অর্থনীতি
করোনায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে ৪০ শতাংশ
কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশে ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল-আলম চৌধুরী পারভেজ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এনবিআর আয়োজিত প্রাক বাজেট সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, চলতি বছর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা কম। বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এ বন্ধ হাওয়া অব্যাহত আছে। ছয় মাস আগে আমরা একটি স্টাডি করেছিলাম, ওই স্টাডি তে দেখা গেছে ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কোভিড পরবর্তী সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্ম হারিয়েছে। ফলে যারা উদ্যোক্তা ছিলেন, তারা অনেকে এখন কাজ খুঁজছেন।
সভায় তিনি অনলাইন প্রতিষ্ঠান দারাজের কর্মী ছাঁটাই এর উদাহরণও সামনে আনেন। এ সময় তাদের এক্সপেন্স ব্যয় হিসেবে অনুমোদন না করায় এর ওপর ট্যাক্স দিতে হওয়ায় তাদের উপর দ্বিগুণ চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
পারভেজ বলেন, আমাদের এখন স্পিড মানি আগের চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খরচ দিতে হচ্ছে। এগুলো যখন ব্যয় হিসেবে অনুমোদন করা হয় না, তখন এর ওপর ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ফলে আমাদের ওপর দ্বিগুণ চাপ বাড়ছে।
এছাড়া এনবিআর এর বিভিন্ন শর্তের কারণে কর্পোরেট ট্যাক্স তিন বছরে সাড়ে সাত শতাংশ কমালেও তা কোম্পানিগুলো সেই সুবিধা নিতে পারছে না বলে জানান তিনি।
সভায় ইলেকট্রনিক্স খাতের উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কাস্টমসের কারণে বন্দরে হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এসব কারণে জরিমানা ও পোর্ট ডেমারেজ বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং তা ভোক্তার ওপর যাচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকার
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে এই ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব জানান, ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খুলনা বিভাগে ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে বিদ্যুতের ২৫ উপকেন্দ্র
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)-এর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পের আওতায় ৫টি লটে ২৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬০৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৪ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহবুদ আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করোনা আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সনম্বয় ও সংস্কার সচিব মো.মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-১ এর আওতায় মেহেরপুরে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।
অপর প্রস্তাবে ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-২ এর আওতায় কুষ্টিয়ায় নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।
সচিব জানান, বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৩ এর আওতায় যশোরে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো: বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৪ এর আওতায় ঝিনাইদহে নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
এছাড়া বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধণ (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং কেডি-ডব্লিউ-৫ এর আওতায় খুলনায় নতুন ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিএসটিএল এবং ইইএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন
রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২০২৭ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮(১) ধরার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারায় উল্লেখ করা ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ মে শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিষয়ে সচিব জানান, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটা পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাবে অনুমোদনের জন্য।
এ রপ্তানি নীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া, রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল নেওয়া।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি, হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব বলেন, রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এ ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রসুনের দাম কেজিতে বাড়লো ১০০ টাকা!
দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কমে আসায় রসুনের দামে হুট করে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ মে) হিলি বাজার সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে দেখা যায়, রসুনের দোকানগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। গত সপ্তাহে রসুন কেজি প্রতি প্রকারভেদে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে প্রকারভেদে ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি ধরনের রসুন সপ্তাহখানিক আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। বর্তমান দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। বড় মাপের রসুন বিক্রিয় হয়েছিল ১২০ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে।
রসুনের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে রসুনের দাম কম ছিল। আজ রসুন কিনতে এসে দেখি ১০০ টাকা কেজিপ্রতি বেশি। দাম বেশি হওয়ার কারণে এক পোয়া কিনলাম। এত দামে রসুন কিনলে আর বাজার করব কি দিয়ে।
তিনি বলেন, আমরা চাই রসুনের দাম যেন কমে আসে। সবকিছুর বাড়তি দামের কারণে সংসার চালাতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৬৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সার কিনবে সরকার
কানাডা, কাতার, সৌদি আরব ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৩২ কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য এ পরিমাণ সার কেনা হবে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এক লাখ ৭০ হাজার টন সারের মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি ও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে।
সচিব জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৫.০০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩২৭.৭৫ মার্কিন ডলার।
অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা আদেন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় মা আদেনের কাছ থেকে পঞ্চম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৯.০০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৫৪.০০ মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৯.৬৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮২.৫০ মার্কিন ডলার।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ১৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৬.১৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮৮.৩৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়া, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৮৯.৫০ মার্কিন ডলার। যা আগেছিল ৩৬৬.৩৭৫ মার্কিন ডলার।