গণমাধ্যম
ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৩ সাংবাদিক
কূটনৈতিক সাংবাদিকদের মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর উদ্যোগে কূটনীতি বিষয়ক প্রতিবেদনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিন সাংবাদিককে ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও সদস্য লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। তিনি জুরি বোর্ডের প্রধান রিয়াজ আহমেদের সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এবার প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক আমাদের সময়-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক আরিফুজ্জামান মামুন, টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে যমুনা টেলিভিশনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স এডিটর মাহফুজুর রহমান মিশু এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে সারাবাংলা ডট নেটের কূটনৈতিক প্রতিবেদক অপূর্ব কুমার পিকে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ‘বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনৈতিক সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রেখে চলেছেন।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও কূটনীতিক বিটের সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ও পেশাদার সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে আরো কার্যকর অবদান রাখবেন। একই সঙ্গে ডিক্যাবের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।
পুরস্কারের জুরি বোর্ডের প্রধান এবং ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকতা অন্যান্য সমসাময়িক বিটের সাংবাদিকতা থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র।
এখানে কোনো নির্দিষ্ট ন্যারেটিভে আটকে না থেকে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকতার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকরা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং আঞ্চলিক অনেক দেশের তুলনায় বেশি পেশাদার। অনুষ্ঠানে ডিক্যাবের সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালু করে সংগঠনটি।
এবার ছিল এর দ্বিতীয় আয়োজন। এ বছর তিনটি ক্যাটাগরির সব প্রতিযোগীকেই ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়। পাশাপাশি ডিক্যাবের সদস্য লেখকদের বিশেষ সম্মাননাও প্রদান করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আগে ডিক্যাবের সৃজনশীল লেখনীর সঙ্গে যুক্ত চারজন সদস্যকে লেখক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবছর লেখক সম্মাননা পেয়েছেন ডিবিসি নিউজের ইশরাত জাহান উর্মি, দেশকাল নিউজের মাসুদ করীম, ভিউজ বাংলাদেশের রাশেদ মেহেদী এবং আলাপের নাহিদ হোসেন।
ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের সঙ্গে ডিক্যাবের চুক্তি
অনুষ্ঠান শেষে ডিক্যাব তার সদস্য ও সদস্য পরিবারের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল–এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মোজাফফর হাসান খান মজলিস, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ সাদ আব্দুল্লাহ। ডিক্যাবের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন। হাসপাতালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জেনারেল ম্যানেজার মোজাফফর হাসান খান মজলিস এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস।
এমকে
গণমাধ্যম
ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিলো মেটা
সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে মেটা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত থেকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখা যাচ্ছে না।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াসের ফেসবুক থেকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা চালাতে উসকানিমূলক একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠান দুটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ইলিয়াসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খুঁজে না পাওয়া নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। Centraist Nation Tv এর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডাউন করে দিয়েছে মেটা। অ্যাকাউন্টটিতে ২ মিলিয়ন ফলোয়ার ছিল। অপর একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইলিয়াসের প্রায় ২২ লাখ অনুসারীর ফেসবুক পেজটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গণমাধ্যম
পাঠকদের উদ্দেশে প্রথম আলোর বার্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর গতকাল রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ প্রকাশিত হয়নি ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ।
প্রথম আলোর আলনাইন ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বিগত রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি।
এতে আরও বলা হয়, পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে পাঠকদের সহযোগিতাও প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান দুটিতে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে, জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর দেখা যায় প্রথম আলো কার্যালয়ের কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। তবে যে কোনো ঝুঁকি এড়াতে আরেকটি ইউনিট এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
প্রথম আলো কার্যালয়ের গিয়ে দেখা যায়, আগুনে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। সকাল থেকে ভবনের ভেতরে ধোঁয়ার দেখা মিললেও এখন আর তেমন নেই। আশপাশের ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। তবে আগুন দেওয়া ভবনটির নিচতলায় প্রথমা প্রকাশনের কার্যালয় ছিল। আগুনে এ কার্যালয় পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
এমকে
গণমাধ্যম
ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সাদিক কায়েমের হুঁশিয়ারি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢামেকের ইমার্জেন্সিতে নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হাদীর গুলিবিদ্ধের খবরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম। আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ওসমান হাদীকে গুলি করা হল। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
গণমাধ্যম
এই মুহূর্তে দেশ নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা কার আছে: প্রশ্ন জিল্লুর রহমানের
তুলনামূলক বিচারে দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা কার আছে বলে প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, জনসমর্থন কার আছে? সেই সাংগঠনিক শক্তি কার আছে? এগুলো একটু বিবেচনা করা দরকার।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো। ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেন। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই খুব আশাবাদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা হবে কি না বা কেমন নির্বাচন হবে সেটা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার যথেষ্ট সময় আছে। একজন নিরপেক্ষ মানুষও একটা রাজনৈতিক দলের ভালো কাজকে সমর্থন করতে পারেন। খারাপ কাজকে নিন্দা করতে পারেন। একটা নির্দিষ্ট সময় বিবেচনায় এটা কাজ করতে পারে যে এই শক্তিকে এই মুহূর্তে সমর্থন দেওয়া দরকার।
জিল্লুর বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই ভোট হবে অনুপস্থিত নৌকার ছায়ার নিচে। আওয়ামী লীগ কার্যক্রমে নিষিদ্ধ দলীয় নিবন্ধন ঝুলে আছে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলার ছায়ায়।
মাঠে চিত্র একেবারে উল্টো, নিষিদ্ধ নৌকার ভোটটাই এখন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সম্পদ। যাকে ঘিরে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি পর্যন্ত নীরব বিডিংয়ে নেমেছে।
জিল্লুর আরো বলেন, এই ভোটের ভেতরে আছে কয়েকটি স্তর। একদিকে আছে আওয়ামী লীগের কট্টর আদর্শিক সমর্থক। যারা সত্যিই ভোট বয়কট করবে বা নিছক হতাশায় ঘরে বসে থাকবে।
অন্যদিকে আছে সেই বড় অংশ, যারা ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রশাসনিক সুবিধা বা নিছক মন্দের ভালো ভেবে নৌকায় ভোট দেবেন। আবার সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ভোটারদের একটা অংশ আছে, যারা বহু বছর ধরে নিরাপত্তার রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে থেকেছেন।
গণমাধ্যম
ফের বিয়ে করলেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার
ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহারের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে গত ২১ অক্টোবর। এই বিচ্ছেদের মাসখানেক পরেই তারা ফের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন সাবিকুন নাহার নিজেই।
আবু ত্বহার সঙ্গে আলাদা হয়ে ফের কিভাবে একসঙ্গে হলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী।
পুরোদস্তুর ধোঁকা, নিখাঁদ এক প্রতারণা। কত দিনই আর বাঁচব আমরা এই দুনিয়ায়? অনন্ত পরকালের চুলচেড়া হিসাব আর চিরস্থায়ী জান্নাতের সাফল্যই যে সব! সেই সাফল্যের ভিখারি হয়েই আজ কথাগুলো লিখছি। কে কী ভাববে? কে কী বলবে?’
বাচ্চারা বাবা-মাকে খোঁজে—এমনটা জানিয়ে সাবিকুন নাহার লিখলেন, ‘কী হবে আর কী না হবে এসবেরও বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। প্রতিনিয়ত আয়িশা তার বাবাকে খোঁজে! বাবা যাব! বাবা গাড়ি! বাবা কই? শব্দগুলোর ওজন উঠানোর কোনো পরিমাপক মহাবিশ্বে নেই।
উসমানও মাকে পাচ্ছে না। উসমানের সামনে অন্যরা তাদের মায়ের নিকট আম্মু বলে ছুটে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্লিপ্ত চাহনিতে উসমানের প্রশ্ন তার আম্মুর কাছে কখন নিয়ে যাবে?’
বিচ্ছেদ ও পূর্বের ঘটনা প্রসঙ্গে সাবিকুন নাহার বলেন, ‘যা ঘটে গেছে তার অনিবার্য পরিণতি যে এটাই তা হয়তো আমরা জানতাম, তবে জানা আর প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করা যে কখনোই এক নয়! ইলমুল ইয়াক্বিন আর হাক্কুল ইয়াক্বিনে আছে আকাশসম ফারাক। জানা বিষয়টি উপলব্ধি করেছি আমরা। বেশাক আমাদের ভুল ছিল। কিছু ভুল বুঝেছি, বোঝানোও হয়েছে! উসমানের বাবার প্রতি প্রগাঢ় মুহাব্বাত থেকেই অস্থির হয়েছি, কিছু রাগ, জেদ ও সীমালঙ্ঘনও হয়ে গেছে! সাথে মানুষ ও জিন শয়তান, বিচ্ছেদের জাদু কি না ছিল?’
সাবিকুন নাহার বলেন, ‘হয়তো এভাবেই আমাদের ভাগ্য লেখা হয়েছিল। তাকদিরের কাছে তো অনেক বড়রাও অসহায় ছিলেন, যেমন গ্রহণের সময় নিরূপায় থাকে চাঁদের আলো। তাই বলে কি চাঁদ কস্মিনকালেও কলঙ্কিত? সে যে আজন্ম আমার চাঁদ-ই ছিল! দুরাচার শয়তান সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বারবার! শুভ্র, স্বচ্ছ, সুন্দরে, চিন্তায় ইবলিসকে তাই ঠাঁই দিইনি আর। ফা লিল্লাহিল হামদ! অতঃপর… আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। উসমান ও আয়িশা তাদের বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে! আল্লাহুম্মা লাকাল হামদ।’




