জাতীয়
এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা প্রয়োজন ৯০ শতাংশ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ জনসচেতনতা আর বাকি ১০ শতাংশ বিভিন্ন কারিগরি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। সারা বিশ্বে এটাই অনুসরণ করা হয়। আজকে ডিসিদের আমরা সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নানা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছি।
আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ বছরের জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তার সব নেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন চলমান রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামেও এখন অনেক পাকা বাড়ি হয়েছে, সেখানে পানি জমে থাকার সুযোগ আছে। সেখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। নিয়ম হলো, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। ডিসিরা যেন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণসহ নানাবিধ কাজ করেন, সেটি বলেছি।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের সঙ্গে এ বিষয়ে ভার্চুয়াল একটি সভা করেছি, সেখানেও অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের একটি সমন্বিত ফ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী পেতাম ১ শতাংশ, ঢাকায় পেতাম ৯৯ শতাংশ। গত বছর কিন্তু ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, সারা দেশে ৮০ শতাংশ রয়ে গেছে। ঢাকার মানুষ সচেতন হয়েছে, দায়িত্বশীল হয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছে। ডিসিদের বলেছি, তারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। দায়িত্ব অলরেডি বণ্টন করে দেওয়া আছে, তারা কাজগুলো হচ্ছে কিনা আমাদের রিপোর্ট করবে।’
‘গত বছরের মতো এ বছরও আমরা জানুয়ারিতে সভা করেছি। গত বুধবার মিটিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য ওষুধ কিনতে ছয় কোটি টাকা আমরা পাস করে দিয়েছি। একদিনও বিলম্ব করা হয়নি। তারা এটা আমদানি করবে এখন’, বলেন মন্ত্রী।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার
শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। আজ সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, রাইসি একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা।
তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরো বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন।
তারা হলেন- পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। এছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটের হার কম হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: ইসি
ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি। কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ সোমবার (২০ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হবে ২৯ মে ও ৫ জুন।
প্রথম ধাপে ভোট শান্তিপূর্ণ হলে ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে।
ধান কাটা তো শেষ এখনো কি ভোট কম পড়বে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে বলছেন বিষয়টাতো এ রকম নয়। আরও তো কারণ আছে। ভারতের যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে সব দলগুলো অংশ নিয়েছে। তারপরও ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। আমাদের যে প্রথম ধাপের নির্বাচন হলো ওইদিন সকালে বৃষ্টি ছিল, ধান কাটা ছিল, একটি বড় দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এই তিনটা কারণ তো আছেই। এছাড়াও আরও অন্যান্য কারণ আছে হয়তো, সেগুলো হয়তো আমরা জানি না। আবার স্থানীয় নির্বাচনে অনেকেই কর্মস্থল থেকে এসে ভোট দিতে চান না। এটাও একটা কারণ।
ভোটের হার দিন দিন নিচে নামছে, এর দায় আপনারা দলগুলোর ওপর দিচ্ছেন, ইসির কোনো দায় আছে কি, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের প্রথমেই দায় দিতে হবে ভারতের ওপর। কেননা, সেখানে সব দল অংশ নিচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই, কোনো বিতর্কও নাই। কিন্তু সেখানে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ছে। তাহলে এখানে কি নির্বাচন কমিশন দায়ী। সেটা আপনারা যদি বলতে পারেন ভারতের নির্বাচন কমিশন দায়ী, তাহলে আমরাও দায়ী। তাদের দায়ী না করলে আমরাও দায়ী না।
তাদের গণতন্ত্র আর আমাদের গণতন্ত্র কি এক? এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, তাদের গণতন্ত্র, আমাদের গণতন্ত্র একই। সংবিধানও অনেকটা একই রকম। ভারতে যে কারণে ভোটের হার কমে যাচ্ছে আমাদের এখানেও একই কারণ। শুধু বাংলাদেশ নন সারা পৃথিবীতেই একই রকম। এটা কেন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট পড়ার হার কম হওয়ার জন্য দায়ী কমিশনও না, অন্য কেউও না। কারণ হলো যে বিভিন্ন কারণে ভোটাররন ভোট দিতে চান না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় তথা বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২০ মে) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশন শুরুর পর দিন ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট অধিবেশনে হওয়া এইবারের অধিবেশন দীর্ঘ হবে বলে জানা গেছে। ৫ জুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা বৈঠকে সংসদ কত দিন চলবে তা নির্ধারণ করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলতি মাসের ২ তারিখ হতে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। ওই অধিবেশনে একটি বিল পাস হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সিটিতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সিটি এলাকায় ব্যাটারি চালিত গাড়ি বন্ধ রাখার আগের নির্দেশ পরিবর্তন করে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত গাড়ি বন্ধের নির্দেশ পরিবর্তন করে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শুধু ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২২টি মহাসড়কে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে ৷