আন্তর্জাতিক
প্রধানমন্ত্রী পদে অনন্য নজির শেখ হাসিনার, তালিকায় আছেন যারা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।
আর এর মাধ্যমে এদিন তিনি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন। এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন শেখ হাসিনা। নিজের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইতোমধ্যেই চার মেয়াদে ২০ বছর সরকারপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলেছে, সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একসময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অগ্রসারির এই সৈনিক বিরোধীদের সঙ্গে যুগপৎভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলেন।
তবে এখন তার বিরুদ্ধে বাক স্বাধীনতা হরণ এবং বিরোধীদের দমনপীড়নের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে থাকেন। আর এর মধ্য দিয়েই ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো – সামগ্রিকভাবে পঞ্চমবারের মতো – সরকার গঠন করতে চলেছেন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন— ১৯৭৫ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে পরিবারের প্রায় সব সদস্যসহ নিহত হন তিনি। সে সময় ইউরোপে অবস্থানের কারণে সৌভাগ্যবশত সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করা শেখ হাসিনা তার পিতা-মাতার ৫ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড়। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। শিক্ষার্থী থাকার সময়ই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন শেখ হাসিনা।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যে অংশটি শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসারি ছিলেন, সেটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল তার। ১৯৮১ সালের আগ পর্যন্ত মূলত এটিই ছিল শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা।
আর ১৯৭৫ সালের সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছর দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটানো শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন ১৯৮১ সালে; সেই বছরই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সাল, ১৯৯৬ সাল, ২০০১ সাল, ২০০৮ সাল, ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯৬ সালের ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রথমবার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সেবার জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে দলটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার ২১ বছর পর সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।
এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের রাজনৈতিক জীবনে সেসময়ই দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। আর এরপর থেকে এ পর্যন্ত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, তার প্রতিটিতেই জয়ী হয়েছেন শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ।
রয়টার্স বলছে, ১৭ কোটি লোকের দরিদ্র দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং দেশের রপ্তানি-নির্ভর পোশাক শিল্পকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা যখন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল পাঁচের কাছাকাছি, ১০ বছরের মধ্যে সেই প্রবৃদ্ধি পৌঁছায় প্রায় ৮-এ। অল্প সময়ের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশের ঘরে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকলেও করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে সেটি বাধাগ্রস্ত হয়।
অবশ্য শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক নেতাই তাদের নিজ নিজ দেশে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আছেন। একইসঙ্গে তারা নিশ্চিত করে চলেছেন মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। গত বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতাসীন নেতাদের নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক স্বাধীন, নির্দলীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি বিষয়ক থিংক ট্যাংক লোই ইনস্টিটিউট।
সেখানে আরও অনেক নেতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হুন সেন। গত বছরের মাঝামাঝিতে পদত্যাগ করা ৭০ বছর বয়সী হুন সেন কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন ৩৮ বছর। গত বছরের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস জয়লাভ করে হুন সেনের রাজনৈতিক দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। পরে নিজের বড় ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এই নেতা।
অবশ্য অসাধারণভাবে ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতার শীর্ষে থাকার পরেও হুন সেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতাসীন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি নন। প্রকৃতপক্ষে সারা বিশ্ব থেকে দেখলে দীর্ঘমেয়াদী শাসকদের তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন শীর্ষ পাঁচে।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ রয়েছেন সবার ওপরে। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে পার্থক্যের কারণে এই ধরনের তুলনা মাঝে মাঝে কিছুটা গভীর তাৎপর্যময় বলে মনে হতে পারে। তবে অন্য অনেক দেশের মতো ব্রুনাইতে এই ভূমিকাগুলো একে-অপরের সাথে জড়িত।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১২ সাল থেকে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন। গত বছর তার শাসন বেশ দৃঢ়ভাবেই তৃতীয় মেয়াদে প্রসারিত হয়। আর তার বন্ধু ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার শাসন ক্ষমতায় -কখনও প্রেসিডেন্ট এবং কখনও প্রধানমন্ত্রী – আছেন ২০০০ সাল থেকে।
মূলত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তিনি আরও ছয় বছরের মেয়াদের জন্য জয়ী হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
৭১ বছর বয়সী পুতিনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং প্রায় প্রধান কোনও বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষবিহনী নির্বাচনে তার জয়ী হওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই।
লোই ইনস্টিটিউট বলছে, বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় দীর্ঘতম শাসক হলেন তেওডোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা এমবাসোগো। তিনি নিরক্ষীয় গিনির প্রেসিডেন্ট। সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল ওবিয়াং ১৯৭৯ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং পরে জাল ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন।
তার মতো আফ্রিকান কিছু দেশের শাসকরাও ক্ষমতায় আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে ১৯৮২ সাল থেকে ক্যামেরুনের ক্ষমতায় রয়েছেন পল বিয়া, ১৯৮৬ সাল থেকে উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন ইওওয়েরি মুসেভেনি এবং ডেনিস সাসু এনগুয়েসো আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ১৯৯৭ সাল থেকে। আর তার আগে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত একই দায়েত্বে ছিলেন তিনি।
ইরিত্রিয়ার ইসাইয়াস আফওয়ারকি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দেশটি শাসন করে চলেছেন। আর রুয়ান্ডার পল কাগামে ১৯৯৪ সাল দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
সেই একই বছর আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোও পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আর এখনও তিনি তার সেই দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান ১৯৯২ সাল থেকে ৩২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার পর তার পুত্রের ক্ষমতা গ্রহণের পথও তৈরি করে রেখেছেন তিনি।
এই তালিকায় আরও আছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি। ১৯৮৯ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন তিনি। যদিও সেই অর্থে তাকে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যায় না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার সময় বাড়লো দুই মাস
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইউএই’র ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস ও পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ভিসা ছাড়া বসবাসরত প্রবাসীদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। সাধারণ ক্ষমার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ আজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এরই মধ্যে দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমার সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর গালফ নিউজ ও খালিজ টাইমস।
সাধারণ ক্ষমার ফলে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন। যারা আগে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারবেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হাতে আইফোন-১৬ দেখলেই ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
আইফোন-১৬ বিশ্বজুড়ে ক্রেতাদের তুমুল আগ্রহে রয়েছে। অত্যাধুনিক ফিচার আর নতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এ মোবাইল নিয়ে যেন ক্রেতাদের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় আইফোন বিক্রি ও নিষিদ্ধ করেছে এশিয়ার একটি দেশ। এমনকি কারও হাতে আইফোন-১৬ দেখা গেলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটির শিল্পমন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং কর্তাসাসমিতা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ ব্যবহার অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। কেননা দেশটিতে আইফোন ১৬ এর জন্য এখনও আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন ইস্যু করা হয়নি।
অভিযোগ করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি অ্যাপল। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে অ্যাপলের ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমআই আটকে দিয়েছে। ফলে নতুন করে কেউ আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কারো হাতে আইফোন দেখা গেলে তাও কর্তৃপক্ষতে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে শিল্পমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে আইফোন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। এ সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তাতেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক। ওই সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে অ্যাপলের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা এল। ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেবরি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ জানান, আইফোন ১৬-এর টিকেডিএন সার্টিফিকেশনের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তবে অ্যাপলের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আইফেন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৯
মেক্সিকোর জাকাতেকাস রাজ্যে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ছয় জন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রীবাহী ওই বাসটিতে পেছন থেকে একটি ট্রাকটর ট্রেইলার ধাক্কা দিলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনা ঘটে। জেকাতেকাস গর্ভনর ডেভিড মনরিয়ার বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পক্ষ থেকে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্রাক্টর ট্রেইলার ট্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাস দুর্ঘটনায় নিহত কয়েকজন ব্যক্তির লাশ খাত থেকে উদ্ধার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে উদ্ধারকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনা সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৩
অস্ট্রেলিয়ায় মাঝ আকাশে দুটি ছোট প্লেনের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি বনাঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর প্লেন দুটির ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা প্রায় ৫৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সংঘর্ষের পর একটি প্লেন মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট টিমোথি ক্যালম্যান জানিয়েছেন, একটি সেসনা ১৮২ প্লেনের সঙ্গে একটি আলট্রালাইট প্লেনের সংঘর্ষ হয়। সেসনা ১৮২ প্লেনে দুজন এবং আলট্রালাইট প্লেনে একজন আরোহী ছিলেন।
এই দুর্ঘটনায় তিন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আকাশ থেকে প্লেন দুটির ধ্বংসাবশেষ নিচে পড়তে দেখেন এবং দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে ঘটনাস্থলের অবস্থান এবং দুর্ঘটনার ভয়াবহতার কারণে তাদের বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না।
ক্যালম্যান এ বিষয়ে বলেন, দুর্ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণভাবে ‘অপরিত্রাণযোগ্য’। নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্স ইন্সপেক্টর জোসেফ ইব্রাহিম বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের কিছুই করার ছিল না।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করবে অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এশিয়ার দেশগুলোতে কমছে চালের দাম
বিশ্বজুড়ে মাস কয়েক আগে চালের সংকট এবং দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও এশিয়ার দেশগুলোতে স্বস্তি ফিরেছে। শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভারত গত মঙ্গলবার সেদ্ধ চালের রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। পরেরদিনেই বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) তুলে দিয়েছে দেশটি।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বাজারে যেমন চালের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেমনি এশিয়ার অন্য দেশগুলোয় চলতি সপ্তাহে চালের রপ্তানি মূল্য কমেছে। রপ্তানিতে এশিয়ার শীর্ষ দুই দেশ ভারত ও ভিয়েতনামে চাল দাম নেমেছে গত এক বছরের সর্বনিম্নে।
জানা যায়, ভারতে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৫০-৪৮৪ ডলার, যা গত বছরের আগস্টের পর সর্বনিম্ন। ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৬০-৪৯০ ডলার।
এ বিষয়ে কলকাতার এক রফতানিকারক বলেন, ‘সরকার রফতানি শুল্ক ও ন্যূনতম রফতানি মূল্য তুলে নেয়ার পর ভারতে চালের দাম অনেক কমেছে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে চালের চাহিদাও ভালো ছিল।’
ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্নে নেমেছে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩৭ ডলার।
হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অন্যান্য রফতানিকারক দেশের প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভিয়েতনামে চালের দাম কমেছে। এছাড়া বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বুলোগ চাল ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল করেছে। এটিও পণ্যটির দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
এদিকে থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫১০ ডলার, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২৫ ডলার। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। সরবরাহের জন্য চাল এরই মধ্যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ১১ লাখ টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর চালের আমদানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ কমিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এমআই