অন্যান্য
৬-১৬ এপ্রিল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ
ঈদুল ফিতরের সময় নৌপথে দুর্ঘটনায় এড়াতে ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১৩ মার্চ) ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া আগামী ৬ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবহাওয়া সংকেত অনুসরণ করে লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। ঈদুল ফিতর কালবৈশাখি মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। রাতের বেলায় সবধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেসবিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক বা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। ঈদের আগে ৫ দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সব যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগনমকারী সব যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল পরিবহন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদুল আজহা, ২০২৩ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বশেষ প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করে সর্বশেষ চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এখানে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শরীয়তপুরের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-২-এর কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন।
সেতু উপদেষ্টা বলেন, ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে ৫৩০ কোটি টাকা, নদী শাসনে ৮০ কেটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এড়িয়ায় ১৭৮ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ১০৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য সব ব্যয় মিলিয়ে ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন অনিয়মের ফলে যে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে, তা নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু সংখ্যাগত উন্নয়ন হলেই হবে না, গুণগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি মূলত খুলনা যাচ্ছি রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করতে। খুলনার রূপসায় ৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ নাই। কিন্তু উন্নয়ন দেখানো হয়েছে, বিভ্রান্ত করা হয়েছে যে জিডিবি বাড়ছে, গ্রোথ বাড়ছে। কিন্তু এ গ্রোথ তো কাজের না। যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তো এ গ্রোথ একটা সংখ্যা মাত্র । এশিয়ান ডেপলোপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে লোন নিয়ে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিপুল অঙ্কের ব্যয় তো দেশের জনগণকে পরিশোধ করতে হবে। রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পরিদর্শন শেষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছিলেন ব্যয় কমানোর জন্য। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনবো। এর মানে, একই কাজ কমমূল্যে করবো। এর ফলে যেটা হবে—একই টাকা দিয়ে আমরা বেশি পরিমাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের এখানে যদি ভালো সরকার থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা পদ্মাসেতু অনেক কম ব্যয়ে করতে পারতাম।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মুনজুর হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইফুদ্দিন গিয়াসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটে বন্ধ রয়েছে ৭ ট্রেন
দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা-চট্রগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল চারদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার রাত থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ রুটের দুইটির মধ্যে এখন একটি লেনের সচল রয়েছে। অন্যটি সংস্কারের কাজ চলছে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে ৭টি ট্রেন। সেগুলো হলো- সূবর্ণ এক্সপ্রেস, উদয়ন, চট্টলা, মহানগর, মেঘনা, কক্সবাজার ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এর আগে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে রেললাইন পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে একটি লেনে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের চারটি ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। আরও চারটি ট্রেন এ স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী ছেড়ে যাবে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮ টায় ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০ টায় ছেড়ে গেছে। এছাড়া বিকেল ৩ টায় মহানগর গোধুলি ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বিকেল ৪টার কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৪টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাড়ে ৫টায় নাজিরহাট লোকাল ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চাদঁপুরের উদ্দেশ্যে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসও। রাত ১১টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। এরপর ১১টা ৩০ মিনিটে তৃর্ণা নিশীতা ও ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকাগামী মেইল ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বেলা ১২টার দিকে হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। রাত পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রাত থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আপাতত এক লেনে ট্রেন চলছে। আরেকটি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি সংস্কারের কাজ চলছে। মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক ভাবে সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে। বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় ওই দিন দুপুর থেকে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দুটি লেন আছে। স্রোতে একটি লেন (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লেন) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যটি (ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী ডাউন লেন) তুলনামূলক কম। এটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আজ থেকে সবকটি ট্রেন চলাচল করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
৩৭ দিন পর চালু হলো মেট্রোরেল
৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার থেকে যাত্রী সেবা দেওয়া শুরু করেছে মেট্রোরেল। আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে গতকাল ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মেট্রোরেল ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) দেওয়া হয়েছে। রোববার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ডিএমটিসিএল-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে। তবে, অনিবার্য কারণবশত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে আপাতত মেট্রোরেল থামবে না এবং যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
প্রকাশিত সময় সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো রেল দুটিতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে। রাত ৯টা ১৩ মিনিটের পর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রো রেলসমূহে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে। মেট্রোরেল স্টেশন হতে সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সিঙ্গেল জার্নি টিকিট ক্রয় করা যাবে। একই সঙ্গে এমআরটি পাস ক্রয় এবং এমআরটি পাস টপ আপ করা যাবে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটের পর মেট্রোরেল স্টেশনসমূহের সব টিকিট বিক্রয় অফিস এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রো লাইনের নিচের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই ট্রেন ছুটে যায়। পরে জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরদিন ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ওইদিন পল্লবী ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করতেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বন্যায় বিদ্যুৎহীন সোয়া ৯ লাখ গ্রাহক
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যার কারণে ৯ জেলার মোট ৯ লাখ ২৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ফেনীর মোট ১৭টি সাবস্টেশনের সবগুলোই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে সেখানকার ৪ লাখ ৪১ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন।
অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এই জেলাগুলোতে কোনো সাবস্টেশন বন্ধ করা হলেও, ৯০৫টি ফিডারের (ডিস্ট্রিবিউশন লাইন, যা সাবস্টেশন থেকে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে) মধ্যে ১০৭টি অফলাইনে নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, নোয়াখালীতে ২ লাখ ১৮ হাজার, কুমিল্লায় ১ লাখ ৫২ হাজার, চট্টগ্রামে ৭৮ হাজার এবং লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাজার গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সিএসইর চেয়ারম্যানসহ সকল স্বতন্ত্র পরিচালকদের পদত্যাগ
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালকরা পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগ সংক্রান্ত চিঠি পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও স্বতন্ত্র পরিচালকরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। সিএসইর এক কর্মকর্তা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম স্বতন্ত্র পরিচালকেরা মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ ও হার্ডকপির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকদের মৌখিকভাবে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
বিএসইসির জারি করা আদেশে বলা হয়েছিলো, সিএসইর চেয়ারম্যানসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালককে এবং ডিএসইর সব স্বতন্ত্র পরিচালককে পদত্যাগ করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর বিএসইসি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এসএম