জাতীয়
এক বছরে রেলের লোকসান ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা
গত অর্থ বছরে রেলওয়ের আয়ের তুলনায় ১৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩৩০৭ কোটি টাকা, পক্ষান্তরে রেলওয়ের আয় ছিল ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় ১৫২৪ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। এ ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এছাড়া রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্কুল, হাসপাতালের মাধ্যমেও দেশের জনগণ সামাজিক ও নিরাপত্তামূলক সেবা পেয়ে আসছে, যার ব্যয় রেলওয়ে থেকে নির্বাহ করা হয়। এতে রেলওয়ের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত স্বল্প খরচে জনগণকে সেবা দেওয়ার সরকারি নীতির কারণে ভাড়া বৃদ্ধিপূর্বক আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করা হচ্ছে না।
রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের পলিসি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়েকে বাণিজ্যিক তথা লাভজনক/অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাঁচ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা পাবেন ৫০ হাজার টাকা: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা দুই হাজার নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছি। নতুন করে আরও ৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তাদেরকে ৫০ হাজার করে অনুদান দেওয়া হবে।
বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা অনুদান’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের নারীসমাজকে মূল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে না পারলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। আজ যে ২৩২ জন নারী উদ্যোক্তা ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন এটি অনুদান নয়। এই টাকা প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা।
পলক জানান, আমাদের যে-সকল স্টার্টআপগুলো ভালো করবে তাদের জন্য ৫০ লাখ থেকে শুরু করে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে কড়া নজরদারি
কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট ঠেকানোর পাশাপাশি কেনাবেচায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং পশুবাহী যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সতর্ক নজরদারি করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ঈদ-উল-আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায়’ পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন মার্কেটে মনিটরিং জোরদার করাসহ কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ও অনলাইন মার্কেট ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (জুন ১২) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর যথেষ্ট যোগান রয়েছে। উদ্বৃত্ত পরিমাণ কোরবানির পশুর সরবরাহ থাকায় কোনো সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে যৌক্তিক মূল্যে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। কোনরূপ কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হতে পারে সেলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের আগে অর্থনীতিতে স্বস্তি
নানা সংকটের গেঁড়াকলে আটকে থাকা অর্থনীতির পালে লেগেছে স্বস্তির হাওয়া। আর এই স্বস্তি এসেছে আসন্ন ঈদকে ঘিরে। ঈদ ঘিরে সার্বিক যেই লেনদেন হবে, তাতে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
কোরবানির পশুর বাজার, রেমিট্যান্স, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও বিনোদন ব্যয় থেকে আর্থিক লেনদেন অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি অর্থের লেনদেন হয় পশুর বাজার ঘিরে। পশুর বাজারে গত ঈদে বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার, এবার লক্ষ্য ৭৫ হাজার কোটি টাকার। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পশুর চামড়ারও ভূমিকা রয়েছে।
অন্যদিকে বছরের অন্য যেকোন মাসের চেয়ে এ সময় রেমিট্যান্স আসে সবচেয়ে বেশি। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ও সারা দেশের দোকান কর্মচারীদের বেতন-বোনাস যুক্ত হয় ঈদ বাজারে। রোজার ঈদে পোশাক ও খাদ্যপণ্যে মানুষ বেশি ব্যয় করে। তবে এই ঈদেও এ খাতে ব্যয় নেহায়েত কম নয়। একইভাবে লবণ, মসলা, ছুরি-চাকু, পরিবহন, ভ্রমণ-বিনোদন বাবদও বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষের সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিলে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির গুরুত্ব দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষত বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশে মুসলমানদের বেশিরভাগই এখন পশু কোর বানি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। কোরবানির আগে ও পরে মিলিয়ে সপ্তাহ দেড়েক সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। পশুর হাট থেকে শুরু করে ব্যাংকপাড়া এবং পণ্যবাজার থেকে কামারবাড়ি- সবখানেই এখন চরম ব্যস্ততা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের মানুষের আর্থিক টানাটানি আছে এবারও, তবু আমার বিশ্বাস কোর বানির ঈদ ঘিরে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ এই সময় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকাংশই চলে ঈদকে ঘিরে। আর এ কারণেই প্রতি বছরই দেশের অর্থনীতিতে ঈদের গুরুত্ব বাড়ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেশে কোরবানি দেয়ার হার যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে কোরবানির পশুর সংখ্যাও। ২০২২ সালে দেশে কোর বানি দেওয়া হয় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু। ওই বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশে কোরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি, যার আর্থিক মূল্য ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
গত বছর কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার কোর বানি দেওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫ হাজার থেকে ১ কোটি ১০ হাজার হতে পারে। যার মূল্য হতে পারে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা।
পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে চামড়ার ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতি বছর দেশে দেড় কোটিরও বেশি পশুর চামড়া পাওয়া যায়। এর প্রায় ৬০ শতাংশই আসে কোর বানির পশু থেকে। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাতের মূল বাজার ৪-৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য বাজারসহ এ খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
বছরের যে কোনো মাসের চেয়ে দেশে রেমিট্যান্স বেশি আসে এই কোর বানির ঈদের আগে। বছরের অন্য মাসের পুরো ৩০ দিনে যেখানে রেমিট্যান্স আসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি- টাকার মতো, সেখানে কোর বানির ঈদের আগের মাত্র দুই সপ্তাহেই আয়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে গত মে মাসে ২২৫ কোটি (২.২৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর চলতি জুন মাসের প্রথম ৭ দিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই এক দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ২২৪ কোটি। মাসের বাকি ১৮ দিনেও এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের হিসাব ৩১১ কোটি ২৭ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারে পৌঁছবে। যা হবে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। যেহেতু আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা, তাই বাকি কয়েক দিনে যত রেমিট্যান্স আসবে তাতে ঈদের আগে চলে আসবে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন।,রসুনের চাহিদা ৫ লাখ টন, আদা ৩ লাখ টন। এর উল্লেখযোগ্য অংশই পশু কোরবানিতে ব্যবহার হয়। গরম মসলা বিশেষ করে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতারও উল্লেখযোগ্য অংশ কোরবানিতে ব্যবহার হয়। কোরবানির বাজারে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে এসব পণ্যে। কোরবানির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো কামার আইটেম। ছুরি, বঁটি, দা, চাপাতি, কুড়াল, রামদা ছাড়া কোরবানিই সম্ভব নয়। সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোর বানিতে পণ্যটির বাজার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ঈদে পরিবহন খাতে অতিরিক্ত যাচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ উৎসবে ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েকটি খাতের কর্মকাণ্ড অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্ভাব্য বোনাস বাবদ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। দেশব্যাপী ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর বোনাস ৫ হাজার কোটি টাকা। পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের সম্ভাব্য বোনাস ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অর্থ ঈদ অর্থনীতিতে বাড়তি যোগ হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির ঈদে ফ্রিজের বিক্রি বেড়ে যায়। কোর বানির ঈদে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ফ্রিজ বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কোরবানিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই অর্থ শহর থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে শহরে আসছে। এক কথায় ঈদকে ঘিরে দেশের সর্বত্র একটা কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেয়, গতি আসে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে।
তিনি আরও বলেন, সত্য বলতে কি- আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি দুই ঈদ বাজারের। এর মধ্যে রোজার ঈদ বাজার থাকে পোশাক ও খাদ্যপণ্যকে ঘিরে, আর কোরবানির ঈদ চাঙ্গা থাকে পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে। যদিও এখন দেশের মানুষ আর্থিক টানাপাড়েন রয়েছে, তবু আমাদের প্রত্যাশা এবারের ঈদেও সব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওমানের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, যেতে পারবেন যারা
গত বছর অক্টোবরে আরোপিত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণীকে অব্যাহতি দিয়েছে ওমান সরকার। যাদের মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি ভিসা, বা উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী এবং সকল ধরণের অফিসিয়াল ভিসা এবং উচ্চ-আয়ের আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন পর্যটক ভিসা।
বুধবার (১২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওমান দূতাবাস ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাস্থ ওমান দূতাবাস উল্লেখিত শ্রেণীভুক্ত আবেদনকারীদের কাছ থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে ও ভিসা ইস্যুর ব্যাপারে রয়াল ওমান পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করবে। আবেদনকৃত ভিসার পক্ষে আবেদনকারী তার যাবতীয় কাগজপত্র যথাযথ সত্যায়নপূর্বক যাচাই বাছাইয়ের জন্য দূতাবাসে জমা করতে হবে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রত্যেক আবেদনকারীর সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ওপর নির্ভর করে এক থেকে চার সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে দূতাবাস আশ্বস্থ করতে চায় যে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ওমান আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিছক একটি অরাজনৈকিত সিদ্ধান্ত যা কৌশলগত কারণে ওমানে বিদেশী শ্রম বাজার সমীক্ষা ও পর্যালোচনার চলমান একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। বাংলাদেশ ও ওমান উভয় দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার আর এ দুই দেশের বিচক্ষণ ও সুযোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ-ভারত পরীক্ষিত বন্ধু: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
ভারতকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচন এবং বাংলাদেশ ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে যদি ভালো সম্পর্ক না থাকে তাহলে চলা মুশকিল হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আমাদের খারাপ সময়ে ভারত আমাদের পাশে ছিল। ভারত আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চায়, তেমনি আমরাও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু।
তিনি বলেন, ভারতে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচন নিয়ে সে দেশের মানুষ কোনো কথা বলে না। সবাই সুন্দরভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এ রকম ব্যবস্থা আমাদের দেশেও চালু করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা এম এ ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী জেসমিন প্রেমা প্রমুখ।