অর্থনীতি
কোল্ড স্টোরেজে বিনিয়োগের আহ্বান সালমান এফ রহমানের
শাকসবজি এবং ফলমূলের মানসম্মত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর আড়াই বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি গুণতে হয়। তাই এই খাতে ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তবে বিদ্যমান ব্যবস্থায় ১৩ শতাংশ সুদে ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগ করবে না উল্লেখ করে নতুন ঋণ নীতির দাবি জানিয়েছেন কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ কোল্ড চেইন ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্সে এমন বিষয় উঠে আসে। বিডার সঙ্গে মার্কিন এগ্রিকালচার বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিক্সক্যাপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইলিয়াম ফেলোস। তিনি বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের কোল্ড চেইন খাত ১১ শতাংশ বেড়ে ৪.৮ মিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হবে। এর সাথে স্টোরেজে, পরিবহন, প্যাকেজিং, লভেলিং মিলিয়ে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের অবকাঠামোখাত উন্নত হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইসিটি সকল খাতেই বড় বিনিয়োগ হয়েছে। এখন এসব খাতে সফট স্কিল দরকার। আর কোল্ড স্টোরেজ এখন সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। রফতানি ছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আর সুদের হার কমানোর কথা থাকলেও এখনো কমেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কারণে সুদের হার বেড়েছে। তবে এর মধ্যেও কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে কিভাবে বিনিয়োগকারীদের সাবসিডি দেয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলো মূলত ৬০ এর দশকে তৈরি করা। সেগুলো আধুনিকায়ন হয়নি। ফরিদপুর পাবনা শহর দেশে বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের ভালো উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে তার ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ভারতীয় আমদানি বন্ধ হলেই পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার ওপরে চলে যায়। তাছাড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুগোপযোগী না হওয়ায় ফরমালিনযুক্ত ফল খাচ্ছেন ভোক্তারা।
এমতাবস্থায় ১৩ শতাংশ সুদ দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে আসবে না। তাই এখাতে নতুন ঋণনীতি দরকার। এতে ভোক্তারও সহনীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাড়ল স্বর্ণের অলংকারের মজুরি
সোনার অলংকারে ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সেই সঙ্গে সোনার অলংকার পরিবর্তনে ১০ শতাংশ এবং ক্রেতার কাছ থেকে অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ দেওয়ার নিয়ম করেছে বাজুস।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাজুস। এতে বলা হয়, সম্প্রতি জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর ফলে এখন কেউ এক লাখ টাকার সোনার অলংকার কিনতে গেলে মজুরি বাবদ ক্রেতাকে ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা দিতে হবে। এতদিন ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মজুরি বাবদ নেওয়া হতো।
সোনার বাড়তি দামের বাজারে এমনিতেই অলংকার কেনা আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে গেছে, এর মধ্যে মজুরি বাড়ায় বিক্রি আরো কমে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতদিন মজুরির বিষয়ে কোনো নিয়মকানুন ছিল না। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করতো। এখন নিয়মের মধ্যে আনতে ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া এখন সোনার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনে এবং সাধারণ ক্রেতা সোনা বিক্রি করতে গেলে আগের চেয়ে মূল্য হার কম পাবেন। নতুন নিয়মানুযায়ী সোনার অলংকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ যাবে। সোনার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এতদিন ৯ শতাংশ ও পারচেজে ১৩ শতাংশ বাদের নিয়ম ছিল।
কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতা চলছে। সর্বশেষ গত রোববার সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বেড়েছে। তাতে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজধানীতে দুই দিনের ট্রেড সামিটের সমাপনী বুধবার
রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ট্রেড সামিট বা সম্মেলন শুরু হয়েছে। দেশীয় শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ সামিট আগামীকাল বুধবার শেষ হবে। মেলা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বিগমিন্ট। সামিট বা মেলার প্রথম দিনে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ব্যবহৃত লৌহ ও ইস্পাত, সিমেন্টসহ বেশ কিছু পণ্যের বৈশ্বিক সম্ভাবনা, গুণগতমান, বর্তমান টেকসই প্রযুক্তি, আধুনিক বিপণন নীতি নিয়ে একাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনারে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হচ্ছে ইস্পাত। ইস্পাতশিল্পের মান, মূল্য সংযোজন ও বাজার সম্প্রসারণে এ মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেননা, বাংলাদেশে জনপ্রতি ইস্পাতের ভোগ ১০০ কেজি।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ ধরনের মেলা আয়োজনে তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পিএইচপি ফ্যামিলি, বিএসআরএম গ্রুপ, রহিম স্টিল, আবুল খায়ের গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, সালাম স্টিল, জেডএসআরএম, সিএসআরএমসহ ইস্পাত খাতের শীর্ষ খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাতক্ষীরায় হলুদের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা
সাতক্ষীরার বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হলুদের দাম কমেছে কেজিতে ২০-২৫ টাকা। বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় হলুদের দাম নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
গতকাল সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর বড় বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঠাকুর স্টোরে গতকাল কেজিপ্রতি গুঁড়া হলুদ খুচরা বিক্রি হচ্ছিল ২৭৫-২৮০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে যার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা। এ বিষয়ে মেসার্স ঠাকুর স্টোরের স্বত্বাধিকারী দুলাল চন্দ্র জানান, বাজারে গুঁড়া হলুদের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় হলুদের দাম কমেছে।
একই বাজারের মেসার্স আবির ভাণ্ডারে গতকাল গুঁড়া হলুদ পাইকারি বিক্রি হচ্ছিল ২৫০ টাকা কেজি দরে, যা দুই-তিন সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, ভোমরা বন্দরে পণ্যটির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি দর কমেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলিতে দাম বাড়ল কাঁচা মরিচ-ডিমের
দিনাজপুরের হিলিতে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ ও ডিমের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা বেড়েছে আর প্রতি পিচ ডিমের দাম বেড়েছে ২ টাকা। কোরবানি ঈদের আগে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন তীব্র তাপদাহের কারণে কাঁচা মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে আর চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। আর সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছে ডিমের দাম বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক আগেও প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতি পিচ ডিম ৯ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। দাম বাড়ায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ৯২৫ কোটি ডলার
দেশে ডলার সংকটের কারণে বছরের বেশি সময় ধরে আমদানি পণ্যে সীমারেখা টানা হয়েছে। ফলে আমদানি কমে আসায় ডলার সংকটে স্বস্তি ফেরার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনভাবেই যেন সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারছে না। উল্টো বৈদেশিক লেনদেনের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ঘাটতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৯২৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হিসাব প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ৯ মাসে আমদানি ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৪৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একই সময়ে রপ্তানি ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ৪০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে এখন ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়নে নেমেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ঘাটতি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমা, বিনিয়োগ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন কারণে এমন হচ্ছে। অবশ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে আমদানি কমলেও প্রকৃতপক্ষে কতটা কমেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডলার সংকটের এ সময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে অনেকে এলসি ছাড়াই কিংবা আন্ডার ইনভয়েসিং বা দর কম দেখিয়ে পণ্য আনছেন। এক পণ্যের এলসি খুলে আরেক পণ্য আনার ঘটনাও রয়েছে। এসব অর্থ পরিশোধ হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। ফলে হুন্ডি চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে প্রবাসে শ্রমিক যাওয়া অনেক বাড়লেও সেভাবে রেমিট্যান্স বাড়েনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা মাত্র ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। অথচ শুধু গত বছর রেকর্ড ১৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। আমদানি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি থেকে এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগের মাস শেষে ঘাটতি ছিল ৪ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল অবশ্য ৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
এমআই