Connect with us

অর্থনীতি

সম্পদের সীমাবদ্ধতায় অপরিহার্য না হলে দেশীয় অর্থায়নে প্রকল্প নয়

Published

on

ব্লকে

সম্পদের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেখে একান্ত অপরিহার্য এবং উচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত না হলে দেশীয় অর্থায়নে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি)। এনইসি সভায় এটাসহ মোট ১৫টি নির্দেশনা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

এনইসি সভা জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পসমূহ আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য নতুনভাবে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে এবং আরএডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প সংখ্যা সীমিত রাখার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষ প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বহির্ভূত অন্য প্রকল্পের প্রস্তাবও প্রেরণ করা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ করে দারিদ্র নিরসন, কর্মসংস্থান সৃজন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন, জেন্ডার সংবেদনশীলতা, আয় বৈষম্য হাস, সামাজিক সুরক্ষা, ঝুঁকি সচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রকল্প কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জারিকৃত গ্রিন ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভলপমেন্ট গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক তহবিল থেকে অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যে সব প্রকল্প প্রতিবেশগত সঙ্কটাপূর্ণ এলাকায় বাস্তবায়ন হবে সেসব প্রকল্পের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ (সংশোধনীসহ) এবং প্রতিবেশগত সঙ্কটাপূর্ণ এলাকা বিধিমালা, ২০১৬ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রকল্প নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় চিহ্নিত প্রকল্পকে সম্পদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রসমূহ অর্জন অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করতে হবে। যেসব বিনিয়োগ প্রকল্পের সম্ভাব্য সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে সেসব প্রকল্প নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সে ক্ষেত্রে সমীক্ষা প্রতিবেদনের সার-সংক্ষেপ ও সুপারিশ প্রকল্প প্রস্তাবের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে এমন প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিহার করতে হবে। সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আবশ্যিকভাবে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় মন্ত্রণালয় বিভাগের জন্য নির্ধারিত প্রাক্কলন প্রক্ষেপণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

যেসব বিনিয়োগ প্রকল্পে সরকারের অর্থায়নের পাশাপাশি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের সংস্থান থাকবে সেসব প্রকল্প নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে বিদ্যমান একই প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মক্ষমতা, কার্যকারিতা ও ভৌগোলিক অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক যৌক্তিকতা বিবেচনায় প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে।

গত বছরের ১ মার্চ অনুষ্ঠিত এনইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করা যাবে না। এছাড়া জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগে উদ্বুদ্ধকরণ/সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তাছাড়া, অননুমোদিত নতুন প্রকল্প প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

এডিপিতে যেসব অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের প্রকল্প দলিল অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সেক্টর বিভাগে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সেসব প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা যাবে।

যেসব প্রকল্পের প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা কমিশনের সেক্টর বিভাগে পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়-বিভাগে ফেরত দেওয়া হয়েছে ওই সব প্রকল্পের প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা কমিশনে পাওয়া যায়নি মর্মে বিবেচিত হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

ব্লকে

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, বাজারে তো কোনো স্বস্তি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও জোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকে। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা তো মুক্তবাজার অর্থনীতি।

বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজার আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রোজার পরে বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ আসছে। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ-সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পায়, সেজন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব। যাতে ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজবে এফবিসিসিআই

Published

on

ব্লকে

রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণকে বেগবান করতে এ খাতের প্রধান বাধাসমূহ চিহ্নিত করবে এফবিসিসিআই। একইসাথে এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সমাধানও খুঁজে কাজ করবে সংগঠনটি। সোমবার (মে ২০) বিকেলে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মো. আমিন হেলালী।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মেহেদী আলী। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক সালমা হোসেন এ্যাশ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আমিন হেলালী বলেন, তৈরি পোশাক ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক শিল্প খাত ভালো করছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের নির্ধারণ করতে হবে কোন খাতগুলো রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, নিজেদের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় জোরদার এবং সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিতভাবে অগ্রসর হওয়ার সময় এসেছে। এসময় ভারতের সেভেন সিস্টার্স, চীন, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশ এবং সম্ভাবনাময় অন্যান্য বাজারে পণ্য রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজে বের করতে কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসার ব্যয় সংকোচন এবং গবেষণা ও উন্নয়নের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

কমিটির চেয়ারম্যান মেহেদী আলী জানান, কমিটির উদ্যোগে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হবে। সেই সাথে, রপ্তানি বহুমূখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণ বিষয়ে একাধিক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে।

খাতভিত্তিক সমস্যাগুলো রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে লিখিত আকারে জমা দিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানা কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সালমা হোসেন এ্যাশ।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে, রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি; কার্গো বিমানের ভাড়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা; দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়ন, বিভিন্ন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস প্রভৃতি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম

Published

on

ব্লকে

ডলারের দাম বাড়লেও আগমী কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসমাল টিটু।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্তে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।

কেন পড়বে না- সেই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।

তিনি বলেন, এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না।

তিনি আরও বলেন, আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।

তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্যা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করবো।

বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো উৎপাদন কিংবা সরবরাহ করি না। আমরা মোটামুটি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের কাছ থেকে সরবরাহ পেয়ে ভোক্তাদের কাছে নিশ্চিত করি। তাদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ যেহেতু খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন না, তাই ঈদের আগে আরেকবার বসবো। সেখানে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবো।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

Published

on

ব্লকে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। মঙ্গলবার (২১ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ মার্কিন ডলার। এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার।

সুপারিশ করা দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার, কমেছে দাম

Published

on

ব্লকে

ডালের পাইকারি বাজার হিসেবে প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। রোজার পরে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় বাজারে তৈরি হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে।

খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।

অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ব্লকে
জাতীয়20 mins ago

সরকারের বোরো ধান-চাল সংগ্রহ তদারকির দায়িত্বে আট কর্মকর্তা

ব্লকে
জাতীয়26 mins ago

দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি

ব্লকে
কর্পোরেট সংবাদ38 mins ago

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ও চট্টগ্রামের ফ্রি হেলথ ক্যাম্প

ব্লকে
জাতীয়51 mins ago

আগামীকাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি

ব্লকে
জাতীয়56 mins ago

পার্বত্য অঞ্চলে স্কুল নির্মাণের সুপারিশ

ব্লকে
পুঁজিবাজার57 mins ago

ব্লকে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন

ব্লকে
জাতীয়1 hour ago

১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

ব্লকে
জাতীয়1 hour ago

দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ব্লকে
অর্থনীতি1 hour ago

ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ব্লকে
জাতীয়1 hour ago

১১২ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক ক্যাবল কিনবে সরকার

ব্লকে
অর্থনীতি1 hour ago

রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজবে এফবিসিসিআই

ব্লকে
জাতীয়2 hours ago

২০ হাজার ভূমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন

ব্লকে
জাতীয়2 hours ago

দুই দিন বিঘ্নিত হবে ডেসকোর প্রিপেইড রিচার্জ সেবা

ব্লকে
জাতীয়2 hours ago

ঢাকায় এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্লকে
জাতীয়2 hours ago

নিখোঁজ এমপি আনারের কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্লকে
খেলাধুলা2 hours ago

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দল পেলেন তাসকিন

ব্লকে
পুঁজিবাজার2 hours ago

চার কোম্পানির লেনদেন বন্ধ বৃহস্পতিবার

ব্লকে
অর্থনীতি2 hours ago

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম

ব্লকে
পুঁজিবাজার2 hours ago

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হলেন কামরুজ্জামান

ব্লকে
জাতীয়2 hours ago

বাংলাদেশিরা ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা

ব্লকে
জাতীয়3 hours ago

রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ২৩ মে

ব্লকে
জাতীয়3 hours ago

চালের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী

ব্লকে
অর্থনীতি3 hours ago

৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

ব্লকে
পুঁজিবাজার3 hours ago

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

ব্লকে
পুঁজিবাজার3 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১