সারাদেশ
শরীয়তপুরে দারুস সালাম হাবিবুর রহমান নুরানী ও হাফিজায়া মাদ্রাসার উদ্বোধন
শরীয়তপুর জেলা সখিপুর থানা উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ছুরির চর, কাননগু সাহেবের কান্দি, ২ নং ওয়ার্ডে হোসেন সরকারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দারুস সালাম হাবিবুর রহমান নুরানী ও হাফিজায়া মাদ্রাসার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় মাদ্রাসার প্রায় একশত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী উপস্থিতে এ মাদ্রাসার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবু সালেহ পীর সাহেব তারাবুনিয়া দরবার শরীফ। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন সরকার এবং পরিচালনায় রয়েছেন হাফেজ মো. হুমায়ুন কবির (টিটু)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি ফজলুল হক সাহেব, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মো. শাহিন, সুমন প্রাধানিয়া, মো. ইদ্রিস আলী প্রাধানিয়া, নুর মোহাম্মদ সরকারসহ স্থানীয় আলেম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে দোয়া ও বই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্থানীয় আলেম, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন সরকার বলেন, এই এলাকার আশপাশে আগে কোনো দিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার কথা চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই মাদ্রাসার মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। মাদ্রাসা উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ও সুন্দর শিক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এমকে
সারাদেশ
একই আসনে লড়বেন হান্নান মাসউদ ও তার বাবা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী–৬ (হাতিয়া) সংসদীয় আসনে ভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও তার বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হান্নান মাসউদ ও তার বাবা।
জানা গেছে, আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) হয়ে একতারা প্রতীকে এবং আব্দুল হান্নান মাসউদ শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
এনিয়ে এলাকায় জন্ম দিয়েছে আলোচনা, সমালোচনা ও কৌতূহলের। কেউ কেউ বলছেন, এটি নবীন ও প্রবীণের প্রতীকী লড়াই, আবার কেউ দেখছেন রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের নতুন এক মাত্রা অথবা ভিন্ন কৌশল।
জানা গেছে, নোয়াখালী–৬ (হাতিয়া) আসনে এবারের নির্বাচনে ১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে মো. মাহবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী থেকে অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এনসিপি থেকে আবদুল হান্নান মাসউদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, শামীমা আজিম, তানভীর উদ্দিন রাজিব, মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে এটিএম নবী উল্যাহ, নাছিম উদ্দিন মো. বায়েজীদ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব, গণঅধিকার পরিষদের মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম শরীফ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
হান্নান মাসউদ ও তার বাবার নির্বাচন নিয়ে হাতিয়ার বাসিন্দা আবদুস সালাম বলেন, একই পরিবার থেকে দুই বা ততোধিক প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ হাতিয়ার রাজনীতিতে নতুন কোনো বিষয় নয়। এটি মূলত একটি সুপরিকল্পিত কৌশল, যার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক প্রভাব বজায় রাখা যায়। একাধিক প্রার্থী থাকলে একদিকে যেমন বেশি এজেন্ট নিয়োগ করা সম্ভব হয়, তেমনি মাঠে লোকবল ও শক্তির উপস্থিতিও বাড়ে, যা নির্বাচনের দিন বড় ভূমিকা রাখে।
এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশের আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে লড়াই করেছি। তবে ভোটের অভিজ্ঞতা আমার জন্য একেবারেই নতুন। ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। নোয়াখালী–৬ আসনের বাকি ১৩ জনের মধ্যে আমার বাবা একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ মানুষ। তাই তার মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে আমি উৎসাহিত করেছি। ভোটের মাঠে তার কাছ থেকেও নতুন কিছু শেখার সুযোগ হবে। আমি শাপলা কলি প্রতীকে লড়ব এবং বাবার এই নির্বাচনি লড়াইকেও আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
তবে এ বিষয়ে আব্দুল মালেকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীর ছয়টি আসনে ৮৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৬২ জন প্রার্থী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম চলবে।
তিনি জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২২ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়ে চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সারাদেশ
লুৎফুজ্জামান বাবরের আসনে স্ত্রীও প্রার্থী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
সোমবার (২৯ তারিখ) বিকেল ৪টার দিকে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
একই সংসদীয় আসনে স্বামী-স্ত্রীর পৃথক মনোনয়ন দাখিল নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মনোনয়ন দাখিলকালে বিএনপি ও সমর্থক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষ থেকে এ সময় কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সারাদেশ
দেরি হওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র কিনলেও জমা দিতে পারেননি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। নির্ধারিত সময়ের পরে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা জমা নেননি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান।
এরআগে দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন তোলেন হিরো আলম। তিনি আমজনতা দল থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র কেনেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমার ফরম পূরণ করতে ৩০ মিনিট সময় বেশি লেগেছে। আমি সাড়ে ৫টায় আসার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।’
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, তাকে (হিরো আলম) আগেই বলেছিলাম ৫টার মধ্যে জমা দিতে। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসতে পারেনি, নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়নি।
সারাদেশ
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী, আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
অলিউল্লাহ নোমান তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলাম। আমিরে জামায়াতের ফোনে আমি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য রাজি হয়েছিলাম।
দাঁড়িপাল্লা মার্কায় আমার এ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ছিল ধূমকেতুর মতো। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম কাকতালীয়ভাবে। সংগঠনের সর্বস্তরের ভাই-বোন-শুভাকাঙ্ক্ষী-ছাত্র-যুবকরা নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। সত্যিই আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমি আজীবন স্মরণ রাখব। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করা যায় না।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে ১০ দলীয় জোট প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের নির্বাচন করবেন।
সারাদেশ
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ থেকে ২৫টির বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিটের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্যাম্পবাসীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা ও আলীখালী এলাকার ২৪ ও ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী অংশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার।
টেকনাফের লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্যাম্পের বাসিন্দা ফাতেমার একটি ঘরে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের ঝুপড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, প্রশাসন ও ক্যাম্পবাসীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।




