অর্থনীতি
কমবে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একাধিক পূর্ভাবাস জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২৪ সালে দেশের চড়া মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে আসবে, পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। তাতে অর্থনৈতিক খাতে সুখবর পাওয়া গেলেও প্রবৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ রয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, চলতি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ নামতে পারে; আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমা মানুষের জন্য ভালো; আবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া খারাপ।
৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স ‘বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা এবং সম্ভাবনা ২০২৪’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে এসব কথা বলেছে।
মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে
জাতিসংঘের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমবে। সদ্যবিদায়ী ২০২৩ সালে এ দেশে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। নতুন বছর তা বেশ খানিকটা কমে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নামবে। ২০২৫ সালে সেটি আরও কমে সাড়ে ৫ শতাংশ হবে।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের ৫০ শতাংশের মতো বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যায়। পুরো ২০২৩ সালজুড়েও মূল্যস্ফীতির খুব চাপ অনুভব করেছেন সাধারণ মানুষ।
২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির দুটি রেকর্ড হয়েছে। একটি হলো, গত মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উঠেছে, যা ১৩৪ মাস বা ১১ বছর দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখা গিয়েছিল। এরপর আর কখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি।
গত আগস্ট মাসে অন্য রেকর্ডটি হয়, যখন হঠাৎ করেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের ঘরে ওঠে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে উঠেছে, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান গত তিন বছরে হাইপার মূল্যস্ফীতি (২০ শতাংশের বেশি) হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ২০২২ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ। পরের বছর তা ১৭-১৮ শতাংশে নেমে আসে। চলতি ২০২৪ সালে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালে ৩০ শতাংশে উঠেছিল, যা চলতি বছরে কমে ১৯ শতাংশ হতে পারে।
জাতিসংঘ বলেছে, বিদায়ী ২০২৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বেশি বেড়েছে। বৈশ্বিক সংস্থাটি আরও বলেছে, খাদ্যের বাড়তি দাম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়েছে, যা দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করছে। গত ২০২৩ সালে বিশ্বে ২৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগেছে। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২১ কোটি ৬০ লাখ।
প্রবৃদ্ধি কমবে
জাতিসংঘ বলেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ শতাংশ। নতুন বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামবে। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে উঠতে পারে।
এসব নিয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এক-দেড় বছর ধরেই সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই চাপের মধ্যে ছিল। ২০২৪ সালে এসব সূচক ঠিক করতে সরকার কী ধরনের সংস্কার কার্যক্রম নিচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে এ বছর অর্থনীতি কেমন যাবে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে সুদের হার বাড়াতে হবে, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে হবে। খরচে সাশ্রয়ী হতে হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঘোষিত ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী জুনে তৃতীয় কিস্তির এই অর্থ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই কিস্তিতে মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৬৮ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। গতকাল আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, গতকাল আইএমএফ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে তৃতীয় কিস্তি নিশ্চিত করার জন্য চুক্তির বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছরের জুন নাগাদ দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, ঋণদাতাটি এটা কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনতে পারে বলেও জানান তাঁরা।
ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য মার্চ শেষে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার ও জুন শেষে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত ছিল আইএমএফের। অর্থবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণ না হলেও তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে কোন সংশয় নেই।
এর আগে দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আগেও নিট রিজার্ভের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। তখন আগামী মার্চ ও জুনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করে এমওইউ স্বাক্ষর করে আইএমএফ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা আদায় করেছে সরকার। তবে অর্থবছর শেষে আগামী জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা কর রাজস্ব আহরণ করতে হবে।
এদিকে ঋণের তৃতীয় এবং চতুর্থ কিস্তির জন্য ব্যাংকিং খাতের শর্ত সামঞ্জস্য করতে আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন আইএমএফের কর্মকর্তারা।
একই দিন দুপুরে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে সভা করে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ও চতুর্থ কিস্তি ছাড় করার জন্য সংশোধিত শর্তগুলো (রিভাইজড টার্মস এন্ড কন্ডিশন) সংযুক্ত করে চূড়ান্ত করা সমঝোতা স্মারকে সম্মতি নেবে আইএমএফ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বেচবে টিসিবি
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে ১০০ টাকা লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং প্রতি কেজি ৬০ টাকায় মসুর ডাল বিক্রি করবে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। একইসঙ্গে ন্যায্যমূল্যে চালও বিক্রি করবে সংস্থাটি। সারা দেশে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবার এসব পণ্য কিনতে পারবেন।
গতকাল সোমবার টিসিবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুরু হয়ে এক মাস চলবে। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের বারিধারা পার্কের পাশে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্রান) তেল, ৫ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা রাইস ব্রান অয়েলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মৎস্য খাতের উন্নয়নে দুটি রপ্তানি অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
চিংড়ি, কাঁকড়া, সুস্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিপুল সম্ভাবনা বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। সম্ভাবনাময় এই খাতের অবারিত সুযোগ কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন এবং সরবরাহ বাড়াতে এ খাতের জন্য পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চান মৎস্য খাতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৬ মে) মৎস্য খাতবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্য মাছ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে কেজকালচার বা খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রপ্তানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিল। এগুলো রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনো হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মতো আর মাছ রপ্তানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। এই খাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সমাধান করা গেলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০৩০ সালে দেশের জনসংখ্যা হতে পারে ২৪ কোটি। আর এ জনসংখ্যার জন্য ৬০ লাখ মেট্রিক টন মাছ দরকার হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মৎস্যচাষিদের স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাছ চাষে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এই খাতের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এছাড়া মাছ রপ্তানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এ সময় অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ আলহাজ হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আগামীকাল
আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে ১০০ টাকা লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং প্রতি কেজি ৬০ টাকায় মসুর ডাল বিক্রি করবে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে চালও বিক্রি করবে সংস্থাটি। সারা দেশে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবার এসব পণ্য কিনতে পারবেন।
সোমবার (৬ মে) টিসিবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুরু হয়ে এক মাস চলবে। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের বারিধারা পার্কের পাশে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্রান) তেল, ৫ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা রাইস ব্রান অয়েলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৬তম আসর শুরু
ডেনিম শিল্পের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর ১৬তম আসর শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (৬ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে দুই দিনব্যাপী এ আসর শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপানসহ ১১টি দেশের ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
রিইমাজিন বা ডেনিম শিল্পকে নতুন করে ভেবে দেখা শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ডেনিম এক্সপো। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই বস্ত্র থেকে শুরু করে এ শিল্পে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও উদ্ভাবনসমূহ প্রদর্শনের মাধ্যমে এ শিল্পের বৈচিত্র্যময় দিকসমূহ তুলে ধরেছে। নিরন্তর উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা নিয়ে সবাই একত্রে ডেনিম শিল্পে যে সমৃদ্ধ সম্ভব, এ বিষয়টি তুলা ধরা হবে ডেনিম এক্সপোতে।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি চারটি আলোচনা সভা ও দুইটি ‘ট্রেন্ড সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীর প্রথম দিনে দুইটি প্যানেল আলোচানা সভা ও একটি ট্রেন্ড সেমিনার থাকবে। প্রথম দিন ডেনিম শিল্প নিয়ে যুগান্তকারী ও নতুন ভাবনাসমূহ ও ডেনিম শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও শিল্পের প্রস্তুতি শীর্ষক দুইটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া ডেনিম শিল্পে কাপড় থেকে শুরু করে ডেনিম পণ্য উৎপাদনে উদ্ভাবন, ও প্রযুক্তি নিয়ে একটি ট্রেন্ড সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
এক্সপো’র দ্বিতীয় দিনে পোশাক শিল্পে পানির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের পোশাক উদ্যোক্তাদের চোখে ডেনিম শিল্প শীর্ষক দুইটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে ট্রেন্ড সেমিনার যেখানের আলোচকগণ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ডেনিম পণ্য উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনা করবেন। সেমিনারে এ শিল্প সংশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
এমআই