অর্থনীতি
এনইসিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার আরএডিপি অনুমোদন
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দুই লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আরএডিপি অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল এডিপি ছিল দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক অংশে কমছে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর সরকারের অংশে কমছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপিতে যেখানে এক হাজার ৩৪০টি প্রকল্প ছিল, তা সংশোধিত এডিপিতে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৮০টি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এগুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচনমূলক প্রকল্প, সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্প এবং বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প। এ ছাড়া পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর ও পল্লী অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের প্রকল্প অগ্রাধিকার পেয়েছে। আরএডিপিতে নতুন প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে চলমান প্রকল্প শেষ করার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম
ডলারের দাম বাড়লেও আগমী কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসমাল টিটু।
তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্তে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।
মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।
কেন পড়বে না- সেই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।
তিনি বলেন, এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না।
তিনি আরও বলেন, আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।
তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্যা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করবো।
বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।
তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।
তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো উৎপাদন কিংবা সরবরাহ করি না। আমরা মোটামুটি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের কাছ থেকে সরবরাহ পেয়ে ভোক্তাদের কাছে নিশ্চিত করি। তাদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ যেহেতু খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন না, তাই ঈদের আগে আরেকবার বসবো। সেখানে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। মঙ্গলবার (২১ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ মার্কিন ডলার। এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার।
সুপারিশ করা দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার, কমেছে দাম
ডালের পাইকারি বাজার হিসেবে প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। রোজার পরে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় বাজারে তৈরি হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে।
খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।
অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোবাইল, ফ্রিজ ও গ্যাস সিলিন্ডারে বাড়তে পারে ভ্যাট
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় করছাড় কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। কর অব্যাহতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বাজেটেই পর্যায়ক্রমে কর আরোপ করতে চলেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি স্বল্পহারে ভ্যাট দেওয়া ভোগ পণ্যগুলোতেও এর পরিমাণ বাড়াবে। জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ, এসি ও মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বাড়তে পারে। ভ্যাট বাড়তে পারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারেও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বর্তমানে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। এ হার বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। মূল্য সংযোজনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ২ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ। এখানে কিছুটা বাড়তে পারে। মোবাইল ফোনের বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, যা সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ, এটা কিছুটা বাড়তে পারে। উৎপাদন পর্যায়ে পুরোপুরি ভ্যাট অব্যাহতি পাচ্ছে এসি। নতুন বাজেটে এসি উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত রোববার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সিপিডির আয়োজনে এক সংলাপে তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন শিল্পে ভ্যাটে ছাড় রয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন খাতেও ধারাবাহিকভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের বাজার এখন দেশীয় উৎপাদনকারীদের দখলে। ইতোমধ্যে এসব খাত বেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। তাই দেশের স্বার্থে এসব শিল্পে ক্রমান্বয়ে কর আরোপ করা হবে।
তবে ভোক্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার যদি মোবাইল ফোন, এলপিজি সিলিন্ডার, ফ্রিজ বা এসির ওপর ভ্যাট বাড়ায়, তাহলে দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা সেই বোঝা ভোক্তার কাঁধেই চাপাবেন। এতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে তা আরও তীব্র করবে।
ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে কোনো পর্যায়েই কোনো কর বাড়ানো হলে বাড়তি খরচটা ভোক্তাদের ওপরেই পড়বে। তাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। ইলেকট্রনিকস পণ্যকে আর বিলাসদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয় না। তাই কর বাড়ানোরও যুক্তি থাকতে পারে না। বিশেষত, যখন দেশের অর্থনীতির বিবেচনায় বিদ্যমান ভ্যাটের হারই খুব বেশি।
এদিকে ঋণ কর্মসূচির আওতায় করছাড় কমাতে আইএমএফের শর্ত রয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে তিন ধাপে বিদ্যমান সব ধরনের করছাড় বাতিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার
চলতি অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর অল্প কিছুদিন। শেষ সময়ে এসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫.৮২ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলারে। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার।
সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িকী তথ্য প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস বলছে, চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫.৮২ শতাংশ দাঁড়াবে। যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫.৭৮ শতাংশ।
বর্তমানে টাকা হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।