অর্থনীতি
বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে ৯.৫১ শতাংশ
গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেনে ব্যয় অক্টোবরের চেয়ে ৯.৫১ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে দেশের বাইরে বাংলাদেশি নাগরিকরা মোট ৪৮৭ কোটি টাকা মূল্যের ডলার লেনদেন করেছেন; অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল ৫৩৯ কোটি টাকা।
নভেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৯৪ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছেন, যা অক্টোবরের চেয়ে ২.৭৭ শতাংশ কম।। অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৯৯ কোটি টাকা মূল্যের ডলার লেনদেন করেছিলেন।
বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডধারীরা নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেশি ডলার ব্যয় করেছেন।
দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন নভেম্বর মাসে ২.১৮ শতাংশ কমে ২,৫৪০ কোটি টাকায় নেমেছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আলোচ্য এই সময়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এ সময় ভারতে খরচ হয়েছে মোট খরচের ১৭.৮৭ শতাংশ। লেনদেনের পরের তালিকায় অন্যান্য দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫.০১ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮.৪৯ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮.২৮ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৭.১০ শতাংশ, কানাডায় ৬.৭৬ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৬.৭১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়েছে মূলত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। বিদেশে মোট ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের ৪৯.৫৭ শতাংশ হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। এছাড়া রিটেইল আউটলেট, ওষুধ ও ফার্মেসি, কাপড়চোপড়, পোশাক কেনা, নগদ উত্তোলন ও পরিবহনেও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করা হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বেশিরভাগ লেনদেন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা, যার পরিমাণ ২৪.৭৪ শতাংশ।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মোট লেনদেনের ১৩.৭৬ শতাংশ, ভারতের নাগরিকেরা ৯.৮৪ শতাংশ, জাপানের নাগরিকেরা ৩.৯২ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের নাগরিকেরা ৩.৬৮ শতাংশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকেরা ৩.২২ শতাংশ লেনদেন করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কার্ডধারীদের এখন বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করার খরচ আরও বেড়েছে। এর ফলে তারা কার্ড ব্যবহার করে, বিশেষ করে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পেছনে খরচ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্যমতে, কার্ডের জন্য ডলারের রেট গত কয়েক মাস ধরে ১১৫ টাকার ওপরে আছে। দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে এ রেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা
দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে খামারে প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি টাকার মুরগি মারা গেছে। আবার ঈদের পর থেকে ডিমের প্রতি চাহিদা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। একই সময়ে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এদিকে বাজারে মুরগিরও চড়া দাম বিদ্যমান। সবমিলিয়ে দেশের ডিমের দাম বেড়েই চলেছে। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানের প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা।
মঙ্গলবার ডিমের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়ামহল্লার দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের শেষেও এই ডিম বিক্রি হয়েছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়েছে। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম।
বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজার এমনিতেই বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে।
রোজার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় ডিমের চাহিদা কম থাকে। এরপর লম্বা সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলার কারণে প্রচুর মুরগি মারা যায়। খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তাঁরা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকার মতো দামে কিনতে হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন চার কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।
এদিকে বাজারে সোনালি মুরগির দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়ে ৪০০ টাকায় উঠেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঢাকায় ইউএস ট্রেড শো শুরু ৯ মে
বাংলাদেশ ও আমেরিকার পণ্য ও সেবা প্রদর্শন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ২৯তম ইউএস ট্রেড শো শুরু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে অংশ নেবে দেশটির ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। ঢাকায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ও ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
এবারের ইউএস ট্রেড শো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে ও অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ জানান, ৪৪টির বেশি প্রতিষ্ঠানের তৈরি শতাধিক মার্কিন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হবে ট্রেড শোতে। ৯–১১ মে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। এতে জনপ্রতি প্রবেশ ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। শিক্ষার্থীদের প্রবেশে কোনো টাকা লাগবে না।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে বলেন, এই ট্রেড শো বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর উচ্চ মানের পণ্য প্রদর্শনের একটি সুযোগ হবে। পাশাপাশি এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও জোরদার করতে সাহায্য করবে।
জন ফে আরও বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। দিন দিন এ বিনিয়োগের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভালো সুযোগের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছে। এর ফলে এই ট্রেড শো নতুন বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আরব আমিরাতের
দুই দেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
মঙ্গলবার (৭ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জাইউদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারে উভয় দেশের অভিন্ন প্রত্যাশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমান চলাচল, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জ্বালানি সুরক্ষাসহ সহযোগিতার নতুন এবং উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের উপর জোর দেন।
১৩তম এআইএম (বার্ষিক বিনিয়োগ সভা) কংগ্রেস-২০২৪ এ যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে দেশটিতে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাডাপ্ট টু এ শিফটিং ইনভেস্টমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ : হার্নেসিং নিউ পটেনশিয়াল ফর গ্লোবাল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’। অর্থমন্ত্রী আজ সকালে কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং অন্যান্য কয়েকটি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই মন্ত্রী যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করার এবং নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) সমাপ্ত করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ এডিএফডি (আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও, মন্ত্রীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করেন, অভিন্ন সংকট মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারের জন্য বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর এবং ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ৪ হাজার ৫০২ টাকা
প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আজ (মঙ্গলবার) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২২ বছরে বিশ্বে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬৫০ শতাংশ: আইওএম
গত ২২ বছরে বিশ্বে প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার কোটি টাকা। এর ৬৫ হাজার কোটি টাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো পেয়েছে বলে ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশান অব মাইগ্রেশনের (আইওএম) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা আইওএম।
বার্ষিক এই প্রতিবেদনে উঠে এসছে বিশ্বের সব প্রবাসীর তথ্য। ব্যক্তিগত প্রভাব ছড়িয়ে প্রবাসী আয়ের এ প্রবৃদ্ধি রাষ্ট্রীয়ভাবেও সুফল বয়ে আনছে বলেই মনে করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিশ্বে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬৫০ শতাংশ। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ১০০ কোটি টাকায়। যার মধ্যে ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো।
এছাড়া সারা বিশ্বে প্রায় ২৮ কোটি অভিবাসী রয়েছে। কেবল ২০২২ সালেই প্রায় ১২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় এবং যুদ্ধ সংঘাতের মতো বিষয় জড়িত। আর নিজ দেশেই অন্তঃদ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ।
পাশাপাশি সারাবিশ্বের জনসংখ্যার সাড়ে তিন শতাংশ মানুষ অভিবাসী হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৮ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, অভিবাসী বিষয়ে বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটের জন্য যে অঙ্গীকার করেছে, কেবল তা মেনেই বসে থাকবে না; বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিবাসন এবং উন্নয়ন সম্পর্কিত যেসব নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো নিয়েও কাজ করবে।
প্রতিবেদনটি মানব উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক সমৃদ্ধির চালক হিসেবে অভিবাসনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি ই পোপ।
অভিবাসনে বিশ্বের শীর্ষ ৬-এ থাকা বাংলাদেশে এবারই প্রথম কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশের আয়োজন করে আইওএম।