খেলাধুলা
বিশ্বকাপের ডু অর ডাই ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট ছেড়েছিল এশিয়ান চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে। ছিল ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ব্লুমফন্টেইনে তা খুব একটা কাজে লাগলো না বাংলাদেশের জন্য। নিজেদের প্রবল প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে বেশ বড় ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানসিকভাবেও কিছুটা হয়ত ধাক্কা ই খেয়েছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি-আশিকুর রহমান শিবলীরা। মারুফ মৃধার দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ভারতের কাছে খুব একটা হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। আর সেই হারের ক্ষত না শুকোতেই এবার বাংলাদেশের সামনে ডু অর ডাই ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে জুনিয়র টাইগারদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। যারা কিনা প্রথম ম্যাচেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম ম্যাচে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচ কোনো কারণে হারলে ফিরতি টিকিট কাটতে হতে পারে বাংলাদেশের জুনিয়রদের।
যদিও প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষাকৃত সহজ একটা ম্যাচই অপেক্ষা করছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে। তবে, এই ম্যাচেও হেলাফেলার সুযোগ নেই রাব্বি-মারুফদের। পরের রাউন্ডে যাওয়া এবং সুপার সিক্সে বোনাস পয়েন্ট যোগের জন্য, হারাতে হবে আইরিশদের।
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে তাই প্রথম জয় খুঁজে নেয়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। অবশ্য হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে পরের রাউন্ডে ওঠার। কিন্তু সুপার সিক্সে গ্রুপপর্বের পয়েন্ট যোগ করার নতুন নিয়মে, শেষ চার পৌঁছানোর জন্য এই ম্যাচে জয় একান্ত দরকার।
নিয়ম আর বাস্তবতা মাথায় রেখেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামার অপেক্ষায় জুনিয়র টাইগাররা। এশিয়া কাপ জয়ের পর এবার বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে ডু অর ডাই ম্যাচের বিশাল চাপ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলনসই পুঁজি
ফের ব্যর্থ হলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। এরপর জাকের আলি ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। শেষটাও ভালো করেন রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন টস জেতেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বেছে নেন আগে বল করার। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের।
কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় ও রাজার করা প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকান শান্ত। দুই বল পর স্ট্রাইকে ফিরে হয়ে যান বোল্ড। রাজার আর্ম বলের লাইন মিস করেন ৪ বলে ৬ রান করা শান্ত।
এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দুজনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে।
তার বলে এগিয়ে এসে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তানজিদ। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ২১ রান করে। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলি অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়।
৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জাকেরের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ বলে ৮৭ রানের।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিরিজ জয়ের মিশনে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচে আজ মঙ্গলবার মাঠে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা। আর এই ম্যাচ জিততে পারলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিশ্চিত করবে সিরিজ জয়। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর তিনটায়।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছে রানতাড়া করে। সে রানতাড়াও যে খুব সাবলীল হয়েছে তাও নয়। প্রথম দুই ম্যাচেই বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছেন দুই নির্ভরযোগ্য তারকা লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হলেও টাইগার ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ম্যাচের আগের দিন গতকাল টাইগারদের সহকারী কোচ নিক পোথাস অবশ্য জানালেন প্রথমদিকে চ্যালেঞ্জিংয়ের কথা, ‘উইকেট ভালো, তবে প্রথম ১০ ওভার দুই দলই সংগ্রাম করছে। প্রথম ১০ ওভার চ্যালেঞ্জিং, মোটেও সহজ নয়। বোলিংও ভালো হচ্ছে। জিম্বাবুয়ের ২ জন কোয়ালিটি নতুন বলের বোলার আছে। আমার মনে হয় তাদের বিপক্ষে আমাদের ছেলেরা ভালোই করেছে। উইকেট দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, শুরুর দিকে আসলে মোটেও ততটা সহজ নয়।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে বাংলাদেশ দাবি পোথাসের, ‘এই ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ, ছেলেরা বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সিরিজ মানেই আপনাকে জেতার জন্য খেলতে হবে। এক্সপেরিমেন্টের আগে ভালো খেলতে হবে। সিরিজ জয়ের পর পরীক্ষানিরীক্ষার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এখন যদি আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গিয়ে ম্যাচ হেরে যাই তাহলে তা বুমেরাং হয়ে যাবে।’
পরের অংশেই আবার জানালেন সাংবাদিকদের নিয়েও ভাবনা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের, ‘জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলে আপনারা কী লেখালেখি করবেন? আবার আমরা যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতি, তখনই বা কী লিখছেন? আপনাদের প্রত্যাশার কথাও আমাদের ভাবতে হয়। সেই সাথে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও।’
বিশ্বকাপের উইকেট প্রসঙ্গে পোথাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট এখানকার মতো হবে না। আমরা ভালো উইকেটে খেলব। এই উইকেটগুলও ভালো তবে শুরুতে বোলারদের সহায়তা দিচ্ছে। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা দ্রুত কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়। সেদিক থেকে ছেলেরা ভালো করছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জিতলেই কোটি টাকা পাবেন বাবর-রিজওয়ানরা
বাজছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। আসরটি মাঠে গড়াতে বাকি আর সপ্তাহ তিনেক। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের গোছাতে ব্যস্ত। সবার লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। আর এবার এই মিশন আরো চাঙা করতে লোভনীয় পুরস্কারের ঘোষণা দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেই খেলোয়াড়েরা পাবেন পিসিবির পক্ষ থেকে কোটি টাকা।
গতকাল রোববার পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। মূলত তিনি সেখানে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহর ভিন্ন দুটি মাইলফলক ছোঁয়ার অভিনন্দন জানাতে। পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন পিসিবির প্রধান।
সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছিলেন নাকভি, আর সেখানেই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উদ্দেশে দেন কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা। এর আগে বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়ে পিসিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারো পরোয়া কোরো না। শুধু পাকিস্তানের হয়ে খেলো। সবাই দল হিসেবে থাকো, একসঙ্গে পারফর্ম করো। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের সঙ্গী হবে। তোমাদের কাছে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করছি, তোমরা পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে ধরবে।’
এ সময় খেলোয়াড়দের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানেরও আশ্বাস দেন পিসিবির প্রধান। পরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথাক্রমে ৩ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার জন্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেন চেয়ারম্যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টাইগার পেসারদের বন্দনায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার
গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক ঘটেছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। নিজের প্রথম ম্যাচেই প্রতিভার কথা ব্যাট হাতে জানান দিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পবেল প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের পেসারদের।
ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আসলে দুই দলের পেসাররাই দারুণ। শরিফুল দারুণ বোলিং করেছে শুরুতে। বল সুইং করিয়েছে। একই কাজ তাসকিনও করেছে। ভালো গতিতে বল করেছে সে। আমাদের দুই পেসারও পাওয়ারপ্লেতে ভালো করেছে। নতুন বল এখানে একটু বেশি সুইং করে যে কারণে পাওয়ারপ্লেতে ভালো করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই জায়গাটির উপর নির্ভর করে দল ভালো রান পাবে নাকি পাবে না। খুব কঠিন হয়ে যেতে পারে এখানে বড় রান তাড়া করাটা।’
মাঝের সময়ে জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে ক্যাম্পবেল জানান, ‘আসলে আমরা নিজেদের ম্যাচে রাখতে চেয়েছিলাম। এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে (হাসি)। শুধু নিজেদের খেলার মাঝে ধরে রাখো, রান রেটটাকে যত বেশি বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করো যেন তারা ভুল করে বসে।’
নিজেদের শুরুর ব্যাটিং নিয়ে হতাশ ক্যাম্পবেল , ‘আসলে আমরা আরও একবার ভালো শুরু পাইনি। যা নিয়ে আমাদের পরের কিছু ম্যাচে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি আমি এবং ব্রায়ান বেনেট যেভাবে মাঝের ওভারে খেলেছি তা দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ক। ৯-১০ রানের ওভার এসেছে। এটা ভালো ব্যাপার। শুরুটা ভালো হলে হয়ত আরও ভালো কিছু হত।’
সামনে আরও রানের আশা ক্যাম্পবেলের, ‘(উইকেট) ভালো। ভালো উইকেট। উইকেট নিয়ে খুশি। সিরিজ আগালে হয়ত বড় রান হবে। সবাই কন্ডিশন বুঝতে পারবে আরও ভালোভাবে তখন আরও রান হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ
আরও একটি সহজ জয় বাংলাদেশের। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয়টিতেও পাত্তা পেলো না জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে আজ (রোববার) ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টাইগাররা জিতেছে ৬ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রান তাড়ায় শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে ৩৫ বলে ৪১ রান তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান তামিম অবশ্য ভালো করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৮ রানেই থামে তার ইনিংস। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।
নাজমুল হোসেন শান্তও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। ১৫ বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ১৬। লিটন দাস শুরুটা ভালো করলেও এরপর ফর্মে ফেরার চেষ্টায় বল নষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ২৩ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই রান আসে ১০ ওভারে।
এর মধ্যে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন টাইগার সমর্থকরা। বাংলাদেশ যে তখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে পিছিয়ে ছিল।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক। তবে তাদের জুটিটি টেকেনি ২৩ বলে ৩১ রানের বেশি। জাকের আলি বোল্ড হন ১২ বলে ১৩ করে।
তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ১৬ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২৬ রানে মাহমুদউল্লাহ আর ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে আর ২ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।
এর আগে জিম্বাবুয়ে ইনিংসে অনেকটাই যেন প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি। শুরুতে টাইগার বোলারদের তোপে কোণঠাসা সফরকারীরা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে মান বাঁচানো পুঁজি।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ১২৪। এবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত দাঁড় করায় ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের সংগ্রহ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল জিম্বাবুয়ে। ধীরগতিতে শুরু করে তারা। কিন্তু লাভ হয়নি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তাদিওয়ানাশে মারুমানি ২ করে হন তাসকিনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার।
উইকেট বাঁচানোর চেষ্টায় অনেক বল খেলে ফেলেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। ৩০ বলে ১৭ করে তিনি অবশেষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দশম ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৩) আর ক্লাইভ মাদান্দে (০) ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ১৬ বলে ১৩ করে শেখ মেহেদীকে উইকেট দেন ক্রেইগ আরভিন। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে আজই অভিষেক হওয়া জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান ক্যাম্পবেল দলের হাল ধরেন। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করে দিয়ে যান তিনি।
অবশেষে এই জুটিটা ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। মিডউইকেট বাউন্ডারিতে সাইফউদ্দিনের ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই অভিষিক্ত। ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান ক্যাম্পবেল।
শেষদিকে ঝড় তুলেছেন বেনেট। ২৯ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১৮ আর রিশাদ হোসেন ৩৩ রানে শিকার করেন দুটি করে উইকেট। শরিফুল ৪ ওভারে দেন ২৬, শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ১৮ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট।