জাতীয়
দেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই: আইজিপি
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর দ্বিতীয় দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ছয়দিন ব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ চলছে।
আজ অবৈধ অস্ত্র, মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে কৃতিত্ব অর্জনকারী ইউনিট, আইজি’জ ব্যাজ, শীল্ড প্যারেড এবং প্যারেডে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব তথা নারী ও শিশুবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশের সেবা প্রদানের মূলকেন্দ্র থানাকে জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার স্থানে পরিণত করতে চাই। দেশের সম্মানিত নাগরিকরা যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থীত সেবা গ্রহণ করতে পারেন সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। যারা একেবারে সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, নিরীহ, নির্যাতিত, গরীব নারী তাদের জন্য থানাকে আমি বিচার পাওয়ার স্থান হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য প্রধান কাজ হবে ভালো ব্যবহার ও জনগণের কথা শোনা এবং অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ২০৪১ সালে দেশকে সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, অর্ন্তভুক্তিমূলক ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) ও প্যারেড উপকমিটির সভাপতি মো. কামরুল আহসান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার ৪৮৮ জন পুলিশ সদস্যকে”পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২৩ (আইজি’জ ব্যাজ)”প্রদান করা হয়। আইজিপি তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এছাড়া ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম চট্টগ্রাম জেলা, দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলা এবং তৃতীয় হয়েছে পাবনা জেলা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা, তৃতীয় নোয়াখালী জেলা। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, রাজবাড়ী জেলা দ্বিতীয় এবং মাগুরা জেলা তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে র্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম, র্যাব-৫, রাজশাহী দ্বিতীয়, র্যাব-৭ চট্টগ্রাম তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে ডিবি, ডিএমপি ১ম, সিটিটিসি ২য় এবং ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ তৃতীয় হয়েছে।
মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রথম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং সিএমপি তৃতীয় হয়েছে। ‘খ’ গ্রুপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ প্রথম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘গ’ গ্রুপে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রথম, জয়পুরহাট জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে র্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম, র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় এবং র্যাব-৭ চট্টগ্রাম তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ডিবি, ডিএমপি প্রথম, মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি দ্বিতীয় এবং ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি তৃতীয় হয়েছে। ‘চ’ বিভাগে এপিবিএন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় এবং হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয় হয়েছে।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে ‘ক’ গ্রুপে কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রথম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দ্বিতীয়, সিলেট জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘খ’ গ্রুপে নোয়াখালী জেলা পুলিশ প্রথম, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং জামালপুর জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘গ’ গ্রুপে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রথম, শেরপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঘ’ গ্রুপে ডিএমপি, লালবাগ বিভাগ প্রথম, ডিএমপি, মতিঝিল বিভাগ দ্বিতীয় ও ডিএমপি, ওয়ারী বিভাগ তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে র্যাব-১৫, কক্সবাজার প্রথম, র্যাব-৫, রাজশাহী দ্বিতীয় এবং র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় হয়েছে।
শীল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন। দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
বার্ষিক পুলিশ প্যারেড কুচকাওয়াজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন, দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী জুলাইয়ে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী-২০২৪ এর আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বাজুস জানায়, দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন তিন দিনব্যাপী জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী আগামী ৪, ৫ ও ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বাজুস আশা করছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক মেশিনারিজের সঙ্গে পরিচিতি ঘটবে। ফলে নতুন নতুন জুয়েলারি শিল্প কারখানা স্থাপনে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে।
শিল্প কারখানা স্থাপনের ফলে জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানির দুয়ার উন্মোচিত হবে। এ দেশে স্বর্ণ শিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে। এ দেশের কারিগর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ডিজাইনের গয়না তৈরি করতে সক্ষম হবে।
এই প্রদর্শনীতে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের মেশিনারিজ প্রদর্শন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকার
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে এই ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব জানান, ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি: ডোনাল্ড লু
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের প্রত্যাশা করছেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডোনাল্ড লু বলেন, গত দুদিন আমি বাংলাদেশ সফর করছি। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতেই আমার এ সফর। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিল। এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমরা নতুন একটি অধ্যায় প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে আমরা একটি উপায় বের করতে চাচ্ছি। সম্পর্কের অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেই আমি আজ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে অনেকগুলো অস্বস্তিকর বিষয় আছে, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, শ্রম আইন সংশোধন, মানবাধিকার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার ইত্যাদি।
লু বলেন, অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের আরও বেশি শিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়েও কথা বলেছি। কীভাবে এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা বলেছি।
তিনি বলেন, এ ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে একসঙ্গে লড়াই করতে পারি, মন্ত্রীর সঙ্গে সে বিষয়ে আমি আলাপ করেছি। সরকারে স্বচ্ছতা ও কর্মকর্তাদের জবাবদিহি বাড়াতে অনেক কাজ করার বাকি আছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খুলনা বিভাগে ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে বিদ্যুতের ২৫ উপকেন্দ্র
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)-এর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পের আওতায় ৫টি লটে ২৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬০৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৪ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহবুদ আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করোনা আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সনম্বয় ও সংস্কার সচিব মো.মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-১ এর আওতায় মেহেরপুরে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।
অপর প্রস্তাবে ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-২ এর আওতায় কুষ্টিয়ায় নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।
সচিব জানান, বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৩ এর আওতায় যশোরে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো: বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৪ এর আওতায় ঝিনাইদহে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
এছাড়া বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৫ এর আওতায় খুলনায় নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন
রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২০২৭ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮(১) ধরার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারায় উল্লেখ করা ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ মে শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিষয়ে সচিব জানান, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটা পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাবে অনুমোদনের জন্য।
এ রপ্তানি নীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া, রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল নেওয়া।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি, হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব বলেন, রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এ ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।