জাতীয়
নাশকতা রোধে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে রেল
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল-অবরোধে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন ট্রেন ঘিরেই ঘটেছে একের পর এক নাশকত। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এ ধরনের নাশকতা এড়াতে রেলকে তাই এবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আন্তনগর ট্রেন, এবং পরবর্তী সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, হরতাল-অবরোধে সরকারি বাহন ট্রেনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোকেও ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে, ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। যেকোনও নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এটি। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অটোরিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা: ডিএমপি
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকার কোথায় কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করবে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাদ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাইনি। মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার পর আমরা ব্যবস্থা নেবো কোথায় চলবে আর কোথায় চলবে না।
তাহলে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে ডিএমপির উদ্যোগের কী হবে- জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেবে সেটিই প্রতিপালন করা হবে।
এর আগে সোমবার (২০ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারে মেহেনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে দেশের ২২টি মহাসড়কে এসব রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দশ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। রাজস্ব আদায়ের যে সংশোধিত লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে ২৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা কম আদায় করতে পেরেছে এনবিআর। যা মূল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই আদায় ৪৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা কম। প্রতিবছরের মতো এবারও অর্থবছরের শুরু থেকেই লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে এবার বাড়তি রাজস্ব আদায়ের শর্তও পূরণ করতে হবে সংস্থাটিকে। আইএমএফের শর্ত মতে, রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৫ শতাংশ হারে বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত সব মিলিয়ে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৩২১ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। এই সময় সংস্থাটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল তিন লাখ ১৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা।
গত ১০ মাসে মাসওয়ারি হিসাবে গড়ে ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল এনবিআরকে। পরে অবশ্য লক্ষ্য অর্জনে কোনো সম্ভাবনা না থাকায় এই লক্ষ্য কমিয়ে চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিই গত ১০ মাসে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি।
এর মধ্যে আমদানি পর্যায়ে ৮২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা, ভ্যাটে এক লাখ ১১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা ও আয়করে ৯৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে এনবিআর। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। এর মধ্যে আয়কর আদায়ে সর্বোচ্চ ১৯.৩৩ শতাংশ, ভ্যাটে ১৩.৭৯ শতাংশ ও আমদানি পর্যায়ে ১১.৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারলে সরকারের বিভিন্ন খাতে খরচ কমাতে হয়। খরচ কমানোর অংশ হিসেবে বরাদ্দ কমানো হয় উন্নয়ন প্রকল্পে। কারণ, বেতন-ভাতা, ঋণের কিস্তি পরিশোধ, ভর্তুকি—এসব খাতে সরকারের খরচ কমানোর সুযোগ নেই।
অথচ চলতি অর্থবছর এনবিআরকে তিন লাখ ৯৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অর্থ বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অসম্ভব রাজস্ব আদায়ের নানা কৌশল আইএমএফের কাছে তুলে ধরেছিল এনবিআর।
অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অতিরিক্ত ২৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায় করতে হতো। এর মধ্যে আয়কর খাতে ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে তিন হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ও ১১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা কাস্টমস খাতে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার
শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। আজ সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, রাইসি একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা।
তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরো বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন।
তারা হলেন- পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। এছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটের হার কম হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: ইসি
ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি। কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ সোমবার (২০ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হবে ২৯ মে ও ৫ জুন।
প্রথম ধাপে ভোট শান্তিপূর্ণ হলে ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে।
ধান কাটা তো শেষ এখনো কি ভোট কম পড়বে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে বলছেন বিষয়টাতো এ রকম নয়। আরও তো কারণ আছে। ভারতের যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে সব দলগুলো অংশ নিয়েছে। তারপরও ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। আমাদের যে প্রথম ধাপের নির্বাচন হলো ওইদিন সকালে বৃষ্টি ছিল, ধান কাটা ছিল, একটি বড় দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এই তিনটা কারণ তো আছেই। এছাড়াও আরও অন্যান্য কারণ আছে হয়তো, সেগুলো হয়তো আমরা জানি না। আবার স্থানীয় নির্বাচনে অনেকেই কর্মস্থল থেকে এসে ভোট দিতে চান না। এটাও একটা কারণ।
ভোটের হার দিন দিন নিচে নামছে, এর দায় আপনারা দলগুলোর ওপর দিচ্ছেন, ইসির কোনো দায় আছে কি, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের প্রথমেই দায় দিতে হবে ভারতের ওপর। কেননা, সেখানে সব দল অংশ নিচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই, কোনো বিতর্কও নাই। কিন্তু সেখানে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ছে। তাহলে এখানে কি নির্বাচন কমিশন দায়ী। সেটা আপনারা যদি বলতে পারেন ভারতের নির্বাচন কমিশন দায়ী, তাহলে আমরাও দায়ী। তাদের দায়ী না করলে আমরাও দায়ী না।
তাদের গণতন্ত্র আর আমাদের গণতন্ত্র কি এক? এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, তাদের গণতন্ত্র, আমাদের গণতন্ত্র একই। সংবিধানও অনেকটা একই রকম। ভারতে যে কারণে ভোটের হার কমে যাচ্ছে আমাদের এখানেও একই কারণ। শুধু বাংলাদেশ নন সারা পৃথিবীতেই একই রকম। এটা কেন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট পড়ার হার কম হওয়ার জন্য দায়ী কমিশনও না, অন্য কেউও না। কারণ হলো যে বিভিন্ন কারণে ভোটাররন ভোট দিতে চান না।
কাফি