জাতীয়
স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ২১ ব্যক্তির নাম সুপারিশ
স্বাধীনতার মাসে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারটির নাম স্বাধীনতা পুরস্কার। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। জানা গেছে, সাধারণত এই পুরস্কারের সংখ্যা ১০টি হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ সংখ্যা কমাতে বা বাড়াতে পারেন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২১ জনের নাম সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাতজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (মরহুম) শওকত আলী, ডা. মোহাম্মদ আনিসুল হাসান, আবুল খায়ের মোহাম্মদ মহেব্বুর রহমান (আবুল খায়ের), বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সাজের্ন্ট মো. ফজলুল হক, আবদুর রাজ্জাক, ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ (মরহুম) ও গোলাম হোসেন।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমেদ খান। চিকিৎসা বিদ্যায় ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। শিক্ষায় প্রয়াত ড. রংগলাল সেন। অধ্যাপক মো. সোহরাব আলী। সাহিত্যে আবু জাফর শামসুদ্দীন ও আসাদ চৌধুরী (মরহুম)। সংস্কৃতিতে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ক্রীড়ায় তানভীর মাজহার ইসলাম (তান্না), বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আশরাফ আলী। পল্লী উন্নয়নে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। সমাজসেবায় সৈয়দ আবুল হোসেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
সূত্র জানায়, স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে এই প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য গত ২৮ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মোট ৮৯টি মনোনয়ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে ৭২ জন ব্যক্তি ও ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব সুপারিশ নিয়ে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ২১ জনের নাম সুপারিশ করা হয়। তবে কমিটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে নীতিমালা অনুযায়ী এই সংখ্যা কমাতে কিংবা বাড়াতে পারেন।
এর আগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৯ জন ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুবিধা মতো সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের প্রভাবে উর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য: ভোক্তার ডিজি
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ডলারের মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের প্রভাবকে দায়ী করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের প্রভাবে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর প্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। এটি বাস্তবতা। তবে অযৌক্তিকভাবে যেন দ্রব্যমূল্য না বাড়ে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে ৬৪টি জেলার ১০০টি স্থানে একযোগে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ভোক্তা মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধিতে পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও। এসবের প্রভাবে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, ফলশ্রুতিতে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে।
সফিকুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা ফুড ১০১টি পণ্য বিশেষ ছাড়ে দিচ্ছে। তারা যদি করতে পারে, তাহলে অন্যরাও পারবে। এই কাজে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, এখন জেলা পর্যায়ে বসুন্ধরা ফুডের এ কার্যক্রম চালু আছে। অন্যান্য করপোরেট গ্রুপ এই কার্যক্রম চালু করলে উপজেলা পর্যায়েও কম দামে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে পণ্য পাবেন ক্রেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন বাজেট অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, গত ৭ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আগামী অর্থবছরে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপির যে আকার নির্ধারণ করা হয়েছে, এটি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় দুই হাজার কোটি বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এডিপিতে সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তা মিলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ধরলে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এডিপির ১৫টি খাতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের মধ্যে গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি তিন লাখ, স্বাস্থ্যে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ এবং কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ছয় হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে চার হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে তিন হাজার ৪৯২ কোটি, সামাজিক সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৪ কোটি, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৮ কোটি এবং সাধারণ সরকারি সেবা খাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগকে। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩২ হাজার ৪২ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে ২৯ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ১৩ হাজার ৭২৫ কোটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ১২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আট হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প থাকছে এক হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প এক হাজার ১৪৯টি, কারিগরি সহায়তার ৮৬টি এবং সমীক্ষা প্রকল্প রয়েছে ২৩টি। মোট প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে এক হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকিগুলোর মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ৬০টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শূন্যপদে এতিম-প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদগুলোতে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা যথাযথভাবে পূরণের জন্য সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বুধবার (১৫ মে) কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক সভাপতি আ. ফ. ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. শামীম শাহনেওয়াজ, সাহাদারা মান্নান, এ, ডি, এম, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক বাবুল, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ এবং শবনম জাহান অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য খাতে পরিচালিত সেবা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য খাতের জন্য আরও কি কি পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হবে সেসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প তৈরির সুপারিশ করে।
বৈঠকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্যানসার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত অসহায় ও গরিব রোগীদের এককালীন যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় সেই সহযোগিতার কার্যক্রম আরও সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদগুলোতে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা যথাযথভাবে পূরণের জন্য সুপারিশ করে।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
তিন দিনের সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ঢাকা সফরকালে ডোনাল্ড লু প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।
মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিল নৈশভোজের আয়োজন।
বুধবার তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তীব্র তাপদাহে চার জেলায় কৃষিখাতে ৩৬৩ কোটি টাকার ক্ষতি
তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ৪ জেলায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং জীবন জীবিকায় অন্তত ১৭৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু কৃষিখাতেই ক্ষতি হয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকার। আর জীবন জীবিকার ওপর ক্ষতির পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকা মূল্যের। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
চুয়াডাঙ্গায় তাপদাহের প্রভাব নিয়ে চালানো এক সমীক্ষা প্রতিবেদন সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলায় কৃষি-মৎস্য-প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ ও জীবন-জীবিকার ওপর তীব্র তাপদাহের প্রভাব মূল্যায়ন বিষয়ক গবেষণা চালায় ওই সংস্থাটি। বুধবার (১৫ মে) সকালে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপনে উল্লেখ করা হয়, তাপদাহের প্রভাবে চলতি বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও এর পাশের তিন জেলায় কৃষিখাতে ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৎস্য খাতে ৯৭ কোটি ৮৮ লাখ ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় জীবন ও জীবিকার ওপরেও বড় প্রভাব পড়েছে। তাপদাহের কারণে কর্মঘণ্টা হ্রাস পাওয়ায় প্রতিদিন ৬১ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৫ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ২০ দিনে জীবন জীবিকায় ১২২৬ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৪ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দিনে ৯ ঘণ্টার পরিবর্তে তীব্র গরমে কর্মঘণ্টা নেমে আসে ৬ ঘণ্টায়। এতে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ২৩৪ টাকা আয়ের ঘাটতি হয়।
সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ চারটি জেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় গবেষণা চালায় বেসরকারি ওই সংস্থাটি। গবেষণায় ৫৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, অসংগঠিত দলের ২০ জন, দলীয় আলোচনায় ১০০ জন, ৫৪৫ জন দিনমজুর, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, মৎস্যজীবী, ছোট ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী এবং ৬ জন সিভিল সোসাইটি ও এনজিও কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে সমীক্ষাপত্রে বেশ কিছু সুপারিশ ও করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
সমীক্ষার মুখ্য গবেষক ড. মোহা. হাসান আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান, তীব্র তাপদাহের প্রভাবে আগামীতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
কাফি