জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে ৭ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ৭টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গভবনে গিয়ে তারা পরিচয়পত্র পেশ করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গোলিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত GANBOLD Dambajav (গানবোল্ড দামবাজাভ), উত্তর মেসিডোনিয়ার রাষ্ট্রদূত Slobodan Uzunov (স্লোবোডান ইউযোনোব), পেরুর রাষ্ট্রদূত JAVIER MANUEL PAULINICH VELARDE (জাভিয়ের ম্যানুয়েল পাওলিনিচ ভেলার্দে), স্লোভাক রিপাব্লিকের রাষ্ট্রদূত Robert Maxian (রবার্ট ম্যাক্সিয়ান), স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত Mateja Vodeb Ghosh (মাতেজা ভোদেব ঘোষ), উরুগুয়ের রাষ্ট্রদূত Alberto A. Guani (আলবার্তো এ গুয়ানি) এবং ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত CAPAYA RODRIGUEZ GONZÁLEZ (কাপায়া রদ্রিগুয়েজ গনজালেজ) রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট এর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অবকাঠামো, জ্বালানি ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকসহ বিভিন্ন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদিত হয় উল্লেখ করে এসব পণ্যের আমদানি বাড়াতে কাজ করারও কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে নতুন রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন এনইসি সভায় সে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে।’
সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই নেওয়া হয়। আগের মতো সুতা লাগানো (শর্ত দেওয়া) ঋণ নেওয়া হয় না। ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে- এসব থাকলে আমরা সে ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনইসি সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টেছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ, এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোটগ্রহণে পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে, সেটা ফিরে তাকানোর আর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বিতর্ক, সমালোচনা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোটগ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার থেকে ভোটগ্রহণে উপজেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটারদের বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি, নির্বাচন বানচাল করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অন্যদের মধ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি সমিতির বার্ষিক সম্মেলন শুরু ১৭ মে
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশ’। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। এতে আরও উপস্থিত থাকবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ ও অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম।
অর্থনীতি সমিতি জানায়, দুই দিনের এ সম্মেলনে ৯টি কর্ম-অধিবেশনে ১৭০ গবেষকের ১০০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ছয়টি কর্ম–অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনের বিষয়—বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ; রাজনৈতিক অর্থনীতি, মানব উন্নয়ন ও বৈষম্য; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রাকৃতিক সম্পদ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প; ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি, রিজার্ভ, মুদ্রা অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রা, রেমিট্যান্স ও ফিনটেক-আর্থিক প্রযুক্তি; কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা এবং পরিবেশ অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন। এসব অধিবেশনে ৬২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
কর্ম–অধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পিকেএসএফের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মণ্ডল ও অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আসিম জাওয়াদের মা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় আসিম জাওয়াদের বাবা মো. আমান উল্লাহ, মা নিলুফার আক্তার, স্ত্রী রিফাত আন্তোরা, কন্যা আয়েজা ও পুত্র আয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাক্ষাৎকালে জাওয়াদের মা প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসিম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ঢাকার সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।
চাকরিকালীন আসিম জাওয়াদ দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।
গত ৯ মে দুপুর পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এর পরপরই পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ: নানক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারাই বাংলাদেশকে আবার উল্টো পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ১৭ মে শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন হয়নি, হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাবর্তন, হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাবর্তন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পথ রুদ্ধ করার জন্য তাকে ৯ বার কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, ১৪ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবুও কেউ তাকে থামাতে পারেনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। তার প্রবন্ধে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন ড. মিল্টন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন গোটা দেশ ছিল এক রুদ্ধ কারাগার। তিনি দেশে ফিরেই যেন দেশের ভার গ্রহণ করেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছিল।
এমআই
You must be logged in to post a comment Login