অর্থনীতি
৩৯১ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান অয়েল এবং ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, টিসিবি কর্তৃক ৩টি লটে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ৩টি প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রোডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নিকট থেকে দর প্রস্তাব চাওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান ৩টি দর প্রস্তাব দাখিল করে। টিইসি কর্তৃক দর প্রস্তাব ৩টি পরীক্ষান্তে রেসপনসিভ হয়। দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা মজুমদার প্রোডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস এবং আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নিকট থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রত্যাশামূলক অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ডাল কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা।
জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দর প্রস্তাব জমা পড়ে। দর প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেডের নিকট থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ডাল কিনতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দর প্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি দর প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেডের নিকট থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা হিসেবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য
বাংলাদেশের ‘ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্যের ওপর সম্প্রতি দেশব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ (এমডব্লিউবি)। গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমান এই শিল্পে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশনা তুলে ধরেন মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণার আওতায় আনা পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।
প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আশাব্যাঞ্জক তথ্য হলো- উভয় পণ্যের বাজার গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ (প্রায়) এবং ১৩ শতাংশ (প্রায়)। যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।
এই বাজারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোট মার্কেট শেয়ারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। যেহেতু দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। গবেষণা অনুসারে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।
এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।
দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য গ্রে-মার্কেটের কার্যক্রম হ্রাসে সরকারের তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। একই সাথে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের বিদ্যমান ট্যাক্স পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে যাতে কোম্পানিগুলো কম ব্যয়ে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি এ সমস্ত শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ গড়ে তোলার জন্য সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে নিরাপদ ও মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সেজন্য আয়োজিত নানা প্রচারণায় অংশ নেবেন তারা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ–সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও।
জানা গেছে, ২৪ মে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট–সংক্রান্ত প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানের খরচও বহন করবে উল্লিখিত ব্যাংকগুলো।
পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়াসংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। তবে ডলার সংকটের মধ্যে একসঙ্গে প্রায় অর্ধেক ব্যাংক এমডির বিদেশে যাওয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে দেশের ডলার সংকটের এ সময়ে ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা ধরনের প্রচার–প্রচারণাও চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ টানা ৫ দিন
বেনাপোল বন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (১৭ মে) বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শনি, রোব ও সোমবার ভারতের উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁতে লোকসভা নির্বাচন, মঙ্গলবার যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাচন ও বুধবার বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে সবধরনের আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে মেডিকেল ইমার্জেন্সি রোগী ও পচনশীল পণ্য বহনকারী যানবাহন বৈধ কাগজপত্র সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে পুরোদমে আবারো চলবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, এ পথে পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ভারতের নির্বাচন উপলক্ষে তিনদিন যাত্রী চলাচল সীমিত করার কোনো পত্র আমরা পায়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চড়া মাছের বাজার, সবজিতে সুখবর নেই
মাছের বাজারে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দরের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে অধিকাংশ মাছের দাম এখনো তেমন একটা কমেনি। এদিকে, আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বিক্রেতাদের দাবি, গরমের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, বাজারে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মাছ। এর মধ্যে রুই ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫৪০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধা কপির দাম ৬০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ও পটল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোলাইমান মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।
সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী রাকিব মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।
এদিকে বাজারে মুরগির মাংসের দামও আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, লেয়ার ৩৪০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি সমিতির বার্ষিক সম্মেলন শুরু ১৭ মে
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশ’। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। এতে আরও উপস্থিত থাকবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ ও অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম।
অর্থনীতি সমিতি জানায়, দুই দিনের এ সম্মেলনে ৯টি কর্ম-অধিবেশনে ১৭০ গবেষকের ১০০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ছয়টি কর্ম–অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনের বিষয়—বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ; রাজনৈতিক অর্থনীতি, মানব উন্নয়ন ও বৈষম্য; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রাকৃতিক সম্পদ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প; ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি, রিজার্ভ, মুদ্রা অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রা, রেমিট্যান্স ও ফিনটেক-আর্থিক প্রযুক্তি; কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা এবং পরিবেশ অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন। এসব অধিবেশনে ৬২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
কর্ম–অধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পিকেএসএফের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মণ্ডল ও অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান।
এমআই