ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন মাহবুবুল আলম

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (সাবেক মহাব্যবস্থাপক) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মাহবুবুল আলম।
শুক্রবার (০১ মার্চ) পদোন্নতি দিয়ে তাকে প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মাহবুবুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৯৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি এফআইসিএসডি, বিএফআইইউ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগে কাজ করেছেন। ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং ও হুন্ডি সংক্রান্ত অপরাধসহ আর্থিক খাতের জাল-জালিয়াতি বিষয়ক তদারকিতে দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে।

ব্যাংক
অবলোপন ঋণ আদায়ের ৫ শতাংশ পাবেন ব্যাংক কর্মকর্তারা

দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে উৎসাহ দিতে নতুন প্রণোদনা নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনও ব্যাংক কর্মকর্তা অবলোপনকৃত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বকেয়া অর্থ আদায় করতে পারলে তিনি আদায়কৃত টাকার ৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা পাবেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকের এ ধরনের প্রণোদনা নীতিমালা নেই, তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই এটি কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় অনাদায়ী অবস্থায় থাকা অবলোপনকৃত ঋণ ব্যাংকের স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের কারণে আর্থিক প্রতিবেদন অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাংকিংনীতির অংশ হিসেবে, একটানা দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক শ্রেণিতে থাকা ঋণ অবলোপনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এসব ঋণ অবলোপনের পরও সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে পুরো দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবেই গণ্য করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবলোপনের আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে লিখিতভাবে নোটিশ দিতে হবে। একইসঙ্গে অবলোপনের আগে অবশ্যই ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩’ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে, যদি আগে না করা হয়ে থাকে।
এছাড়া, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচের একজন কর্মকর্তাকে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এই ইউনিটের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা যাবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ব্যাংকের এমডি/সিইও পাবেন, বাকি অংশ ইউনিট প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয় বিধায় ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি, পুরোনো ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করতে বলা হয়েছে।
এই পদক্ষেপে ব্যাংক কর্মকর্তারা অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে আরও উৎসাহিত হবেন এবং ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক
আগামীকাল খোলা থাকবে ব্যাংক

হজ কার্যক্রমের সুবিধার্থে ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখা শনিবার (১৮ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী জারি করা এ নির্দেশনায় বলা হয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালের হজ নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার সুবিধার্থে হজের অর্থ গ্রহণকারী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ১৮ অক্টোবর খোলা রাখতে হবে। যতক্ষণ হজের নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য গ্রাহক থাকবেন, ততক্ষণ অর্থ গ্রহণের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ব্যাংক
শনিবার ব্যাংক খোলা রাখা নিয়ে নতুন নির্দেশনা

হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা শনিবার (১৮ অক্টোবর) খোলা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হজ নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য আমানতকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন, ততক্ষণ ব্যাংকগুলোকে ওই অর্থ গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে।
এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক কম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারী পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১২ অক্টোবর) তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একই সাথে, জানা গেছে যে ব্যাংকটির বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা শিগগিরই বাতিল করা হতে পারে।
রেজাউল হক তার পদত্যাগপত্রে বর্তমান পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন যে স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে গঠিত এই পর্ষদ ব্যাংক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তার দাবি, স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শুধু দৈনিক অফিসে আসা এবং বেতন নেওয়া ছাড়া কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।
তিনি মনে করেন, ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব হতো। তিনি অভিযোগ করেন, ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শুনানিতে এই স্বতন্ত্র পরিচালকরা তার অনুপস্থিতিতে অংশগ্রহণ করেছেন, যা তাদের এখতিয়ারের বাইরে ছিল।
রেজাউল হক পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন যে তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘অস্ত্রের মুখে’ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন যে এস আলম গ্রুপের দখলের পর গত সাত বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। বর্তমান সরকারের পতনের পর তিনি আশা করেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটিকে প্রকৃত শেয়ারধারীদের হাতে ফিরিয়ে দেবে, কিন্তু তার বদলে ‘অকার্যকর স্বতন্ত্র পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে রেজাউল হক নিশ্চিত করেন, স্বতন্ত্র পরিচালকরা ব্যাংক পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের কারণে এখন কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় পর্ষদের সভাও করা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ এসআইবিএলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছিল। এতে রেজাউল হক এবং চারজন স্বতন্ত্র পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান হন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এসআইবিএলসহ পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাত মাহফিল, প্রধান আলোচক আহমাদুল্লাহ

আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেবেন আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
রোববার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আনিচুর রহমান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন।
আয়োজকের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আগ্রহীদের অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।