অর্থনীতি
দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে কাজ করবো: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। নিয়োগ পাওয়ার পর আজ রবিবার সচিবালয়ে প্রথম অফিসে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আজকে আমি প্রথম আসলাম। স্বাধীনতার মাসে এই যে পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারছি, এটা আমার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আর সৌভাগ্যের বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেশ অনেক বছর ধরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। সেটার পরে এখন এই দায়িত্ব। সব দায়িত্বই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করার বিষয়টি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবকিছুর সঙ্গেই অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত। সারা বিশ্বের সব কিছুর সঙ্গে অর্থ জড়িত।
‘আমার অনুভূতি প্রকাশ করা এই মুহূর্তে খুবই কষ্টকর। অনেক কিছু জানার আছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আছেন, সচিব মহোদয়রা আছেন, তাদের অভিজ্ঞতা জানাবেন। অনেক কিছু জানার আছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা, তার অভিজ্ঞতা, অনেক কিছু জানাবেন, শেখাবেন।’
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু শিখিয়েছেন। তার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করতে পারবো। সেই কাজে দেশের অগ্রগতিতে কিছুটা হলেও সহায়তা করার আশা রাখি আমি।
সংরক্ষিত নারী আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, সবার কাছে দোয়া কামনা- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আমার প্রয়াত পিতা-মাতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হয়ে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে সম্পূর্ণতা দিয়ে যাতে মনোনিবেশ করতে পারি।
তিনি বলেন, আর আপনি যদি আমার ব্যক্তিগত প্রায়োরিটির কথা বলেন, সেক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার জন্যই আমি কাজ করবো। যেটা বাংলাদেশের সার্বিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে গত শুক্রবার ওয়াসিকা আয়শা খানসহ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজধানীতে দুই দিনের ট্রেড সামিটের সমাপনী বুধবার
রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ট্রেড সামিট বা সম্মেলন শুরু হয়েছে। দেশীয় শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ সামিট আগামীকাল বুধবার শেষ হবে। মেলা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বিগমিন্ট। সামিট বা মেলার প্রথম দিনে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ব্যবহৃত লৌহ ও ইস্পাত, সিমেন্টসহ বেশ কিছু পণ্যের বৈশ্বিক সম্ভাবনা, গুণগতমান, বর্তমান টেকসই প্রযুক্তি, আধুনিক বিপণন নীতি নিয়ে একাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনারে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হচ্ছে ইস্পাত। ইস্পাতশিল্পের মান, মূল্য সংযোজন ও বাজার সম্প্রসারণে এ মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেননা, বাংলাদেশে জনপ্রতি ইস্পাতের ভোগ ১০০ কেজি।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ ধরনের মেলা আয়োজনে তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পিএইচপি ফ্যামিলি, বিএসআরএম গ্রুপ, রহিম স্টিল, আবুল খায়ের গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, সালাম স্টিল, জেডএসআরএম, সিএসআরএমসহ ইস্পাত খাতের শীর্ষ খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাতক্ষীরায় হলুদের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা
সাতক্ষীরার বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হলুদের দাম কমেছে কেজিতে ২০-২৫ টাকা। বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় হলুদের দাম নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
গতকাল সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর বড় বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঠাকুর স্টোরে গতকাল কেজিপ্রতি গুঁড়া হলুদ খুচরা বিক্রি হচ্ছিল ২৭৫-২৮০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে যার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা। এ বিষয়ে মেসার্স ঠাকুর স্টোরের স্বত্বাধিকারী দুলাল চন্দ্র জানান, বাজারে গুঁড়া হলুদের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় হলুদের দাম কমেছে।
একই বাজারের মেসার্স আবির ভাণ্ডারে গতকাল গুঁড়া হলুদ পাইকারি বিক্রি হচ্ছিল ২৫০ টাকা কেজি দরে, যা দুই-তিন সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, ভোমরা বন্দরে পণ্যটির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি দর কমেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলিতে দাম বাড়ল কাঁচা মরিচ-ডিমের
দিনাজপুরের হিলিতে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ ও ডিমের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা বেড়েছে আর প্রতি পিচ ডিমের দাম বেড়েছে ২ টাকা। কোরবানি ঈদের আগে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন তীব্র তাপদাহের কারণে কাঁচা মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে আর চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। আর সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছে ডিমের দাম বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক আগেও প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতি পিচ ডিম ৯ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। দাম বাড়ায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ৯২৫ কোটি ডলার
দেশে ডলার সংকটের কারণে বছরের বেশি সময় ধরে আমদানি পণ্যে সীমারেখা টানা হয়েছে। ফলে আমদানি কমে আসায় ডলার সংকটে স্বস্তি ফেরার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনভাবেই যেন সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারছে না। উল্টো বৈদেশিক লেনদেনের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ঘাটতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৯২৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হিসাব প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ৯ মাসে আমদানি ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৪৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একই সময়ে রপ্তানি ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ৪০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে এখন ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়নে নেমেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ঘাটতি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমা, বিনিয়োগ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন কারণে এমন হচ্ছে। অবশ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে আমদানি কমলেও প্রকৃতপক্ষে কতটা কমেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডলার সংকটের এ সময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে অনেকে এলসি ছাড়াই কিংবা আন্ডার ইনভয়েসিং বা দর কম দেখিয়ে পণ্য আনছেন। এক পণ্যের এলসি খুলে আরেক পণ্য আনার ঘটনাও রয়েছে। এসব অর্থ পরিশোধ হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। ফলে হুন্ডি চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে প্রবাসে শ্রমিক যাওয়া অনেক বাড়লেও সেভাবে রেমিট্যান্স বাড়েনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা মাত্র ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। অথচ শুধু গত বছর রেকর্ড ১৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। আমদানি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি থেকে এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগের মাস শেষে ঘাটতি ছিল ৪ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল অবশ্য ৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজেটে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাজেট বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা সংক্রান্ত বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।
আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আসন্ন বাজেট প্রণয়ণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন যেন বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এবারের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ অবকাঠামোখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে বলে তিনি জানান।
বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি সুনির্দিষ্টভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েকটি খাত গত ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে। এই সুবিধার কারণে এখন তারা যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশের বাজার দখলে নিয়েছে। এমন অস্থায় তাদের রপ্তানির দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি করছে না।
তিনি মনে করেন, কর অবকাশের বাড়তি সুবিধা উঠিয়ে নিলে এসব খাতের উদ্যোক্তারা রপ্তানির প্রতি মনোযোগী হবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দিলে, এসব খাত বাড়তি সুবিধা হারাবে ঠিকই, কিন্তু সেটি রপ্তানির মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবে। টেকসই অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের সেদিকে যাওয়ার প্রয়োজন।