লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত ৯ ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কমন রোগগুলির মধ্যে একটি। দিন দিন এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, বংশগত ধারা ইত্যাদি কারণে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবেটিস আগে ৪০ বছরের উপরে দেখা যেত। এখন সব বয়সের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালের অল্প বয়সীদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আগের তুলনায় বেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস
ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস কেস রয়েছে। বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ৭.৭ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই হারে চলতে থাকলে আগামিদিন ভয়াবহ। ২০২৪ সালের মধ্যে সংখ্যাটা ১৩.৪ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস কী?
যখন শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না, তখন ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস দুই প্রকার- টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে, শরীর একটুও ইনসুলিন তৈরি করে না। এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে কমন দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলির মধ্যে অন্যতম। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে, শরীর ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না অথবা যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত ৯ ভুল ধারণা
ভুল ধারণা: মিষ্টি খাবার বা চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়
সত্য : ‘কিছু ক্ষেত্রে এটা জিনগত। এর পাশাপাশি এই রোগের পেছনে নিম্ন মানের জীবনযাত্রাসহ একাধিক কারণ রয়েছে,’ জানালেন ডাঃ আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: ডায়াবেটিস বয়স্কদের রোগ। শিশু বা অল্পবয়সীদের হয় না
সত্য : ‘প্রকৃতপক্ষে, টাইপ 1 ডায়াবেটিস সাধারণত শিশুদের মধ্যেই দেখা যায়। টাইপ 2 ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবও শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে,’ জানালেন বিশেষজ্ঞ।
ভুল ধারণা: বিকল্প চিকিত্সায় ডায়াবেটিসের সেরে যায়
সত্য : ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ এবং চিকিত্সার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ভয়ে অনেক রোগী অ্যালোপাথি ছেড়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। রক্তে শর্করার মাত্র দীর্ঘমেয়াদে বেড়ে যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী জটিলতার দিকে এগোতে পারে। তাই রোগীদের এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, অল্প সময়ের ডায়েট থেরাপি, উপবাস বা খুব কম ক্যালোরি ডায়েট ইত্যাদিতে সাময়িকভাবে রক্তে শর্করা কম দেখাতে পারে। কিন্তু কোনও থেরাপিই ডায়াবেটিস নিরাময় করে না। দীর্ঘকাল এগুলি মেনে চলাও সম্ভব নয়,’ বলছেন ডাঃ আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: গুরুতর এবং শেষ পর্যায়ের ডায়াবেটিস হলে তবেই ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়
সত্য : ‘উচ্চ HBA1C (৩ মাসের সুগারের গড়), প্রস্রাব বৃদ্ধি, ওজন কমানো ইত্যাদি কিছু নির্দিষ্ট কারণে ইনসুলিনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিএমআই ২৩-এর নিচে নিয়ে আসা, ইত্যাদির মাধ্যমে উপকার হতে পারে,’ বলেলেন ড. দিলীপ গুড়ে, সিনিয়র কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান যশোদা হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আছে তাদের কী করতে হবে?
ভুল ধারণা: একবেলা না খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
সত্য : ‘ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে খুব কমন একটা ধারণা হল, খাবার না খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে তাদের ওষুধের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বাস্তবে একবার সুগারের মাত্রা বেশি বলে, উপোস করা তার চিকিত্সা নয়। আর তাছাড়া শুধু কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলার তুলনায় সারাদিনের মোট ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই সবচেয়ে ফলদায়ক,’ বলেলেন ডঃ আগরওয়াল৷
ভুল ধারণা: আমার ব্লাড সুগার বছরের পর বছর ধরে বেশি আছে। কিন্তু আমার কোনো উপসর্গ নেই। তার মানে কিচ্ছু হয়নি, আমি সুস্থই আছি।
সত্য : ‘দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসে শুরুর দিকে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন না রোগীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত চিকিত্সা ও জীবনযাত্রায় বদল জরুরি। এর ফলে হার্ট, কিডনি, স্নায়ু, চোখের ঝুঁকি কমে,’ বলছেন ড. দিলীপ গুড়ে।
ভুল ধারণা: ওজন বেশি হওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও সম্পর্ক নেই
সত্য : ‘ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস চিকিত্সার অন্যতম মূল ভিত্তি। কিছু ওষুধ ওজন বাড়ায়। আবার কিছু ওষুধ স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমানোর ওষুধ, ডায়াবেটিসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে হার্ট এবং কিডনিকে রক্ষা করে।’ বলছেন ডাঃ গুদে।
ভুল ধারণা: অনেকদিন ওষুধ না খেয়েও সমস্যা হচ্ছে না, তার মানে সেরে গিয়েছে।
সত্য : ‘অধিকাংশ রোগীরা একবার সুগার নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে, ওষুধের কারণেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেটা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সুগারের মাত্রা আবার বাড়তে থাকে,’ জানালেন ডা. আগরওয়াল।
ভুল ধারণা: ঘন ঘন সুগার পরীক্ষা করার দরকার নেই, গত কয়েকবার নর্মাল রিপোর্টই এসেছে, শরীর খারাপও হয়নি।
সত্য : ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে আরও জাঁকিয়ে বসতে পারে। ফলে আগে যে ওষুধ এবং ডোজ আপনার জন্য কাজ করেছিল, সেগুলি এখন কাজ নাও করতে পারে৷ সপ্তাহে অন্তত একবার গ্লুকোমিটার দিয়ে এফবিএস পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ৬০ দিনে অন্তত একবার আপনার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। কিডনির রোগ, নিউরোপ্যাথি, হৃদরোগ, রেটিনোপ্যাথি ইত্যাদি সুস্থ আছে কিনা তা যাচাই করবেন চিকিত্সক।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব পেতে পাঁচ দক্ষতা জরুরি
কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য কেবল প্রযুক্তিগত দক্ষতাই যথেষ্ট নয়। সেইসঙ্গে প্রয়োজন ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য সফট স্কিল তৈরি করা। কিছু দক্ষতা ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে আপনাকে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিতে পারে। জীবনে সফলতা কে না চায়। কর্মজীবনে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে দেখতে চাইলে করতে হবে কিছু কাজ। আপনার দক্ষতাই আপনাকে অনন্য স্থানে নিয়ে যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব পেতে কী করবেন-
১. শেখার ক্ষমতা
নমনীয়তার সঙ্গে নতুন পরিবর্তন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দ্রুতগতির কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য দক্ষতা। নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা আপনাকে গতিশীল পরিস্থিতিতে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
২. ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
নিজের আবেগ বোঝা এবং নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অন্যের আবেগকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রভাবিত করা জানতে হবে। উচ্চ সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তা কর্মক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের যোগ্যতা বহন করে। তাই ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এক্ষেত্রে জরুরি।
৩. সংযোগ
যেকোনো নতুন আইডিয়া বাস্তবায়ন করার জন্য পারস্পারিক সংযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি মৌখিক বা লিখিত হতে পারে। আপনি যদি আপনার চিন্তাভাবনা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন তবে বাকিরা সেটি বুঝতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আপনাকে সহায়তা করা সহজ হবে।
৪. টাইম ম্যানেজমেন্ট
সময়সীমা পূরণের জন্য ব্যবহারিক টাইম ম্যানেজমেন্ট জানা প্রয়োজন। কার্যকর টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য আপনার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত এবং বিলম্ব এড়ানো উচিত। টাইম ম্যানেজমেন্ট জানলে আপনি অনেক কাজেই এগিয়ে থাকবেন।
৫. সমস্যা-সমাধান
নিয়োগকর্তারা এমন কর্মীদের প্রশংসা করেন যারা সৃজনশীলতা এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারে। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হওয়া, সংশোধনের প্রয়োজন এমন সমস্যা চিহ্নিত করতে পারা এবং কার্যকর ফলাফল নিয়ে আসে এমন সমাধান নিয়ে আসা একটি মূল্যবান দক্ষতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
৮৪ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রায়ই কাটছাঁট চালায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিয়মও আনে প্রতিষ্ঠানটিতে, যেগুলো অমান্য করলেই শান্তির আওতায় আনা হয় ব্যবহারকারীদের। এবার এসব নিয়ম না মানায় সম্প্রতি প্রায় ৮৪ লাখ (৮.৪ মিলিয়ন) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। খবর: জি নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত ভারতে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় হ্যাকাররা মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটিকে বারবার টার্গেট করে। এর ফলে নতুন নতুন নিয়ম আনে অ্যাপটি। সম্প্রতি এই নিয়ম না মানার কারণে ভারতের প্রায় ৮৪ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা।
বন্ধ করে দেয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই স্প্যাম বা অটোমেটেড বার্তা পাঠানোর কারণে বাতিল করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব সুরক্ষা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার রোধে কাজ করছে।
মেটার সাম্প্রতিক ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ আগস্টে ভারতে প্রায় ৮৪ লাখ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ২০২১-এর ধারা ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩এ(৭) মেনে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত হোয়াটমেসঅ্যাপের প্রো-অ্যাকটিভ ডিটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যবহারকারীর অভিযোগ দায়ের করার আগেই বন্ধ করা হয়। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্টে তারা ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ধীরে খাবার খাওয়ার ৫ উপকারিতা
ধীরে ধীরে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া রোধ, হজমের উন্নতি, ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে, যা খাবারের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। যারা তাদের খাওয়ার গতি কমাতে চায় তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা সহজ কৌশল এবং পদ্ধতির পরামর্শ দেন। এটি শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকিই কমায় না, সেইসঙ্গে খাবারের সময়কে আনন্দদায়ক করে তোলে।
১. খাওয়ার পরিবেশ পরিবর্তন করা
যদিও প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করার জন্য সংগ্রাম করতে হতে পারে তবে শেষ পর্যন্ত সাফল্য পাবেন। টিভির আশপাশ থেকে খাবার টেবিলে স্থানান্তর করা আপনাকে খাওয়ার দিকে মনোযোগ রাখতে এবং আপনি যে খাবার খাচ্ছেন তার সঙ্গে আরও সংযুক্ত বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
২. চিবানো গণনা
ধীরে ধীরে খাওয়ার এই পদ্ধতিটি বেশিরভাগের জন্য কম কার্যকর বলে মনে হতে পারে। কারণ এটি গণনা করতে ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক বা এই পদ্ধতিকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করতে পারে। তবে একবার খাবার গলানোর আগে ২৪ বার চিবিয়ে নিলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে।
৩. অল্প অল্প পানি পান করা
ধীরে ধীরে খাওয়ার আরেকটি কৌশল হলো পানির ছোট চুমুক নেওয়া বা আসল খাবারের মধ্যে সালাদ খাওয়া। এটি হাইড্রেশন উন্নত করে এবং খাদ্য গ্রহণ করা কমায়। সেইসঙ্গে এটি আপনাকে ধীরে ধীরে খেতেও সাহায্য করতে পারে।
৪. ধীরে খায় এমন কারও সঙ্গে খাওয়া
ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আপনার গতিকে একজন ধীরে খাবার খাওয়া বন্ধুর সঙ্গে মেলানো। আপনার বন্ধুর খাওয়ার গতি অনুকরণ করার চেষ্টা করলে তা খাবার খাওয়ার সময় আপনাকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে।
৫. চামচ নামিয়ে রাখুন
যারা ধীরে ধীরে খেতে চান তাদের জন্য এই সহজ কৌশলটি সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একটি কামড় খাওয়া এবং তারপর প্লেটে চামচটি বিশ্রামে রাখার অভ্যাস আপনাকে আরও ধীরে ধীরে খেতে এবং খাবার উপভোগ করতে সহায়তা করতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ভিমরুলে কামড়ালে যা করবেন
ভিমরুল ছোট পতঙ্গ হলেও খুবই ভয়ংকর। যারা ভিমরুলের হুলের খোঁচা খেয়েছেন কেবল তারাই জানেন এর ব্যথা কতটা তীব্র হয়। এটির কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। তাই ভিমরুল দেখা মাত্রই সবার সতর্ক হওয়া জরুরি।
ভিমরুলের কামড়ে বড়দের তুলনায় শিশুদের প্রতিক্রিয়া হয় বেশি। এ জন্য যেসব বিষয় সতর্ক হতে হবে তা হলো—
১. ভিমরুল হুল ফুটিয়ে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বুলান, তার পর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।
২. খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছি অথবা ভিমরুলকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।
৩. হুল ফোটানোর পর সেই স্থানটিতে গরম লেগে জ্বালা করে এবং লাল হয়ে ফুলে যায়। তাই প্রভাবিত স্থানে সবার আগে বরফ লাগান।
৪. কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
৬. ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ খান। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল তো রয়েছেই।
৭. হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায়ও আছে। যাদের অবস্থা গুরুতর নয় এবং ওষুধ খেতে চাইছেন না, তারা এই উপায় অবলম্বনে স্বস্তি পেতে পারেন—
১. ভিমরুলে কামড়ালে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল লাগিয়ে নিলে জ্বালা কমবে। তুলসি পাতার রস, ইউক্যালিপটাস তেল লাগালে স্বস্তি পাবেন। আবার অ্যালোভেরা জেলও শীতলতা প্রদান করতে পারে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যথা, চুলকানি, ফোলা ও জ্বালা ভাব কম করে।
২. বেকিং সোডা ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তার পর ওই পেস্টটি প্রভাবিত স্থানে লাগান। বেকিং সোডা না-থাকলে শুধু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগাতে পারেন। এই ভিনিগার বিষের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় ভিজিয়ে এই ভিনিগার ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চুল পড়ার সমাধানে কেন পেঁয়াজ ব্যবহার করবেন?
পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা থাকলেও মাথায় তা ব্যবহার করতে অনীহা অনেকের। পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধই এর কারণ। তবে গন্ধ এড়াতে বিভিন্ন কন্ডিশনার, শ্যাম্পু ও তেলে পেঁয়াজের নির্যাস দিয়ে চাইলেই এটা ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পেঁয়াজের রস ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নতুন করে চুল গজানো বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে। এ ছাড়া এটি চুলের গঠনগত প্রোটিন কেরাটিনের মান ভালো করে। পেঁয়াজের তীব্র গন্ধের জন্য এটি ব্যবহারে অনীহা থাকলেও ইদানীং পেঁয়াজের নির্যাস ব্যবহার করছে বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থা। তাদের প্রসাধনীতে আলাদা করে সুগন্ধি মেশানো হয়। তাই পেঁয়াজের উগ্র গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলে না ততটা। কিন্তু এমন কী রয়েছে এর মধ্যে?
নতুন চুল গজাতে কীভাবে কাজ করে পেঁয়াজের রস?
১) সালফার রয়েছে পেঁয়াজের রসে। এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ফলিকল থেকে বিশেষভাবে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
২) চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে মাথার ত্বকে কোনো রকম সংক্রমণ হলে। পেঁয়াজের রস ব্যবহারে কোনো রকম ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক মাথার ত্বকে বাসা বাঁধতে পারে না।
৩) পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ভালো রক্ত চলাচলের ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় চুলের ফলিকলে।
পেঁয়াজ থেকে রস বের করবেন কীভাবে?
পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিন ব্লেন্ডার বা মিক্সিতে। তারপর সেই পেঁয়াজ বাটা ঢেলে দিন পাতলা সুতির কাপড়ে। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ছাঁকনিও। এরপর রস বের করতে হবে ছেঁকে।
পেঁয়াজের রস কীভাবে মাখবেন?
মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে মাথায় আগে করতে হবে শ্যাম্পু। তবে পেঁয়াজের রস ভিজে চুলে মাখা যাবে না। চুল ভালো করে আগে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলো পেঁয়াজের রসে ভিজিয়ে তা মেখে নিন মাথার ত্বকে। পেঁয়াজের রস অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা মেখে রাখুন মাথায়। পেঁয়াজের গন্ধ এবং ঝাঁঝ সহ্য করতে পারলে রেখে দিতে পারেন সারা রাত। পরের দিন মাথায় শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার মাখলেই শেষ হবে কাজ।
এমআই