অর্থনীতি
দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে: গভর্নর
চলতি বছর কিছু দুর্বল তফসিলি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান গভর্নর।
গভর্নর বলেন, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ আর সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ করা হয়েছে। তবে নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
বাজারে ডলার সরবরাহের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো হবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ কমানো হলেও বিনিয়োগ বা কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, দেশে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করা হবে। এক অর্থবছরেই ১৮ বিলিয়ন ডলার কমেছে অবকাঠামো উন্নয়নে। এক বছরে এতটা ব্যয়ের জন্যই রিজার্ভ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তবে সে অনুযায়ী ডলার আসছে না। ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে ডলার কেনার কারণে নগদ সংকটে পড়েছে। এটাও সমাধান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, অর্থনীতির ভাষায় ক্রলিং পেগ হলো নিজের দেশের মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি; যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারসহ একটি মুদ্রাকে একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেয়া হয়। অস্থিরতার সময় দেশীয় মুদ্রার মূল্য এবং হারের সীমাও ঘনঘন সমন্বয় করা হয়। এখানে মুদ্রার হারের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।
মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর আরও বলেন, এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি প্রশমন করা। মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৫.৫৬ বিয়িলন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী (বিপিএম৬) রিজার্ভ ২০.৩২ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
আকু হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্তঃ আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রফতানি হয়, তা প্রতি দুমাস পরপর নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি সমিতির নতুন সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নতুন সভাপতি হচ্ছেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। আর সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মো. আইনুল ইসলাম।
ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত অর্থনীতি সমিতির দুই দিনব্যাপী ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহক কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এতে ৩ হাজার ৮৮৩ ভোটারের মধ্যে ৮৮৭ জন ভোট দিয়েছেন।
অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটি ২৯ সদস্যের। তবে বিদায়ী সভাপতি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন পর্ষদে সদস্য হিসেবে থাকেন। সেই হিসাবে বর্তমান সভাপতি আবুল বারকাত নতুন পর্ষদে থাকবেন। বাকি ২৮ পদে নির্বাচন হয়েছে।
নির্বাচনে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও মো. আইনুল ইসলামের প্যানেলের ২৮ জনের জন্যের মধ্যে ২৭ জনই জয়ী হয়েছেন। তার বাইরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে মো. মুজাফফর আহমেদ ও সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল প্যানেলের কেউ জয়ী হতে পারেননি।
জানা যায়, নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মুজাফফর আহমেদ পেয়েছেন ১৬২ ভোট। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আইনুল ইসলাম ৬২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল পেয়েছেন ১৬৭ ভোট।
নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জামাল উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম সালেহ্, মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে বদরুল মুনির, যুগ্ম সম্পাদক পদে শেখ আলী আহমেদ টুটুল ও মোহাম্মদ আকবর কবীর, সহ-সম্পাদক পদে নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া সদস্য পদে হান্নানা বেগম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, শাহানারা বেগম, নাজমুল ইসলাম, শাহেদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, মো. মোরশেদ হোসেন, মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী বিজয়ী হয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেবার মাধ্যমে করদাতাকে পুরস্কৃত করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
রাজস্ব আহরণের জন্য করদাতাকে সেবার মাধ্যমে পুরস্কৃত করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশনে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা স্মার্ট হতে হবে, তাহলেই সেটি অর্জন সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর অগ্রাধিকারসমূহ বাস্তবায়নের প্রথম বাজেট এটা। এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রেবিবার (১৯ মে) ঢাকায় লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন অব দ্য ট্যাক্সজেশন সিস্টেম ইন বাংলাদেশ: দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার ফর হায়ার রিসোর্স মবিলাইজেশন’ ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ ও অতিথি হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বক্তব্য রাখেন। কিনোট প্রেজেন্টার ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ এবং দেশীয় সম্পদের পূর্ণ ব্যবহারে গুরুত্ব দেন। রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিঘাত মোকাবিলা করে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকের আলোচনায় ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার কথা উঠে এসেছে। যদি বড় ব্যবসায়ীরা ক্যাশে ট্রানজেকশন করতে চায়, তবে আমরা কীভাবে ক্যাশলেস ইকোনোমিতে পরিণত হবো।
অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব বোর্ড কর দাতাদের করভার কমিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আলোচনায় বক্তারা রাজস্ব আয় বাড়াতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন ও কর প্রদান সহজ করার ওপর জোর দেন।
ডায়ালগে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি মি. এনরিকো লরেঞ্জো বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ল সৈয়দ খালেদ আহসান, বিজিএমই’র পরিচালক শামস মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেনসহ প্যানেলিস্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা
মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। আসছে বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় বাড়তি গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাফতরিক কার্জকম- সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক।
বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকার রিচার্জে ৩৩ টাকার বেশি কর দেন গ্রাহকরা। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেটেও। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সবোর্চ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়াতে থাকলে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা একটু কষ্ট হয়ে যায়। তাই সরকারের কাছে আবেদন, যাতে ভ্যাট না বাড়ায়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
স্বস্তির খবর নেই মোবাইল ফোনেও। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে তিন থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এখাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক বলেন, ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।
যদিও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
পলক বলেন, ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।
বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় পাঁচ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বোঝা বহন করতে হচ্ছে এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৯৮৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। এ দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ। রোববার (১৯ মে) যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।
আজ রবিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৮০ হাজার ৮৬৬ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটেv প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩৬ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।
এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, মে মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখ দেশে এসেছে ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।