জাতীয়
চিকিৎসকদের গবেষণায় নজর দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
চিকিৎসকদের ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ কমিয়ে দিয়ে গবেষণার প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এন এস টি ফেলসি এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের মাঝে সনদ ও অনুদান প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন। আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা একটা জায়গায় একটু পিছিয়ে আছি, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায়। ডাক্তার সাহেবরা শুধু প্র্যাকটিস করে আর টাকা কামাই করে গবেষণার দিকে বেশি যান না। কি, ঠিক এখানে ডাক্তার আছেন তাই সামনে সামনে জিজ্ঞেস করছি। কিন্তু এখন গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষ যত সুস্থ হবে সবল হবে তারা মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, এরপর থেকে যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা করবে তাদের আরও বিশেষ করে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ কৃষিতে গবেষণা করে আজকে আমরা শুধু খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ না বাংলাদেশে এখন ফলমূল, এমনকি যে টিউলিপ ফুল শীতের দেশ ছাড়া হয় না সেই টিউলিপও বাংলাদেশের হচ্ছে। স্ট্রবেরি ও বাংলাদেশে হচ্ছে এসবই গবেষণার ফসল। গবেষণায় তো আমাদের জন্য নতুন ভাগ্য খুলে দেয়। এজন্য আবারও চিকিৎসকদের কাছে আমি অনুরোধ করব যারা সরকারি চাকরি করছেন তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস একটু কমিয়ে দিয়ে গবেষণার দিকে নজর দিন। আর এরপরে যারা গবেষণা করবেন আমি তো বললাম তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমরা যা করার করব। কিন্তু গবেষণাটা আমাদের খুব দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এই দুটোর গবেষণার ওপর আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য আমি অনুরোধ করব যে এবার আমাদের গুরুত্ব হবে বিজ্ঞান আর স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে। আমরা চাই আমাদের গবেষণায় আরও বেশি সবাই মনোযোগী হবে, আমি জানি গবেষকদের কোনো অসুবিধা থাকলে সেটা কীভাবে দূর করা যায় সেই ব্যাপারে আমাদের সরকার সব সময় অত্যন্ত আন্তরিক আমরা সেটা করব।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ হজযাত্রী
হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। ৪৭টি ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছেছেন তারা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন তিন হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ১৪ হাজার ৯০৪ জন।
বুধবার (১৫ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে । আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।
এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।
এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদন করার সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যেও সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। পরে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এখনো ভিসা কার্যক্রম চলছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরসার আস্তানায় র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় আরসার আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বহু অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহিন এ পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের ওই অধিনায়ক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৪২ জেলায় দাবদাহ, মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
সারাদেশে বৃষ্টি একেবারেই কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়েছে। চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ ৪২ জেলাজেলায় বিস্তার লাভ করেছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার (১৫ মে) তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, কম বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত। দেশের অধিকাংশ জেলায় এ তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হতে পারে।তবে আগামী রোববার থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটের মোংলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় মূলত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ১৯ মে থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কমা শুরু করবে।
চলতি মৌসুমে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের ইতিহাসে একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বড় রেকর্ড এটি। ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছয় দিন কোথাও তাপপ্রবাহ ছিল না। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা আবার বেড়েছে।
মে মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় পোশাকশিল্পে নারী শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়েছেন
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে পোশাকশিল্পে নারীরা অংশগ্রহণে পিছিয়ে পড়ছে। যেখানে ৮০ শতাংশ নারী গার্মেন্টসে কাজ করতেন সেখানে বর্তমানে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। গার্মেন্টসে প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর বারিধারা এলাকার একটি হোটেলে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব)-এর উদ্যোগে আরএমজি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ শক্তিশালী করণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কীভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৫ জন সাংবাদিক এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা নারী পোশাককর্মীদের নিরাপত্তা এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সি-ক্যাব আরও ১৪টি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে একযোগে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের জীবন উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। নারীরাও পুরুষদের মতই সমানভাবে প্রযুক্তি ও পরিচালনা বিষয়ক কাজে অংশ নিতে পারে, এই বিষয়ে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ-কেন্দ্রিক বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কাজের মাধ্যমে নারী গার্মেন্টস শ্রমিক, তাদের পরিবার, এবং কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরিতে সি-ক্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক এবং কর্মশালার মডারেটর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, সাধারণত গার্মেন্টস সেক্টরের যেসব খবর আমরা পত্রিকায় দেখতে পাই- তাদের অধিকাংশই মজুরি আন্দোলন, রপ্তানি আয় এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কিত। নারী পোশাকর্মীদের জীবনের গল্প, তাদের সংগ্রাম, বর্তমান ডিজিটাল যুগে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং কীভাবে তারা এ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে পারেন- এ বিষয়গুলো সাধারণত পত্রিকায় আসে না।
সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ সি-ক্যাব পরিচালিত গবেষণালদ্ধ প্রতিবেদনের আলোকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে মিডিয়া যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে, তাতে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হেডলাইন ভিত্তিক খবর তৈরি না করে, মানুষের গল্পগুলো তুলে আনতে হবে। নারীরা প্রযুক্তি ও পরিচালনায় এগিয়ে আসতে সক্ষম, এই বিষয়টিকে আমাদের তুলে ধরতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দূষিত বাতাসে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকা পঞ্চম
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। গতকালও এই শহরটি দূষণ তালিকার শীর্ষে ছিল। এরপর রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। দূষণমাত্রার তালিকায় ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।
আজ বুধবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
তালিকার শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর ৩৬৩ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস বিপজ্জনক। এরপর পাকিস্তানের লাহোর এবং এই শহরটির স্কোর ১৮০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এই শহরের স্কোর ১৪১ অর্থাৎ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যারা ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কাফি