাত্র নগদের মাধ্যমে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মান্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এতোদিন নগদসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং ব্যাংকের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই সহায়তা। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “সহায়তার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন এবং যাচাই বাছাই করাই আমাদের জন্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছি। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যেহেতু সফলবাবে নগদের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে সে কারণে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে।”
একদিকে শিক্ষার্থীরাও নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের ওহাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান জানায়, এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়েছে সে। ফেলে নগদের ওপরে তার এক রকম বাড়তি আস্থা তৈরী হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তারা দেখেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার বিভিন্ন রকম হওয়ায় তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন পন্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার এই অর্থ বিতরণ করে থাকেন। আর একেক প্রতিষ্ঠান একেক পদ্ধতিতে কাজটি করায় তাদের জন্যে এ এক বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যেই নগদের স্মরণাপন্ন হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে আবার গ্রাহক সংখ্যায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয় কোটির ওপর নিবন্ধিত গ্রাহক আছে তাদের। সারা দেশে রয়েছে পৌনে তিন লাখ এজেন্ট পয়েন্ট। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় টাকা উত্তোলন করাও সম্ভব। এ কারণেই সরকার তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা বিতরণে পছন্দ করে থাকতে পারে বলে জানান নগদের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
“গত কয়েক বছরে সরকারের ভাতা ও সহায়তা বিতরণ পক্রিয়াকে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে এনেছি। আমাদের ধারে কাছেও এখন আর কেউ নেই। এ কারণেই হয়তো সরকারি সংস্থাগুলো নগদের সেবাই বারবার নিতে চাইছে,” বলেন নগদের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল।
“প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহায়তা বিতরণ একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প। সেটিও নগদকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে। আর নগদের খরচ তো সব সময়ই অনেক কম। এসবই নগদকে সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে,” বলেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তি–সহায়তা পেতে তখন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে বলা হয়।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্যে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেখান থেকেই প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চা মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানব উন্নয়ন সূচক, মাথাপিছু জিডিপি এবং উচ্চ আয়ের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বিশ্বের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর একটি। দেশটির জেনারেল হাসপাতালও রয়েছে খ্যাতনামা হাসপাতালের তালিকায়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানব উন্নয়ন সূচক, মাথাপিছু জিডিপি এবং উচ্চ আয়ের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল বিশ্বের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির জেনারেল হাসপাতালও রয়েছে খ্যাতনামা হাসপাতালের তালিকায়। বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ এবং জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড ওয়ালটন-এর এয়ার কুলড স্মার্ট ইনভার্টার চিলার। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্রে এক বিরাট মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে, স্থানীয় বাজারের মতো বৈশ্বিক বাজারেও বাড়ছে ওয়ালটন এসির গ্রাহকপ্রিয়তা ও চাহিদা। ওয়ালটন এসির টেকসই গুণগতমান, এআই ও আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি এবং ফিচার বৈশ্বিক ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে দ্রুত। ফলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশগুলোর বাজারে সম্প্রসারণ হচ্ছে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট লিমিটেড এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশটিতে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের প্রসেস কুলিং এ ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার স্থাপন করেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালেও স্থাপন করা হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার।
চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান জানান, এক সময় সিঙ্গাপুর থেকে এসির বেসিক কাঁচামাল আমদানি করা হতো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন বাংলাদেশ থেকে ভিআরএফ, চিলারের মতো সর্বাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশটির খ্যাতনামা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য সুউচ্চ ভবনগুলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে ইন্সটল করা হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের চিলার ও ভিআরএফ সিস্টেম। এটা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত সম্মানের ও গর্বের বিষয়।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন শুধু দেশের একমাত্র ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই নয়; ভিআরএফ উৎপাদনকারী বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি উৎপাদন শিল্পে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। এছাড়া রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন খাতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে এআই, আইওটি বেজড উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক এনার্জি ইফিশিয়েন্ট স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
ওয়ালটন ভিআরএফ সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে বিপিএইচই (Brazed Plate Heat Exchanger) প্রযুক্তি, যা কুলিং দক্ষতা বাড়ায়। এতে রেফ্রিজারেন্ট পিসিবি কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিস্টেমের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। সিস্টেমটি সর্বোচ্চ ১৩০% কম্বিনেশন রেশিও ও ১০০ মিটার পর্যন্ত পাইপিং লেন্থ সমর্থন করে, যা বড় ভবন বা জটিল প্রকল্পের জন্য আদর্শ। অটো ডাস্ট রিমুভাল এবং লোড শেয়ারিং প্রযুক্তি পণ্যের স্থায়ীত্ব ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও টেন স্টেজ অয়েল কন্ট্রোল কম্প্রেসর দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
ওয়ালটন চিলারের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ইনভার্টার কম্প্রেসর, স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম (পিএলসি ও টাচ স্ক্রিন), কম শব্দে অপারেশন এবং স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর সহজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা। উচ্চ গুণগতমান এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় ওয়ালটন এসি অর্জন করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সার্টিফিকেট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ISO 14001, ROHS, ISO 45001, CE, এবং BSTI। এছাড়াও ওয়ালটন এসি নাসদাত-ইউটিএস (NUSDAT-UTS) অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়, যা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও গুণগতমান নিশ্চিত করে।
স্থানীয়ভাবে উন্নতমানের ভিআরএফ ও স্মার্ট ইনভার্টার চিলার উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন শুধু দেশের এয়ার কন্ডিশনার শিল্পকেই শক্তিশালী করে তুলছে না; বিশ্ববাজারে কমার্শিয়াল এসি রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগও সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো- বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১’শটিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশেরই এই টেক জায়ান্ট। ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
শরীয়তপুরের উত্তর তারাবুনিয়ায় নুসার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে নড়িয়া উন্নয়ন সমিতি (নুসা) সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ মেডিকেল ক্যাম্পে তিন শতাধিক রোগীকে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. খোরসেদ আলম, স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. তন্ময় পদ্দার, ডা. মো. শামীম আহসান, উত্তর তারাবুনিয়া ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা মাদবর, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মেহেদী হাসান সীপন।
নুসার উদ্যোগে প্রতি তিন মাস অন্তর বিশেষজ্ঞ তিনজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এবারের ক্যাম্পে গাইনী, মেডিসিন ও চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত থেকে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। ক্যাম্পে চোখের ছানি পরীক্ষা, গাইনী ও মেডিসিন পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা- সেবা প্রদান করা হয় হয়।
এছাড়া চোখের ছানি রোগী বাছাই করে তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থাও করা হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান নুসা জানায়, এলাকার সাধারণ জনগণ যেন সহজে চিকিৎসা সেবা পায়— এ লক্ষ্যেই নিয়মিতভাবে এ ধরনের বিনামূল্যের মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়ে থাকে।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অসহায় ও গরিব জনগণ, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জানান— এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ধারাবাহিকতা যেন সবসময় বজায় থাকে, যাতে গরিব ও অসহায় মানুষ ঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের নতুন সিএফও হলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

প্রাইম ব্যাংক পিএলসির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের (এফএডি) প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ২০০৫ সাল থেকে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আইসিসিডি বিভাগের প্রধান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান এবং ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রাস্ট ব্যাংক, পিকেএসএফ ও প্রাইম ব্যাংকসহ প্রায় ২৫ বছরের বহুমাত্রিক পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
তিনি একজন ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ)। প্রাইম ব্যাংক তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণে আন্তরিক অভিনন্দন জানায় এবং ব্যাংকের আর্থিক উৎকর্ষতা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা এগিয়ে নিতে তার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছে।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
সাতক্ষীরার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ

সাতক্ষীরার প্রান্তিক কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ইনস্ট্যন্ট লোন বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট (এফআইডি) পরিচালিত ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা হিসাবধারীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় এ লোন বিতরণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সাতক্ষীরায় আয়োজিত এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক কৃষক, নিম্ন আয়ের ব্যক্তি, ছোট ব্যবসায়ী ও স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারীদের তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধা প্রদান করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত এই উদ্যোগটি প্রান্তিক অঞ্চলের ব্যক্তিদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারের লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিড ব্যাংক হিসেবে এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে, যেখানে অংশ নেয় এই অঞ্চলে পরিচালিত আরও ৩৬টি ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধাভোগীদের একই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে এই উদ্যোগটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো ৫০০ জন ঋণগ্রহীতার মাঝে মোট ৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ১৩১ জন ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জেলের মাঝে ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করে।
এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ইকবাল মহসীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধি, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমকর্মী, গ্রাহক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মাত্র ৭ শতাংশ ইন্টারেস্ট রেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ‘জীবিকা প্লাস’ ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ করে। জামানতবিহীন এই ডিজিটাল লোন মাত্র কয়েক মিনিটেই প্রসেস করা হয়, যা ব্যাংকটির গ্রাহকবান্ধব সেবার প্রতিফলন। আয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
এই উদ্যোগটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।