পুঁজিবাজার
একটির বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার দেবে বার্জার পেইন্টস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বার্জার পেইন্টস (বাংলাদেশ) লিমিটেড রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। এছাড়া কোম্পানির প্রধান শেয়ারহোল্ডার জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেডের প্রায় ৩০ লাখ শেয়ার বার্জার পেইন্টসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপরীতে হস্তান্তর করা হবে। এ দুটি পদ্ধতিতে এই রাইট শেয়ার বন্টন করা হবে। এতে কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাবেন।
জানা গেছে, সাধারণভাবে প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডারের জন্য কোম্পানিটি ১:১৭ হিসেবে রাইট শেয়ার দেবে। অর্থাৎ প্রতি ১৭টি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এক লাখ ৩৬ হাজার ৪২০টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অন্যদিকে কোম্পানির প্রধান শেয়ারহোল্ডার জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড পাবে ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৯১টি শেয়ার।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা প্রিমিয়াম নেবে। প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি রাইট শেয়ারের দাম পড়বে ১ হাজার ৩৭৬ টাকা।
জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড যে রাইট শেয়ার পাবে, তা কোম্পানিটি বার্জার পেইন্টসের (বাংলাদেশ) কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপরীতে হস্তান্তর করে দেবে। তারা ১৬:১৭ হিসেবে এই শেয়ার পাবেন। এতে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৭১ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২১ লাখ ৮২ হাজার ৭২০টি শেয়ার পাবেন।
সব মিলিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১:১৭ ও ১৬:১৭ হিসেবে অর্থাৎ ১:১ অনুপাতে শেয়ার পাবেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে রাইট শেয়ার ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড তাদের সব রাইট শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে হস্তান্তর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিএসইসি বার্জারসহ কয়েকটি কোম্পানিকে ফ্লোটিং শেয়ারের হার বাড়িয়ে ন্যুনতম ১০ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। রাইট শেয়ার ইস্যু করার বার্জারের ফ্লোটিং শেয়ারের হার হবে ১০.২৮ শতাংশ।
রাইট ইস্যুর প্রক্রিয়ায় বার্জার পেইন্টস ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে কোম্পানির তৃতীয় কারখানা স্থাপনের ব্যয়ের একাংশ মেটানো হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প পার্কে আলোচিত কারখানা স্থাপিত হবে। এর আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১৩ কোটি টাকা। আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিল নাগাদ এ কারখানা বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে কোম্পানি আশা করছে।
রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেওয়ার লক্ষ্যে কোম্পানিটি আগামী ১০ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি পেলে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমতি চেয়ে পুঁজিবাজারনিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে আবেদন করবে। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
যোগাযোগ করলে বার্জার পেইন্টস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কোম্পানি সচিব খন্দকার আবু জাফর সাদিক অর্থসংবাদকে বলেন, দুটি কারণে পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প পার্কে আমাদের তৃতীয় যে কারখানা হচ্ছে, রাইটের অর্থ দিয়ে তার নির্মাণ ব্যয়ের একাংশ মেটানো হবে। অন্যদিকে বিএসইসি আমাদের ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত করার যে নির্দেশনা দিয়েছিল, রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সেটিও বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, রাইট শেয়ার ইস্যুর ফলে কোম্পানি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। প্রথমত: কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের হার ১০ শতাংশে উন্নীত হলে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২২.৫০ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হবে। তাতে কোম্পানির নিট লভ্যাংশ বাড়বে।
অন্যদিকে রাইটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ফলে কোম্পানির কস্ট অব ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের খরচ কমে আসবে। এটিও মুনাফা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। আর তৃতীয় কারখানা উৎপাদনে এলে কোম্পানির রাজস্ব ও মুনাফা-দুটিতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে নয় ব্যাংকের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৬টির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গত ৩১ মার্চ,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ৩৫টি ব্যাংক। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৯ ব্যাংকের। একই সময়ে আয় বেড়েছে ২৪টির এবং লোকসানে রয়েছে ২টি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইপিএস কমে যাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- আইএফআইসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী, ইসলামী ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।
আইএফআইসি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি২৪-মার্চ’২৪) ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১২ পয়সা।
এবি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১৩ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়ে ছিলো। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১ পয়সা।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ৩২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়ে ছিলো । অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১ পয়সা।
ইসলামী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৩ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৫৪ পয়সা।
সাউথইস্ট ব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪২ পয়সা।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ২৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৪ পয়সা।
এনসিসি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৫২ পয়সা।
ব্যাংক এশিয়া
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪৬ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২৪ ব্যাংকের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৬টির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গত ৩১ মার্চ,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ৩৫টি ব্যাংক। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২৪ ব্যাংকের। একই সময়ে আয় কমেছে ৯টির এবং লোকসানে রয়েছে ২টি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইপিএস বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকগুলো হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ৮১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৫৮ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়ে ছিলো । অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২৩ পয়সা।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ০৭ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়ে ছিলো । অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৮ পয়সা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছিল ৬১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১২ পয়সা।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ২৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৯ পয়সা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিলো ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১০ পয়সা।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪ পয়সা।
এনআরবি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা। গত অর্থবছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৬১ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৫ পয়সা।
সিটি ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১ পয়সা।
পূবালী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪১ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১০ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৪ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২৪ পয়সা।
আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪ পয়সা।
ঢাকা ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৬ পয়সা।
যমুনা ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৪ পয়সা (রিস্টেটেড)। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩৮ পয়সা।
ইস্টার্ন ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২৪ পয়সা।
ওয়ান ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাকটির শেয়ার প্রতি আয় (কনস্যুলেটেড ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৩ পয়সা।
উত্তরা ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২ পয়সা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৭ পয়সা।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১২ পয়সা।
ইউনিয়ন ব্যাংক
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৫ খাতে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে এই ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে দর বেড়েছে ৫ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পাট খাতে। এই খাতে ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমেছে। ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। আর ৫ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সিমেন্ট খাতে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, সেবা খাতে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, আইটি ও ফার্মা খাতে সমান ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রকৌশলী খাদ্য খাতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, চামড়া খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৫ খাতে। দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর কমেছে ১৫ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতে। এ খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর ২ দশমিক ৬০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আর্থিক খাত।
তালিকায় থাকা দরবৃদ্ধি পাওয়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সাধারণ বিমা খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ফার্মা খাত
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ফার্মা ও রসায়ন খাত। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ শতাংশ।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যনুযায়ী, ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন করে খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। আর খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনর তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৫ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ট্রাভেল খাতে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিক খাতের ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ৮০ খাতে, সেবা খাতে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, পাট খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ও পেপার খাতে সমান ১ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ০ দশমিক ৮০ শতাংশ, এবং টেলিকম খাতে ০ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এসএম