ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনের কথা
ভাষা মানে হয়তো মায়ের ধমকানি, চিরসহিষ্ণু বাবার প্রশ্রয়ের হাসি। ভাই/বোনের অহেতুক খুনসুঁটি বা মানুষের ভীরে অযুত আঁখি ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার প্রতি স্বলজ্জ চোরাচাওনি। ওর অভিমানভরা চোখের সামনে কর্তব্যবিমূঢ় হাসি। ভাষা মানে হয়তো কৈশোরের খলখলানি, বার্ধ্যক্যের বিস্ময়ভরা চাহনি, জীবিকার তাগিদে রাস্তার মোড়ে কোন হকারের অনবরত জিহ্বার নাচুনি কিংবা ভাষা মানে আড্ডায় চায়ের কাপে কথার ঝুড়ি অথবা গভীর রাতে ভীষণ একাকীত্বে দুঃখ গলিয়ে টিস্যুর ভাজে ভাজে বিন্দু বিন্দু সুখের চুরি কিংবা ভাষা মানে আরও না বলা অনেক কিছু।
বিশ্বের বুকে ৫২’র ২১ শে ফেব্রুয়ারির বাঙালি তরুণরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রমাণ করেছিল এবং সেইসাথে বাঙালি জাতিসত্তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। তাদের অসামান্য অবদান প্রজন্ম হতে প্রজন্ম পর্যন্ত বহাল রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের।
দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে মনের কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন ও গ্রন্থনা করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অর্থসংবাদ’র প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম।
আমি বাংলায় কথা বলি, আমি বাঙালী, আমি বাঙাল। আমি গর্বিত আমি বাঙাল।এটা যদি অনাধুনিকতা, অসামাজিকতা বা আভিজাত্যহীনতা হয় তবে তাই সই।
অর্ণব হাসান
লোক প্রশাসন বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
যে ভাষা স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে ভিন্ন ভাষার শব্দ গ্রহণ করতে পারে সে ভাষা ততবেশী সমৃদ্ধ, এটা ভাষাতাত্ত্বিকদের অভিমত। তবে, আমরা এ প্রজন্মের কথাতাত্ত্বিক তরু(ণ/ণী)রা আরো এক কাঠি এগিয়ে। বিগত কয়েক বছর ধরে, আমরা কথার মাঝে মাঝে ইংরেজি বা হিন্দি শব্দ ঢালাওভাবে ঢুকিয়ে বাংলা ভাষাকে হাস্যকর ভাবে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি। শরীর দুলিয়ে, ঠোঁট বাকিয়ে বাংলা, ইংরেজি আর হিন্দি মিশিয়ে “বাংরেন্দি” নামক এক কিম্ভূত ভাষায় কথা বলাকেই আমরা “স্মার্টনেস” ভাবা শুরু করেছি। আমাদের তারকারা ভূলেভরা ইংরেজিতে কথা বলাকেই আভিজাত্য ভাবছেন, হুজুরেরা কথার মাঝে মাঝে আরবি, ফার্সি, উর্দুকে টেনে এক অদ্ভুতুড়ে ভাষায় কথা বলাকে ধার্মিকতা মনে করছেন। আমি ভিন্ন ভাষার প্রতি বিদ্বেষী হবার কথা বলছিনা। অন্যভাষা জানাটা নিঃসন্দেহে একটা শিল্পকর্ম তবে নিজ ভাষায় শুদ্ধ করে কথা বলাটা তার চেয়েও বড় ও অনুপম এক শিল্প। যে শব্দের প্রচলিত বাংলা শব্দ নেই সেখানে অন্য ভাষার প্রতিশব্দের ব্যবহার নিশ্চয়ই করবো তবে প্রচলিত ও সুন্দর বাংলা শব্দকে হটিয়ে তথায় ভিন্ন ভাষার শব্দকে জোর করে ব্যবহার করে অভিজাত হওয়ার ভান করা যে আধুনিকতার আবরণে অসুস্থতা তা কবে বুঝবো?
আমি বাংলা ভাষার সাধনা করে কাউকে গীতগোবিন্দ বা পদ্মাবতী হতে বলছিনা, বলছিনা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে শহীদ মিনারের খুঁটি হতে, আমাদের পূর্বজনেরা তা অনেক আগেই করেছেন, কেবল শুদ্ধ বাংলার চর্চা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। যেদিন ওয়াইক্লিফ ল্যাটিন ছেড়ে ইংরেজি, মধূসূদন ইংরেজি ছেড়ে বাংলা আর রামকৃষ্ণভাবশিষ্য বিবেকানন্দ তাঁর দীক্ষাগুরুর ভাষার বলয় ভেঙ্গে নিজ ভাষায় প্রবেশ করেছিলেন স্বার্থক তারা সে দিনেই হয়েছিলেন এবং আজও স্বমহিমায় টিকে আছেন।
সকল ভাষা শহীদ আর ভাষা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা।ভাষার মাসে কেবল শহীদ মিনার, কালো ব্যাচ, ফুলের তোড়া, খালি পায়ের মধ্যে আটকে না পড়ে আজ থেকে শুরু হোক শুদ্ধ ভাষার চর্চা। একজন বৃদ্ধ আনিসুজ্জামান বা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে যদি হাজারো মানুষকে মুগ্ধ করতে পারেন তবে আমরা প্রাণবন্ত তরুণেরা কেন নয়?
বাংলা ভাষা জীবনের সামগ্রিক যোগসূত্র
শাহানীন সুলতানা মীম
ইংরেজি বিভাগ
শান্ত-মরিয়াম সৃজনশীল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ভাষা যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম। ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের সুখ-দুঃখ, ভালো লাগা, খারাপ লাগা প্রকাশ করি। ভাষা একটি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আর এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, বরং ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদান রাখবে। বাঙালি জাতি নিজের রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে বাংলা তাদের নিকট ভালোবাসার মন্ত্র এবং সারা বিশ্বের নিকট তুলে ধরেছে ভাষা একমাত্র হতে পারে ভালোবাসার মন্ত্র। আমাদের মাতৃভাষা দিবসের মধ্যে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের সংস্কৃতি ভালোবাসা’সহ নানা প্রেক্ষাপটের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে।
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি আত্মিক বন্ধনে অতপ্রোতভাবে জড়িত
নাজমুন নাহার
সমাজ কল্যাণ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়, বরং এটি একটি ভাষার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। পুলিশের গুলিতে সেদিন রহিম উদ্দিন, সালাম, বরকত, জব্বার, রফিকসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি সারা বিশ্বে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। বাংলাদেশে, সরকারিভাবে এই দিনটি শোক ও শ্রদ্ধা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সারাদেশে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিছিল ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃভাষা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, বরং সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয়েরও বাহক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বের সকল মানুষকে তাদের মাতৃভাষা গর্বের সাথে ধারণ করতে এবং বিশ্বের বহুভাষিকতা রক্ষা করতে অনুপ্রাণিত করে। ২১ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য নয়, বরং বাংলার সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন টিকে রাখার দিনও। ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরিচয় এবং আবেগের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাংলা ভাষা আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং আমাদেরকে বাঙালি হিসেবে গড়ে তুলেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বাংলা ভাষার জন্য কত মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই ভাষার প্রতি আমাদের কতটা দায়িত্ব আছে, তাও এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
২১ ফেব্রুয়ারি শুধু একটি দিনের উদযাপন নয়, বরং এটি একটি প্রতিজ্ঞার দিন। আমাদের সকলের উচিত এই দিনে বাংলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রতিজ্ঞা নবায়ন করা। বাংলা ভাষা আমাদের গর্ব এবং আমাদের পরিচয়। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এই ভাষার জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে। আমাদের সকলের উচিত বাংলার সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন টিকিয়ে রাখা এবং এর প্রসার ও বিকাশে ভূমিকা রাখা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়, বরং এটি একটি ভাষার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ।
নিজভূমে পরবাসী
মো. মহাইমিনুল ইসলাম অপু
ইম্পেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, খুলনা
পৃথিবী জুড়ে সমাদৃত ও সম্মানিত হলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় খোদ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে বাংলা ভাষা যেন অবহেলিত। অযত্ন অনাদরে পড়ে আছে দুঃখিনী বাংলা। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন ও ব্যবহারে যে স্বপ্ন নিয়ে রক্ত দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা, তাঁদের সে স্বপ্ন যেন আজ ক্রমশ ফ্যাকাশে হতে শুরু করেছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আইন-আদালত, গণমাধ্যমসহ সর্বত্র উপেক্ষিত বাংলা। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষত উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ব্যবহার নেই বললেই চলে। অথচ ভাষাগত দিক থেকে বাংলা যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। তথাপি বাংলা যেন নিজভূমে পরবাসী। কবি মাইকেল মুধুসূদন দত্তের ভাষায়- হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন; তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি।
বাংলাকে সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে বাংলার গুরুত্ব দিতে হবে সর্বপ্রথমে এবং বাংলা ভাষার সৌন্দর্যকে প্রজন্ম পর প্রজন্মের নিকট সুস্পষ্ট থাকে এ বিষয়ে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তাপদাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা
তাপদাহের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদের দূরে রাখেন, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়। এছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে শ্রেণিকক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি থাকে) সচল রাখার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা ও শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেছে মাউশি।
এছাড়া প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা ও শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাউশির দেয়া নির্দেশনায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদের দূরে রাখেন সে বিষয়টি নিশ্চিতেও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সিইউও হলেন ক্যাডেট সার্জেন্ট মরিয়ম খাতুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা শাখার সর্বোচ্চ পদ সিইউও (ক্যাডেট আন্ডার অফিসার) পদে পদোন্নতি পেলেন ক্যাডেট সার্জেন্ট মরিয়ম খাতুন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
রবিবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন রেজিমেন্টে ‘ক্যাডেট আন্ডার অফিসার র্যাংকিং অ্যান্ড ইনসেন্টিভ অ্যাওয়ার্ড’ প্রোগ্রামে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামারুল ইসলাম (বিজিবিএম, পিএসসি), রেজিমেন্ট এডজুটেন্ট মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস (ইএমই), ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ক্যাপ্টেন অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, (বিএনসিসিও)।
এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ক্যাডেট আন্ডার অফিসার শুভ মিত্র, বর্তমান ক্যাডেট আন্ডার অফিসার আলী আহসান জুবায়ের, সার্জেন্ট- সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
ইবি বিএনসিসির নতুন সিইউও মরিয়ম খাতুন বলেন, ২০২১ সাল থেকে বিএনসিসির সাথে আমার যাত্রা শুরু হয়। ক্যাডেট র্যাংক থেকে এখন ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ পদ পাওয়ার মাধ্যমে দায়িত্বের ভার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেল। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমার প্রিয় এই বিএনসিসির মুখ আরো উজ্জ্বল করতে সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। ভবিষ্যতে আমার ক্যাম্পাস বা প্রতিষ্ঠান নয় আমি আমার দেশের সকল মানুষের কাছে এর সেবা, শ্রম এবং সুবিধাসমূহ পৌঁছে দিব।
অনুষ্ঠানে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার মরিয়ম খাতুন এবং ক্যাডেট সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ সঞ্চালনা করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম/
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
টিচিং-ট্রেইনিং ও টেকনোলজির সমন্বয়ে বাজারের জন্য যোগ্য হতে হবে: ইবি উপাচার্য
পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনটির সমন্বয় করতে পারলে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং’ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র্যাক্টিস করতে হবে। যাতে আমাদের পাশাপাশি, আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে।
রবিবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
ইবি ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গর্ভামেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মো. মাজহারুল হক।
আলোচনা সভায় সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি পাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (বিডা) ১৫টি পদে ৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
কর্তৃপক্ষের নাম: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)
পদের বিবরণ
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
কর্মস্থল: ঢাকা
বয়স: ১৯ মে ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৪০ বছর
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১-৬ নং পদের জন্য ৬৬৯ টাকা, ৭ নং পদের জন্য ৫৫৮ টাকা, ৮-৯ নং পদের জন্য ৩৩৫ টাকা, ১০-১৪ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ১৫ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদন শুরু: ২০ মে ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৪ জুলাই ২০২৪ তারিখ বিকেল ০৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: ইত্তেফাক, ১৯ মে ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গাজী গ্রুপে চাকরির সুযোগ
শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপে ‘ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: গাজী গ্রুপ
বিভাগের নাম: ফিল্ড অপারেশন
পদের নাম: ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ০৩ বছর
বেতন: ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ২৫-৩৫ বছর
কর্মস্থল: যে কোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা hr@gazisolar.com এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মে ২০২৪