শিল্প-বাণিজ্য
অর্থনীতির সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এফবিসিসিআইর সভা

চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জসমুহ নিরুপণ, সমাধানের উপায় বের করা এবং তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারনে মতবিনিময় সভা করেছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এফবিসিসিআইর গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম।
সভায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো, রপ্তানি সম্প্রসারণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার খুঁজে বের করা, ট্যাক্স-জিডিপির আনুপাতিক হার বৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রাজস্ব নীতির সংস্কারসহ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এ সময় অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ব্যয় কমিয়ে আনা, লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাসসহ শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং গুণগত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান আলোচকরা। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার ওপর জোর দেয়া হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। এ সময় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত চান তিনি। প্রাপ্ত মতামত সমুহ বিশ্লেষণ করে এফবিসিসিআই সেগুলো নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরবে বলে জানান জনাব মাহবুবুল আলম।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও সমন্বয় ও সুসম্পর্ক জোরদার করতে হবে বলে জানান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি শমী কায়সার, মোঃ মুনির হোসেন, পরিচালক আবুল কাসেম খান, এফবিসিসিআইর প্যানেল অ্যাডভাইজর এবং সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, এফবিসিসিআইর প্যানেল অ্যাডভাইজর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মাইনুল ইসলাম, এফবিসিসিআইর প্যানেল অ্যাডভাইজর এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সেলিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইর প্যানেল অ্যাডভাইজর এবং সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এফবিসিসিআইর প্যানেল অ্যাডভাইজর এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাফর ইকবাল, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মোঃ আলমগীর প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেলো আরও ২৫২ টন আলু

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল আরও ২৫২ মেট্রিক টন এস্টারিক্স আলু। বুধবার (২৬ মার্চ) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকার একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১২টি ট্রাকে আলুগুলো নেপালে পাঠানো হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেন ।
জানা গেছে, থিংকস টু সাপ্লাই, ফাস্ট ডেলিভারি, হোসেন এন্টার প্রাইজ ও প্রসেস অ্যাগ্রো নামে চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুগুলো সংগ্রহ করে নেপালে রপ্তানি করে। এ নিয়ে বন্দরটি দিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ মাসের বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত কয়েক ধাপে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৩৩১ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে নেপালে।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেনর বলেন, রপ্তানি করা আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বন্দরটি দিয়ে নেপালে ২৩১ মেট্রিক টন আলু পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত নতুন করে পাঠানো আলুসহ গত তিন মাসে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ৩৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ছুটিসহ আগামী শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্দরে ছুটি থাকায় আগামী ৬ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে এবং রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে আবারও আলু নেপালে পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ভোমরা বন্দর দিয়ে ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে না। তবে ৬ এপ্রিল (রোববার) থেকে পুনরায় বন্দর সচল হবে।
তিনি জানান, ২৮ মার্চ বিকেল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। একইভাবে, আমদানিকারকরা ছুটিতে থাকবেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না।
ভোমরা স্থলবন্দর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর। এই বন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত। এখান দিয়ে কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফলমূল, কয়লা, মশলা ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে।
এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০-৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
ভোমরা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ, যাত্রীরা পূর্বের মতোই নির্বিঘ্নে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নেপালে গেলো আরও ২১০ মেট্রিক টন আলু

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশের চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বন্দরটি দিয়ে নিয়মিত আলু রপ্তানি হচ্ছে নেপালে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে স্থলবন্দরটি দিয়ে ২৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
উজ্জ্বল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ১১টি ট্রাকে বন্দরটি দিয়ে ২৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। আলুগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০৭৯ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্ট অনলাইনে আবেদন করে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রে ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
তিনি আরও জানান, আজ বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই, আমিন ট্রেডার্স, ফাস্ট ডেলিভারি ও সুফলা মাল্টি প্রোডাক্ট লিমিটেড নামে চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুগুলো রপ্তানি করেছে। এছাড়াও হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, লোয়েড বন্ড লজেস্টিক নামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নেপালে আলু রপ্তানি করছে। জাতগুলো হলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা।
বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চীনের সঙ্গে মোংলা বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের অ্যাগ্রিমেন্ট সই

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জি টু জি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রতে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) সঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর সম্পন্ন হলো। নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক অনন্য মাইলফলক। আমি বিশ্বাস করি এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দর একটি আধুনিক, স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ও গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত হবে। মোংলা বন্দরকে কোল্ড পোর্টেও রূপান্তরের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশেষ করে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টাদ্বয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা চীন সরকার এবং চীনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা মোংলা বন্দর ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজভাবে বাংলাদেশ থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল-মূল, সবজি ও চিংড়ি মাছসহ অন্যান্য মাছ আমদানির জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে আসন্ন আমের মৌসুমে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম ও আমজাত দ্রব্য আমদানি করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চীনে আসন্ন সফরকে ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, নিঃসন্দেহে বন্ধু প্রতীম দুই দেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি দুই দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশা করি।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬,৮২২.৭২ লক্ষ টাকা (জিওবি ৪৭,৫৩২.৯৭ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৩৫৯২৮৯.৭৫ লক্ষ টাকা) এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি, ২০২৫ হতে ডিসেম্বর, ২০২৮ পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি কন্টেইনার জেটি নির্মাণ, লোডেড এবং খালি কন্টেইনারের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ, জেটি এবং কন্টেইনার মজুদ ও ইকুইপমেন্ট পরিচালন অটোমেশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি যথাক্রমে একনেক এবং উপদেষ্টা পরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ অনুমোদিত হয়।
চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) পক্ষে কে চেংলিএং এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয় এবং চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি সেবা

ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালীন আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর)। তবে শুধু ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: নীতি) মুকিতুল হাসানের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর সংগঠনটির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল।