অর্থনীতি
রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনাকে ‘বাড়াবাড়ি’ বলে দাবি মালিক সমিতির
রাজধানীর বেইলি রোডে রোস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। তবে ব্যাপারটাকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। বরং তারা অভিযানের বিষয়টিকে ‘একটু বাড়াবাড়ি’ হিসেবে দেখছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘রেস্তোরাঁ খাতে অনেকগুলো কর্তৃপক্ষ-সংস্থা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পৌরসভা-সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন অফিস, সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
‘আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনীগুলো—আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র্যাব বাহিনীও তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করে দিয়েছেন; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে তাদের কাজটি করতে দেবেন দয়া করে,’ বলেন তিনি।
ইমরান আরও অভিযোগ করেন, ‘যেসব দোকানে বেচাকেনা ভালো, অন্যদের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সেসব রেস্তোরাঁগুলো বেছে বেছে জরিমানা ও মামলা করা হয়ে থাকে তুচ্ছ-সামান্য কোনো কারণকে কেন্দ্র করে। অনিরাপদ খাদ্য যেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে না। এ এক আজব সিস্টেম।’
তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে হোটেল রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে কেউ মারা গেছে বা অসুস্থ হয়ে চার থেকে ছয় মাস হাসপাতালে ভর্তি আছে এ রকম কোনো রেকর্ড নেই।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, বাজারে তো কোনো স্বস্তি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও জোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকে। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা তো মুক্তবাজার অর্থনীতি।
বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজার আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।
তিনি বলেন, রোজার পরে বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ আসছে। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ-সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পায়, সেজন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব। যাতে ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজবে এফবিসিসিআই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণকে বেগবান করতে এ খাতের প্রধান বাধাসমূহ চিহ্নিত করবে এফবিসিসিআই। একইসাথে এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সমাধানও খুঁজে কাজ করবে সংগঠনটি। সোমবার (মে ২০) বিকেলে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মো. আমিন হেলালী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মেহেদী আলী। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক সালমা হোসেন এ্যাশ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আমিন হেলালী বলেন, তৈরি পোশাক ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক শিল্প খাত ভালো করছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের নির্ধারণ করতে হবে কোন খাতগুলো রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় জোরদার এবং সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিতভাবে অগ্রসর হওয়ার সময় এসেছে। এসময় ভারতের সেভেন সিস্টার্স, চীন, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশ এবং সম্ভাবনাময় অন্যান্য বাজারে পণ্য রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজে বের করতে কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসার ব্যয় সংকোচন এবং গবেষণা ও উন্নয়নের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।
কমিটির চেয়ারম্যান মেহেদী আলী জানান, কমিটির উদ্যোগে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হবে। সেই সাথে, রপ্তানি বহুমূখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণ বিষয়ে একাধিক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে।
খাতভিত্তিক সমস্যাগুলো রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে লিখিত আকারে জমা দিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানা কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সালমা হোসেন এ্যাশ।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে, রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি; কার্গো বিমানের ভাড়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা; দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়ন, বিভিন্ন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস প্রভৃতি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম
ডলারের দাম বাড়লেও আগমী কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসমাল টিটু।
তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্তে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।
মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।
কেন পড়বে না- সেই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।
তিনি বলেন, এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না।
তিনি আরও বলেন, আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।
তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্যা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করবো।
বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।
তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।
তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো উৎপাদন কিংবা সরবরাহ করি না। আমরা মোটামুটি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের কাছ থেকে সরবরাহ পেয়ে ভোক্তাদের কাছে নিশ্চিত করি। তাদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ যেহেতু খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন না, তাই ঈদের আগে আরেকবার বসবো। সেখানে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। মঙ্গলবার (২১ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ মার্কিন ডলার। এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার।
সুপারিশ করা দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার, কমেছে দাম
ডালের পাইকারি বাজার হিসেবে প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। রোজার পরে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় বাজারে তৈরি হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে।
খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।
অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়।
এমআই