লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত ৯ ভুল ধারণা

ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কমন রোগগুলির মধ্যে একটি। দিন দিন এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, বংশগত ধারা ইত্যাদি কারণে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবেটিস আগে ৪০ বছরের উপরে দেখা যেত। এখন সব বয়সের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালের অল্প বয়সীদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আগের তুলনায় বেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস
ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস কেস রয়েছে। বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ৭.৭ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই হারে চলতে থাকলে আগামিদিন ভয়াবহ। ২০২৪ সালের মধ্যে সংখ্যাটা ১৩.৪ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস কী?
যখন শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না, তখন ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস দুই প্রকার- টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে, শরীর একটুও ইনসুলিন তৈরি করে না। এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে কমন দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলির মধ্যে অন্যতম। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে, শরীর ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না অথবা যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত ৯ ভুল ধারণা
ভুল ধারণা: মিষ্টি খাবার বা চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়
সত্য : ‘কিছু ক্ষেত্রে এটা জিনগত। এর পাশাপাশি এই রোগের পেছনে নিম্ন মানের জীবনযাত্রাসহ একাধিক কারণ রয়েছে,’ জানালেন ডাঃ আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: ডায়াবেটিস বয়স্কদের রোগ। শিশু বা অল্পবয়সীদের হয় না
সত্য : ‘প্রকৃতপক্ষে, টাইপ 1 ডায়াবেটিস সাধারণত শিশুদের মধ্যেই দেখা যায়। টাইপ 2 ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবও শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে,’ জানালেন বিশেষজ্ঞ।
ভুল ধারণা: বিকল্প চিকিত্সায় ডায়াবেটিসের সেরে যায়
সত্য : ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ এবং চিকিত্সার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ভয়ে অনেক রোগী অ্যালোপাথি ছেড়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। রক্তে শর্করার মাত্র দীর্ঘমেয়াদে বেড়ে যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী জটিলতার দিকে এগোতে পারে। তাই রোগীদের এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, অল্প সময়ের ডায়েট থেরাপি, উপবাস বা খুব কম ক্যালোরি ডায়েট ইত্যাদিতে সাময়িকভাবে রক্তে শর্করা কম দেখাতে পারে। কিন্তু কোনও থেরাপিই ডায়াবেটিস নিরাময় করে না। দীর্ঘকাল এগুলি মেনে চলাও সম্ভব নয়,’ বলছেন ডাঃ আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: গুরুতর এবং শেষ পর্যায়ের ডায়াবেটিস হলে তবেই ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়
সত্য : ‘উচ্চ HBA1C (৩ মাসের সুগারের গড়), প্রস্রাব বৃদ্ধি, ওজন কমানো ইত্যাদি কিছু নির্দিষ্ট কারণে ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিএমআই ২৩-এর নিচে নিয়ে আসা, ইত্যাদির মাধ্যমে উপকার হতে পারে,’ বলেলেন ড. দিলীপ গুড়ে, সিনিয়র কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান যশোদা হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আছে তাদের কী করতে হবে?
ভুল ধারণা: একবেলা না খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
সত্য : ‘ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে খুব কমন একটা ধারণা হল, খাবার না খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে তাদের ওষুধের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বাস্তবে একবার সুগারের মাত্রা বেশি বলে, উপোস করা তার চিকিত্সা নয়। আর তাছাড়া শুধু কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলার তুলনায় সারাদিনের মোট ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই সবচেয়ে ফলদায়ক,’ বলেলেন ডঃ আগরওয়াল৷
ভুল ধারণা: আমার ব্লাড সুগার বছরের পর বছর ধরে বেশি আছে। কিন্তু আমার কোনো উপসর্গ নেই। তার মানে কিচ্ছু হয়নি, আমি সুস্থই আছি।
সত্য : ‘দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসে শুরুর দিকে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন না রোগীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত চিকিত্সা ও জীবনযাত্রায় বদল জরুরি। এর ফলে হার্ট, কিডনি, স্নায়ু, চোখের ঝুঁকি কমে,’ বলছেন ড. দিলীপ গুড়ে।
ভুল ধারণা: ওজন বেশি হওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও সম্পর্ক নেই
সত্য : ‘ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস চিকিত্সার অন্যতম মূল ভিত্তি। কিছু ওষুধ ওজন বাড়ায়। আবার কিছু ওষুধ স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমানোর ওষুধ, ডায়াবেটিসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে হার্ট এবং কিডনিকে রক্ষা করে।’ বলছেন ডাঃ গুদে।
ভুল ধারণা: অনেকদিন ওষুধ না খেয়েও সমস্যা হচ্ছে না, তার মানে সেরে গিয়েছে।
সত্য : ‘অধিকাংশ রোগীরা একবার সুগার নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে, ওষুধের কারণেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেটা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সুগারের মাত্রা আবার বাড়তে থাকে,’ জানালেন ডা. আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: ঘন ঘন সুগার পরীক্ষা করার দরকার নেই, গত কয়েকবার নর্মাল রিপোর্টই এসেছে, শরীর খারাপও হয়নি।
সত্য : ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে আরও জাঁকিয়ে বসতে পারে। ফলে আগে যে ওষুধ এবং ডোজ আপনার জন্য কাজ করেছিল, সেগুলি এখন কাজ নাও করতে পারে৷ সপ্তাহে অন্তত একবার গ্লুকোমিটার দিয়ে এফবিএস পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ৬০ দিনে অন্তত একবার আপনার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। কিডনির রোগ, নিউরোপ্যাথি, হৃদরোগ, রেটিনোপ্যাথি ইত্যাদি সুস্থ আছে কিনা তা যাচাই করবেন চিকিত্সক।
অর্থসংবাদ/এমআই

লাইফস্টাইল
ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে যেসব ব্যায়ামে

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ব্যায়াম। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দেহের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীরা ব্যায়াম নিয়ে গবেষণা করে দেখিয়েছেন, শুধু একটি সেশন ব্যায়াম করলেই ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির গতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। এক দফার ব্যায়ামে ক্যানসারের কোষবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে অন্তত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যায়ামের উপকারিতা নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, কেবল স্তন ক্যানসার বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার নয়, ব্যায়াম করলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমেরিকার শিকাগোতে আয়োজিত বিশ্ব ক্যানসার কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে জানা যায়, স্টেজ ২ এবং স্টেজ ৩ কোলন ক্যানসারের রোগীদের অপারেশন ও কেমোথেরাপি দেওয়ার পর একটি দলকে সাধারণ জীবনযাপন করতে বলা হয়, অন্য দলকে নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরচর্চার মধ্যে দিয়ে যেতে বলা হয়। দেখা যায়, প্রথম দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যানসার থেকে ফিরে আসার ঝুঁকি অনেকখানি কমে এসেছে। তাই এখন কোলন ক্যানসার রোগীদের নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলা হচ্ছে। শুধু কোলন ক্যানসার নয়, একাধিক ক্যানসারের ঝুঁকিই কমাতে পারে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা।
কোন ব্যায়াম কার্যকরী এবং কতক্ষণ করা উচিত
রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং (আরটি)-এর অর্থ হলো পেশি মজবুত করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম। ডাম্ববেল, কেটলবেল, ভারোত্তোলন করা হয় এই ধরনের শরীরচর্চায়। তা ছাড়া স্কোয়াট, পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্ক, বাইসেপস কার্ল-ও রয়েছে তালিকায়।
হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (এইচআইআইটি)-এর অর্থ হলো অল্প সময়ে প্রবল পরিশ্রম, তার পর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম। যেমন ৩০ সেকেন্ড জাম্পিং জ্যাক, ১৫ সেকেন্ড বিশ্রাম, ৩০ সেকেন্ড বার্পি। আধাঘণ্টার মতো এই ভাবে ব্যায়াম করতে থাকলে নানাবিধ উপকার মিলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিনই শরীরচর্চা করতে হবে। দিনের কোনো এক সময়ে ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে ফল পাওয়া যাবে।
লাইফস্টাইল
কর্মীদের চাপে রাখলে কি অফিস লাভবান হয়, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত?

সময়মতো অফিসে আসা, নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ এবং নিয়ম মেনে কাজ করা—এসবই একজন আদর্শ কর্মীর বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এই ‘আদর্শ’ ধারণার আড়ালে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে এক ধরনের অসহনীয় চাপ, যা কর্মজীবনকে করে তোলে বিষাক্ত। অতিরিক্ত চাপের কারণে কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় অবসাদ ও ভুলভ্রান্তি
অফিসে দীর্ঘসময় অতিরিক্ত চাপে থাকতে হলে কর্মীদের মধ্যে দেখা দিতে পারে অবসাদ, ঘুমের সমস্যা, মেজাজের অবনতি এবং মানসিক ক্লান্তি। এইসব সমস্যার কারণে পরদিন কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে ছোটখাটো ভুল, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারা, কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্য—এসবই তখন ঘন ঘন ঘটতে শুরু করে।
কাজের চাপ যখন পেরিয়ে যায় অফিসের গণ্ডি
একজন কর্মী অফিসের বাইরেও যদি কাজের চাপ বয়ে বেড়ান, তা হলে তার ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভারসাম্যহীনতা ধীরে ধীরে কাজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এমনকি সৃজনশীলতাও হারিয়ে যায়।
চাপ বেশি মানেই কাজ বেশি? গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বেশি।
মানবদেহ কোনো যন্ত্র নয়
একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে শরীর ও মস্তিষ্ক—দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জানাচ্ছে, একটানা ৯০ মিনিট কাজ করলে কাজের মান কমে যায় এবং ভুলের হার বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত চাপের কারণে আর্থিক ক্ষতিও কম নয়
মার্কিন গবেষণায় উঠে এসেছে একজন অবসন্ন কর্মীর কারণে কোম্পানিকে বছরে গড়ে ৪ হাজার থেকে ২১ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হয়, ১ হাজার কর্মীর জন্য বছরে লোকসান: ৫.৩ মিলিয়ন ডলার। অতিরিক্ত চাপে থাকা কর্মীদের মধ্যে ভুল করার হার: ১১ গুণ বেশি। অসুস্থতাজনিত ছুটির হার: ৮ গুণ বেশি। অফিসে থেকেও অকার্যকর হওয়ার হার: ৪ গুণ বেশি
সুস্থ কর্মী, সফল অফিস: করণীয় কী?
প্রতিষ্ঠানের উচিত এমন একটি কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে কর্মীরা চাপমুক্তভাবে কাজ করতে পারেন। কাজের পর কর্মীদের যেন সময় থাকে পরিবার, বন্ধু ও নিজের যত্ন নেওয়ার।
সহজ কিছু উদ্যোগ:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্য
অতিরিক্ত ওভারটাইম না করিয়ে কাজের বণ্টন সুষম করা
মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া
কর্মীদের সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করা
চাপ নয়, যত্নই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়
অতিরিক্ত কাজ বা চাপ যতটা না লাভ দেয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনে। সুস্থ, সুখী, এবং উৎসাহী কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারেন। সুতরাং, কর্মীদের শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিন, চাপ নয়—দিন সহানুভূতি ও সহায়তা।
লাইফস্টাইল
এয়ার কুলারের বাতাস এসির মতো ঠান্ডা হবে ৩ কৌশলে

তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে এসি কিনছেন অনেকেই। যাদের বাজেট আরেকটু কম তারা প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভরসা রাখছেন এয়ার কুলারে। এয়ার কন্ডিশনারের চেয়ে কম খরচ হওয়ায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে অনেকের অভিযোগ থাকে এয়ার কুলারে এসির মতো ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। অনেক সময় এমন হয় যে কুলার সামনে থাকলেও ঠান্ডা বাতাস দেয় না। অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কুলারের এই অবস্থা ঠিক করা যায়।
যেভাবে এয়ার কুলার ব্যবহার করলে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হবে
১. অনেক সময় ধুলার কারণে কুলারের কার্টেন বন্ধ হয়ে যায়। যদি কার্টেনের মধ্য দিয়ে বাতাস যাওয়ার জায়গা না থাকে, তাহলে বাতাস ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারবে না এবং সেখান থেকে শীতল বাতাসও আসবে না। যে কোনো ক্ষেত্রে শীতল বাতাস প্রবাহের জন্য কার্টেনের মধ্যে জায়গা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝে মাঝে ধুলা কার্টেনে জমে যায়। তাই কুলারের কার্টেন পুরোনো হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যথায় একটি জেট ক্লিনিং পাইপ দিয়ে কার্টেন ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। তা হচ্ছে ঘরের ভেতরে কুলারটি কোথায় রাখা হয়েছে। কুলার কখনই বন্ধ জায়গায় রাখা উচিত নয়। কুলার তখনই ঠান্ডা হয় যখন এটি বাইরের বাতাস গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘরের ভেতরে কুলার রাখলে ভেতরে বাতাস সঞ্চালিত হতে থাকবে এবং বাতাস ঠান্ডা হবে না। বরং এতে ঘরের আর্দ্রতা আরও বেড়ে যাবে।
৩. যখনই কুলার চালানো হবে, কিছুক্ষণের জন্য পাম্প চালু রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর অর্থ হলো কুলারটি যখন সম্পূর্ণ ভিজে যাবে তখন এর ফ্যানটি চালু করা উচিত, এতে বাতাস শুষ্ক এবং গরম হবে না তবে শীতল আসতে শুরু করবে। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আবহাওয়া আর্দ্র থাকলে কুলারটি সঠিক ভাবে ঠান্ডা বাতাস দিতে পারে না।
লাইফস্টাইল
কিডনি ড্যামেজ হওয়ার ৬ লক্ষণ

কিডনির ক্ষতি প্রাথমিক পর্যায়ে খুব একটা টের পাওয়া যায় না। যে কারণে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD) হওয়ার আগে এর প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব লক্ষণ চোখ এড়িয়ে গেলে কিডনি ফেইলিওরের মতো ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। তবে আগেভাগে সতর্কতা সংকেতগুলো চিনতে পারলে সমস্যার প্রতিকার করা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ফেনা বা বুদবুদযুক্ত প্রস্রাব
কিডনির ক্ষতির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবে ক্রমাগত ফেনা বা বুদবুদ। এই পরিস্থিতির নাম প্রোটিনুরিয়া। এর অর্থ হলো কিডনির ফিল্টারিং ইউনিট গ্লোমেরুলি প্রোটিনকে, যেমন অ্যালবুমিনকে প্রস্রাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। স্বাভাবিক কিডনি সাধারণত প্রচুর প্রোটিন প্রবেশ করতে দেয় না, তাই খালি চোখে দৃশ্যমান ফেনা একটি সতর্কতা সূচক যা চিকিৎসকের দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত।
২. গোড়ালি, পা বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব
কিডনি সোডিয়াম এবং তরল ভালোভাবে ফিল্টার করতে সক্ষম না হলে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ শরীরে জমা হয়। এটি সাধারণত দৃশ্যমান ফোলাভাব সৃষ্টি করে, বিশেষ করে গোড়ালি, পা এবং চোখের চারপাশের অংশে। বিশেষ করে সকালের সময় এসব স্থানে ফোলাভাব সাধারণত অকার্যকর কিডনি পরিস্রাবণের কারণে পানি ধরে রাখার ফলে হয়।
৩. প্রস্রাব বৃদ্ধি, বিশেষ করে রাতে
কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবের ধরণ পরিবর্তন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করেন, বিশেষ করে রাতে। একে নকটুরিয়া বলা হয়। কিডনি ভালোভাবে প্রস্রাব ঘনীভূত করতে না পারলে এমনটা ঘটে। তাই প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
৪. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
সুস্থ কিডনি এরিথ্রোপয়েটিন তৈরি করে। এটি একটি হরমোন যা লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি এই হরমোন কম নিঃসরণ করে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ কিডনি কার্যকারিতার কারণে রক্তে টক্সিন জমা হওয়ার ফলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
৫. অনবরত চুলকানি
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ফলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। যার ফলে তীব্র চুলকানি হয়, যাকে প্রুরিটাসও বলা হয়। এই চুলকানি সাধারণত স্থায়ী হয়, টপিকাল লোশন বা ক্রিম প্রয়োগ করলেও উপশম হয় না। এটি রাতে আরও বেশি হতে পারে।
৬. ক্ষুধামন্দা
হঠাৎ ক্ষুধা কমে যাওয়াও হতে পারে কিডনির সমস্যার লক্ষণ। রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হলে তা হজম ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। যার ফলে বমি বমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ, এমনকি বমিও হতে পারে, যা খাবারের প্রতি আগ্রহ হ্রাস করে।
লাইফস্টাইল
স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে এসি কেনার আগে এই ৭টি টিপস জেনে নিন

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে এসি আমাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই সময় নতুন এসি কেনার কথা ভাবছেন। তবে এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ভাবনার জায়গা হলো বিদ্যুৎ বিল। যদিও সঠিক ব্যবহার ও পরিকল্পনায় এসি খুব একটা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না।
যদি আপনি প্রথমবার এসি কেনার কথা ভাবেন, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। এতে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত একটি এসি কিনতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী —
-
সঠিক টন ও ঘরের আকার মিলিয়ে নিন
এসির টন বাছাই করবেন ঘরের আয়তনের ভিত্তিতে। ছোট ঘরের জন্য ১ টন এসি যথেষ্ট হলেও, মাঝারি বা বড় ঘরের জন্য ১.৫ থেকে ২ টন এসি উপযুক্ত। -
উইন্ডো না স্প্লিট? বুঝে বেছে নিন
ছোট ঘরের জন্য উইন্ডো এসি সহজলভ্য ও সহজে ইনস্টলযোগ্য। অন্যদিকে, বড় ঘরের জন্য স্প্লিট এসিই ভালো, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম শব্দ করে এবং বেশি কার্যকর। -
স্টার রেটিং দেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন
এসির এনার্জি ইফিশিয়েন্সি রেটিং (স্টার রেটিং) অবশ্যই দেখে নিন। ৫-স্টার রেটিংয়ের এসি বিদ্যুৎ কম খরচ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমায়। -
বাজেট ও ইনস্টলেশনের খরচ বিবেচনা করুন
আপনার বাজেটের মধ্যে থেকেই এসি নির্বাচন করুন। শুধু মূল দামের দিকেই নয়, ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের বিষয়েও আগে থেকেই ধারণা রাখুন। উৎসবকালীন সময়ে ডিসকাউন্ট বা অফারের সুযোগও নিতে পারেন। -
বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন
ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনলে মানসম্পন্ন পারফরম্যান্স, দীর্ঘমেয়াদি ওয়ারেন্টি এবং সঠিক বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়, যা ভবিষ্যতের ঝামেলা কমায়। -
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার দেখুন
আধুনিক এসিগুলোতে ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো-ক্লিন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারসহ নানা স্মার্ট ফিচার থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার যুক্ত এসি বেছে নিন। -
রিভিউ ও রেটিং দেখে কিনুন
এসি কেনার আগে অনলাইনে ব্যবহারকারীদের রিভিউ ও রেটিং দেখে নিন। এতে প্রোডাক্টের কার্যকারিতা ও মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এমএস