খেলাধুলা
আগামী বিপিএল খেলা নিয়ে যা বললেন মাশরাফি
সংবাদ সম্মেলনে এসেই এদিক-ওদিক তাকালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তখনো সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ প্রায় ফাঁকা। বিপিএল কাভার করতে আসা সাংবাদিকেরা প্রেসবক্স থেকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে পৌঁছাননি। দৃশ্যটা দেখে হয়তো একটু অবাকই হলেন মাশরাফি। তবে মাশরাফি চেয়ারে বসে প্রশ্নের উত্তর দিতে না দিতেই ভরে গেল সংবাদ সম্মেলন কক্ষ। সংবাদ সম্মেলনটাও হলো দীর্ঘ। ১২ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছেন।
আগামী বছর বিপিএলে তাঁকে দেখা যাবে কি না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফির উত্তর ছিল এমন, ‘হতে পারে। আমার পা যদি ঠিক থাকে হতে পারে। আমি আমার মতো করেই করতে চাই। এ বছর যদি ফুল…সর্বশেষ বছরের মতো যদি ফুল (বোলিং) খেলতে পারতাম, তাহলে চিন্তা করব। যেহেতু ফুল করতে পারছি না, আমি চিন্তা করব পরে।’
তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এত আলোচনা হোক, তা চান না মাশরাফি, ‘আর শুধু আমার বিষয় না। আপনার লেখার জন্য হয়তো…কিন্তু ছয়টা প্রশ্ন পেলাম আমাকে নিয়ে। মাশরাফি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু না। আপনাদের চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যারা সামনের ১০ বছর সার্ভিস দেবে, থিংক অ্যাবাউট দেম। মানুষ যা খায়, তা খাওয়াইতে গেলে হবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেটে কী উন্নতি হবে, সেগুলো চিন্তা করতে হবে আপনাদের। এবং সেগুলোই মানুষকে জানাতে হবে।’
মাশরাফির খেলা চালিয়ে যাওয়ার পেছনের কারণটাও নতুন করে আরও একবার বললেন, ‘আমি তো বলেছিলাম আমি ক্রিকেট খেলব। আই এনজয় মাই ক্রিকেট।’
নিজের পায়ের চোটের অবস্থা নিয়েও একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি, ‘এখন সর্বশেষ বছর পর্যন্ত আমার পায়ে কোনো রকম সমস্যা হয়নি। এই বছরে হঠাৎ চার মাস আগে ব্যথা অনুভব করি। আমি জানি না কী হয়েছে। ডাক্তার দেখিয়েছি, পরে বলেছে ছোট একটা অপারেশন লাগবে। আমি নিজেও চাইনি যেহেতু পুরো ফিট না। তবে ওই যে বললাম সবকিছুতে যদি কিন্তু থাকে। কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়ার ব্যাপার থাকে। খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছি আরকি।’
চোটের সঙ্গে লড়াই করে মাশরাফির এভাবে খেলে যাওয়াকে ভালোভাবে দেখেননি মাশরাফির একসময়ের সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল। তাঁর মতে, মাশরাফির এভাবে খেলে যাওয়া বিপিএলকে ছোট করছে। আশরাফুলের এমন মন্তব্যের পর আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে মাশরাফি ৪ ওভার বোলিং করেছেন, রান দিয়েছেন ১৯। দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। মাশরাফি অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর আজকের পারফরম্যান্সের পেছনে আশরাফুলের মন্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
তাঁর মুখেই শুনুন, ‘আমি কোনো দিনও আমার ক্যারিয়ারে পাল্টা আক্রমণ করিনি। অবশ্যই খেলাধুলায় মানুষ ভালোটাই চায়। সব সময় যারা জয়ী হয় তাদেরই চিন্তা করে, ওদেরই মনে রাখে। এটা খুব স্বাভাবিক। শুধু ক্রিকেটে নয়, জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই দেখবেন, যদি আপনি ভালো করেন, সেটাই মানুষ এসে বলবে। খারাপকে কেউ কখনো গ্রহণ করে না। সুতরাং এখানে উত্তর দেওয়ার কিছু নেই। এখানে আমরা যারা খেলছি, তারা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো।’
এরপর দলের চাওয়ায় খেলার বিষয়টি আরও একবার বললেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক, ‘যেহেতু বোলিং করতে পারছি না, সেহেতু না খেললেই ভালো হতো। তবে দলের চাওয়া, সবকিছুর একটা ব্যাপার থাকে। সেটা নিয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলিনি। আজকে চেষ্টা করেছি, ভালো লাগলে বোলিং করব। পা’টা একটু ভালো লাগছিল। আর শর্ট রান আপে তো আমি গত পাঁচ-ছয় বছর ধরেই বোলিং করছি। আমার তো আর পেস বিষয় না। আর ফুল রান আপে করলেও একই পেস হয়। সর্বশেষ বছরে আমি শর্ট রান আপে করেছি অথবা এর থেকে একটু বড় রান আপে, ১৫ উইকেট পেয়েছি। এটাই, আপনি চেষ্টা করতে পারেন। এর বেশি কিছু না।’
মাঠের বাইরের সমালোচনা নিয়েও ভাবছেন না সিলেটের অধিনায়ক। আজ তাঁর পুরো স্পেল বোলিং করার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলছিলেন, ‘এগুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় আমার নেই। পারফরম্যান্স এমন একটা জিনিস…আমি তো সর্বশেষ দুই ম্যাচ প্রায় বোলিংই করিনি। পরিষ্কারভাবে মেসেজ ছিল যে আমি পারব না। আজ একটু ভালো লাগছিল বলে করেছি। আমি যেহেতু খেলছি, আমাকে এভাবেই খেলতে হবে। আমার কাজ হচ্ছে বোলিং করা, বোলিং খারাপ করলে মাথায় নিতে হয় যে আমি খারাপ করছি। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স খারাপ হতেই পারে। বাইরের আলোচনায় আপনি কামব্যাক করতে পারবেন না। আপনাকে নিজেকেই সমাধান খুঁজতে হবে। আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও এমন না যে আমিও সব সময় পারফর্ম করেছি। খারাপ গেছে, কোনো দিন ভালো গেছে। সব খেলোয়াড়কেই সমালোচনা নিয়েই খেলতে হবে। এটার জবাব দেওয়ার কিছু নেই। জবাব দেওয়াও যায় না। বরং খেলায় মনোযোগ দেওয়া ভালো।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়-ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। সেই সঙ্গে ব্যাটে-বলের দাপটও দেখতে চেয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু, সেই অর্থে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ছাপ রাখতে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের লড়াই ছাপিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় ৯ রানে। এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ গড়াবে ঢাকায়।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ (৭ মে) আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে পাঁচ উউকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলনসই পুঁজি
ফের ব্যর্থ হলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। এরপর জাকের আলি ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। শেষটাও ভালো করেন রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন টস জেতেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বেছে নেন আগে বল করার। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের।
কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় ও রাজার করা প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকান শান্ত। দুই বল পর স্ট্রাইকে ফিরে হয়ে যান বোল্ড। রাজার আর্ম বলের লাইন মিস করেন ৪ বলে ৬ রান করা শান্ত।
এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দুজনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে।
তার বলে এগিয়ে এসে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তানজিদ। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ২১ রান করে। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলি অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়।
৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জাকেরের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ বলে ৮৭ রানের।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিরিজ জয়ের মিশনে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচে আজ মঙ্গলবার মাঠে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা। আর এই ম্যাচ জিততে পারলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিশ্চিত করবে সিরিজ জয়। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর তিনটায়।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছে রানতাড়া করে। সে রানতাড়াও যে খুব সাবলীল হয়েছে তাও নয়। প্রথম দুই ম্যাচেই বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছেন দুই নির্ভরযোগ্য তারকা লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হলেও টাইগার ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ম্যাচের আগের দিন গতকাল টাইগারদের সহকারী কোচ নিক পোথাস অবশ্য জানালেন প্রথমদিকে চ্যালেঞ্জিংয়ের কথা, ‘উইকেট ভালো, তবে প্রথম ১০ ওভার দুই দলই সংগ্রাম করছে। প্রথম ১০ ওভার চ্যালেঞ্জিং, মোটেও সহজ নয়। বোলিংও ভালো হচ্ছে। জিম্বাবুয়ের ২ জন কোয়ালিটি নতুন বলের বোলার আছে। আমার মনে হয় তাদের বিপক্ষে আমাদের ছেলেরা ভালোই করেছে। উইকেট দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, শুরুর দিকে আসলে মোটেও ততটা সহজ নয়।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে বাংলাদেশ দাবি পোথাসের, ‘এই ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ, ছেলেরা বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সিরিজ মানেই আপনাকে জেতার জন্য খেলতে হবে। এক্সপেরিমেন্টের আগে ভালো খেলতে হবে। সিরিজ জয়ের পর পরীক্ষানিরীক্ষার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এখন যদি আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গিয়ে ম্যাচ হেরে যাই তাহলে তা বুমেরাং হয়ে যাবে।’
পরের অংশেই আবার জানালেন সাংবাদিকদের নিয়েও ভাবনা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের, ‘জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলে আপনারা কী লেখালেখি করবেন? আবার আমরা যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতি, তখনই বা কী লিখছেন? আপনাদের প্রত্যাশার কথাও আমাদের ভাবতে হয়। সেই সাথে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও।’
বিশ্বকাপের উইকেট প্রসঙ্গে পোথাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট এখানকার মতো হবে না। আমরা ভালো উইকেটে খেলব। এই উইকেটগুলও ভালো তবে শুরুতে বোলারদের সহায়তা দিচ্ছে। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা দ্রুত কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়। সেদিক থেকে ছেলেরা ভালো করছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জিতলেই কোটি টাকা পাবেন বাবর-রিজওয়ানরা
বাজছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। আসরটি মাঠে গড়াতে বাকি আর সপ্তাহ তিনেক। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের গোছাতে ব্যস্ত। সবার লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। আর এবার এই মিশন আরো চাঙা করতে লোভনীয় পুরস্কারের ঘোষণা দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেই খেলোয়াড়েরা পাবেন পিসিবির পক্ষ থেকে কোটি টাকা।
গতকাল রোববার পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। মূলত তিনি সেখানে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহর ভিন্ন দুটি মাইলফলক ছোঁয়ার অভিনন্দন জানাতে। পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন পিসিবির প্রধান।
সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছিলেন নাকভি, আর সেখানেই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উদ্দেশে দেন কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা। এর আগে বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়ে পিসিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারো পরোয়া কোরো না। শুধু পাকিস্তানের হয়ে খেলো। সবাই দল হিসেবে থাকো, একসঙ্গে পারফর্ম করো। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের সঙ্গী হবে। তোমাদের কাছে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করছি, তোমরা পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে ধরবে।’
এ সময় খেলোয়াড়দের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানেরও আশ্বাস দেন পিসিবির প্রধান। পরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথাক্রমে ৩ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার জন্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেন চেয়ারম্যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টাইগার পেসারদের বন্দনায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার
গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক ঘটেছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। নিজের প্রথম ম্যাচেই প্রতিভার কথা ব্যাট হাতে জানান দিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পবেল প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের পেসারদের।
ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আসলে দুই দলের পেসাররাই দারুণ। শরিফুল দারুণ বোলিং করেছে শুরুতে। বল সুইং করিয়েছে। একই কাজ তাসকিনও করেছে। ভালো গতিতে বল করেছে সে। আমাদের দুই পেসারও পাওয়ারপ্লেতে ভালো করেছে। নতুন বল এখানে একটু বেশি সুইং করে যে কারণে পাওয়ারপ্লেতে ভালো করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই জায়গাটির উপর নির্ভর করে দল ভালো রান পাবে নাকি পাবে না। খুব কঠিন হয়ে যেতে পারে এখানে বড় রান তাড়া করাটা।’
মাঝের সময়ে জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে ক্যাম্পবেল জানান, ‘আসলে আমরা নিজেদের ম্যাচে রাখতে চেয়েছিলাম। এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে (হাসি)। শুধু নিজেদের খেলার মাঝে ধরে রাখো, রান রেটটাকে যত বেশি বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করো যেন তারা ভুল করে বসে।’
নিজেদের শুরুর ব্যাটিং নিয়ে হতাশ ক্যাম্পবেল , ‘আসলে আমরা আরও একবার ভালো শুরু পাইনি। যা নিয়ে আমাদের পরের কিছু ম্যাচে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি আমি এবং ব্রায়ান বেনেট যেভাবে মাঝের ওভারে খেলেছি তা দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ক। ৯-১০ রানের ওভার এসেছে। এটা ভালো ব্যাপার। শুরুটা ভালো হলে হয়ত আরও ভালো কিছু হত।’
সামনে আরও রানের আশা ক্যাম্পবেলের, ‘(উইকেট) ভালো। ভালো উইকেট। উইকেট নিয়ে খুশি। সিরিজ আগালে হয়ত বড় রান হবে। সবাই কন্ডিশন বুঝতে পারবে আরও ভালোভাবে তখন আরও রান হবে।’
এমআই