জাতীয়
স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি ড. মোমেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
গবেষণা সংগঠন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ২০২৪-২৮ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ)বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক লাউন্সে এক বিশেষ সাধারণ সভায় এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড.মাহবুবুর রহমান লিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় বিগত কমিটির সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর। সভার আলোচ্যসূচী অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে চলতি কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরীর কাছে ১৫টি পদে ১৫টি মনোনয়ন পত্র জমা পরে। কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিটিজেন রিসার্চ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও গবেষক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর।
ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড.মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড.মাহবুবুর রহমান লিটু সাংগঠনিক ও অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মিল্টন বিশ্বাস শিক্ষা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড.এ এস এম আলী আশরাফ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দও, সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর সম্পাদক ও প্রকাশক ড.খান আসাদুজ্জামান, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ কোম্পানীর সিইও মান্না সোম, ঢাকা বিশ্বনিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর ড.শিল্পী রাণী সাহা।
উল্লেখ্য,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ট্রাস্ট আইনের অধিনে নিবন্ধিত এই গবেষণা সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর সঠিক তথ্য নির্ভর গবেষণা করে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে নাগরিক মতামত গ্রহণ ও প্রদানের লক্ষে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.হারুন-অর-রশীদ। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের আগামী ২০ মার্চ প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পুর্ণ হবে। ৮ বছরের পথ চলায় বিএসটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ২৭টি গবেষণা পত্র তৈরী করে ২৭ টি তথ্য নির্ভর নাগরিক সংলাপ করতে সক্ষম হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ বুধবার (৮ মে)। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। ‘জীবনের ক্ষমতায়ন, অগ্রগতি আলিঙ্গন: সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সহজলভ্য থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে বিশ্বব্যাপী এবারের থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা যেহেতু তাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। বাবা ও মা উভয়েই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে, তাদের সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ থ্যালাসেমিয়ার রোগী হতে পারে, যার ফলে এক বছর বয়স থেকে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং প্রায় প্রতি মাসেই নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয় তাদের স্বাভাবিক বয়োবৃদ্ধির জন্য।
চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়ার বাহকেরা রোগী নয়, শুধু এ রোগের আংশিক ক্রুটিপূর্ণ জিন বহন করেন। ফলে তাদের স্বল্পমাত্রায় রক্তশূন্যতা থাকতে পারে। বাহ্যিকভাব তাদের কোনো লক্ষণ থাকে না, ফলে বাহক শনাক্ত করতে প্রয়োজন হিমোগ্লোবিন-ইলেকট্রোফরেসিস পরীক্ষা।
যেহেতু বাবা-মা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে সন্তানদের ঝুঁকি তৈরি হয় সেহেতু থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করার জন্য দুজন বাহকের মধ্যে বিবাহ বর্জন করা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়ার বাহকদের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তারা আয়রন জাতীয় খাবারসহ সব ধরনের খাবার স্বাভাবিক মাত্রায় খাবেন দেহের চাহিদা পূরণের জন্য। অনেকে আয়রন জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বর্জন করেন, যার কারণে সহজেই তারা রক্তশূন্যতায় ভোগেন ও দুর্বল হয়ে পড়েন।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১৪ জনে একজনের থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে আর ৭০ হাজারের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ছয় হাজার শিশু বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। ইন্টারন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া ফেডারেশনের (টিআইএফ) তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছেন। এছাড়াও প্রতিবছর কমপক্ষে ৩ লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন করে সাত হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতি মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্তশূন্যতায় মারা যায়। বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক নিশ্চিত হয়ে উভয় বাহকের বিবাহ বর্জনের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার কমানো সম্ভব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চতুর্থ মেয়াদে পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের ১৩৯ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ৫ উপজেলার ৮ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী।
উপজেলাগুলো হলো, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর।
এছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসি। এছাড়া উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।
উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি’র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটগ্রহণের আগের দুদিন থেকে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরের দুদিনসহ মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।
ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিমে রয়েছেন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য।
অন্যদিকে র্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন৷ আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা
নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যানচলালে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি। সেই অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের তিনদিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছেন। এছাড়া ভোটগ্রহণের দুদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছেন।
প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোটকক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশ উন্নত হবে: পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাক শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এ শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এ শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। বলা যায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে এদেশের পোশাক শিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক পরিধান করেন।
পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী অনুরোধ করে বলেন, নিরাপদ ও কমপ্লায়েন্ট পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে সোর্সিং ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নেবেন এবং পোশাকের যথাযথ মূল্য বা ফেয়ার প্রাইস দেবেন। আফ্রিকার কোনো নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে সেটি স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এদেশের উদ্যোক্তারা নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এবার দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপে ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।
হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এ সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
২০০০ সাল থেকে দুই বছর ব্যবধানে আইওএম বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সাধারণত, এই প্রতিবেদন জেনেভা থেকে প্রকাশ করা হয়। এবারই প্রথম এটি ঢাকায় প্রকাশিত হলো।
আইওএম মহাপরিচালক প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।
পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। অ্যামি বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে, যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।