জাতীয়
তহশিল অফিস দালাল মুক্ত রাখতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশের মালিক জনগণ, এই জনগণের কল্যাণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সকল ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সকল তহশিল অফিস জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং কোনো দালাল থাকবে না। ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি, কেন আমরা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন করতে পারব না।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কর্মসূচি ‘১৮০ দিনের স্মার্ট কৌশল’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ নাগরিকের ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু ভূমি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন।
তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় ভূমিসেবাকে স্মার্টসেবায় রূপান্তর করতে চাই। স্মার্ট ভূমিসেবায় অনিয়ম, হয়রানি ও কোনো দুর্নীতি থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য একটাই টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিসহ সকল সেক্টরে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান ও খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
কর্মশালায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মার্ট কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ এবং খুলনা বিভাগে স্মার্টসেবা বাস্তবায়নে অন্তরায় ও সমাধান কৌশল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম আহমদ। ভূমি মন্ত্রণালয় ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), বিভাগের সকল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’
তিনি বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁজে বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’
এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা ‘আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’-এর ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২কে আরো হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২ কে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হালনাগাদ নীতিমালার মাধ্যমে কর্মক্ষম জনগোষ্টিকে দক্ষতা উন্নয়ন, অগ্রগতি, এবং বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা হবে। এই নীতিমালা ২০৪১ সাল থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছর ৩ মাসে পৌঁছেছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম।’
মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি।
স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তাঁর সরকারের চালু করা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০ প্রকারের প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে বিতরন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে ‘স্কিলড বার্থ এটেনডেন্স’ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।
এছাড়াও, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে, ২,২০০টি কেন্দ্র হতে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার মিডওয়াইফারি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন। যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।
বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১ হাজার ২৫৩টি ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রে কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি। পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশব্যাপী ‘স্কুল মিল’ চালু করা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের বিশ্বের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি চালুর অংশ হিসেবে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৪৬৪ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান। উপরন্তু নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালু এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতীয় বাজেটের মোট ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। বেইজিং ঘোষণা ও কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও জাতীয় কর্মসূচি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শ্রম শক্তির ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ’ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২৩’ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং এই অঞ্চলে প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আগের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা
সিনিয়র স্কেলে (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদোন্নতি পেয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০১ কর্মকর্তা। এ পদোন্নতির ফলে তারা এখন জাতীয় বেতন গ্রেড-২০১৫ এর ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। এ গ্রেডের মূল বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বাড়তে বাড়তে ৬৭ হাজার ১০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।
বুধবার (১৫ মে) এ পদোন্নতির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীন সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি পাওয়া ২০১ জন সিনিয়র সহকারী সচিবের বিষয়ে বলা হয়েছে, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের বরাবর ই–মেইলে যোগদান করবেন।
একইসঙ্গে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা বর্তমান কর্মস্থলে কর্মরত থাকবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে: ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়া শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসি আহসান হাবিব খান। অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি একথা বলেন।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান কমিশন যতদিন আছে, ততদিন নির্বাচনী ব্যালটসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। এসময় ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা প্রার্থীদের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।
ডুমুরিয়া শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার নাজমুল হুসেইন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পায়রা বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে ভিড়লো বিদেশি জাহাজ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বন্দরের নবনির্মিত প্রথম জেটিতে লাইমস্টোন (ছোট পাথর) নিয়ে পানামার পতাকাবাহী ‘জেন’ নামের জাহাজ নোঙর করেছে।
দুবাইয়ের ফৌজিয়া বন্দর থেকে ৫০ হাজার ৫০০ টন লাইমস্টোন নিয়ে বাংলাদেশে আসে জাহাজটি। ইনার ও আউটার অ্যাঙ্করে লাইটারেজে করে বন্দরের জেটিতে ২৪ হাজার টন লাইমস্টোন নিয়ে নোঙর করে। ২০০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি পায়রা বন্দরের জেটিতে নোঙর করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেটিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করে দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, আজ পরীক্ষামূলকভাবে একটি জাহাজ বন্দরের জেটিতে অবস্থান নিয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর সফরে আসবেন এবং বন্দরের জেটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাদকের নতুন ডিজি মোস্তাফিজুর রহমান
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে তিনি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার আগে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতির পর তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে মাস্টার অব স্ট্রেট্যাজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ সালে নবম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন কাজ করেছেন।
এমআই