জাতীয়
রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ
নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, মালামাল ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রিটার্নিং কার্যালয় ও সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান।
ইতোমধ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনসহ দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এবার এর আওতায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হলো। বর্তমানে সারাদেশে ৬৯ জন রিটার্নিং অফিসার এবং প্রায় পাঁচশ সহকারী রিটার্নিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়সমূহে নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনি মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব অফিসে সংরক্ষিত নথি ও মালামালের সুরক্ষা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।”
এই প্রেক্ষাপটে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের জন্য বর্তমানে গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট থাকলেও নির্বাচনকালীন সময়ে আরও একটি গাড়িসহ অতিরিক্ত এসকর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চার কমিশনার ও ইসি সচিবের বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগেই নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এমকে
জাতীয়
সিঙ্গাপুর থেকে দেশের পথে ওসমান হাদির মরদেহ
আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৫ ফ্লাইটটি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ মর্যাদাপূর্ণ ও নির্বিঘ্নভাবে দেশে আনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার মৃত্যুর সংবাদ ঢাকায় পৌঁছালে কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয় রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক একটি অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
এমকে
জাতীয়
একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শুধু বলব, আমি দুঃখিত: প্রেস সচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ২টা ৪২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, ‘গত রাতে দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে কর্মরত আমার সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য আতঙ্কিত, অশ্রুসিক্ত ফোন কল পেয়েছিলাম। আমার সব বন্ধুদের কাছে আমি গভীরভাবে দুঃখিত, আমি তোমাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছি। তোমাদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ফোন করেছি, কিন্তু সেই সহায়তা সময়মতো পৌঁছায়নি।’
তিনি লেখেন, ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সব সাংবাদিককে উদ্ধারের পর ভোর ৫টায় আমি ঘুমাতে যাই। কিন্তু ততক্ষণে এই দুটি সংবাদমাধ্যম দেশের ইতিহাসে গণমাধ্যমের ওপর সংঘটিত অন্যতম ভয়াবহ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সাক্ষী হয়ে গেছে।’
সাংবাদিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে শফিকুল আলম লেখেন, ‘আমি জানি না কোন শব্দ দিয়ে তোমাদের সান্ত্বনা দেব। একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শুধু বলব, আমি দুঃখিত। লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি।’
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সরকার পত্রিকা দুটির পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
এমকে
জাতীয়
শনিবার থেকে যেসব অঞ্চলে বাড়ছে ট্রেন ভাড়া
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে নিয়ে গঠিত। এই রুটে ট্রেন ও আসনভেদে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। পন্টেজ চার্জ সমন্বয় করে ছয়টি রুটে এই ভাড়া বাড়ানো হলো।
নতুন ভাড়া কার্যকর হবে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে। সেক্ষেত্রে ওইদিনের অগ্রিম টিকিট কিনতে গেলেও নতুন কার্যকর হওয়া ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মূলত ব্রিটিশ আমলের নিয়ম অনুযায়ী, রেলের যাত্রাপথে থাকা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পন্টেজ চার্জ ধরা হয়। এতদিন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাতটি সেতু পন্টেজ চার্জের আওতায় ছিল। বর্তমানে যোগ হচ্ছে আরও নতুন ১১টি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন বিভিন্ন ব্রিজে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে অভিন্ন সামঞ্জস্যপূর্ণ পয়েন্ট চার্জ আরোপ করার ফলে বিভিন্ন রুটে যাত্রী প্রতি ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা (বিরতিযুক্ত আন্তঃনগর ট্রেন)
এই রুট এর আগের দূরত্ব ছিল ৩৪৬ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৪০৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪৫০ টাকা। প্রথম সিট ৬২১ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৭৭৭ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫৭ টাকা, এসি সিট ৯৩২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৩০ টাকা, এসি বার্থ ১৪৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৯১ টাকা করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা (নন স্টপ ট্রেন, ৭০১/৭০২,৭৮৭/৭৮৮)
এই রুট এর আগের দূরত্ব ছিল ৩৪৬ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪৯৫ টাকা। এসি চেয়ার ৮৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯৪৩ টাকা, এসি সিট ১০২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১১৩৩ টাকা হয়েছে।
কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার (নন স্টপ ট্রেন, ৮১৩/৮১৪,৮১৫/৮১৬)
এই রুট এর আগের দূরত্ব ছিল ৫৩৫ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৫৮৩ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৯৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৭৫৪ টাকা।
এসি চেয়ার ১৩২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৪৩ টাকা, এসি সিট ১৫৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭২৮ টাকা, এসি বার্থ ২৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬৪৪ টাকা করা হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট-ঢাকা (বিরতিযুক্ত আন্তঃনগর ট্রেন)
এই রুট এর আগের দূরত্ব ছিল ৩১৯ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৩৭৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪১০ টাকা। প্রথম সিট ৫৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩৩ টাকা, এসি চেয়ার ৭১৯ টাকা থেকে বেড়ে ৭৮৮ টাকা, এসি সিট ৮৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ৯৪৩ টাকা, এসি বার্থ ১৩৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৬৫ টাকা করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে পয়েন্ট চার্জ আরোপের ফলে বর্ধিত ভাড়া ইতঃপূর্বে কার্যকর করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে পয়েন্ট চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া সমন্বয় করা হলে পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের বিদ্যমান ভাড়ার সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
এমকে
জাতীয়
সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের
জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ হওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশের সব নাগরিককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আহ্বান জানানো হচ্ছে—কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে সতর্ক থাকুন।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ এবং জানমাল ধ্বংসের সকল কর্মকাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে আমরা একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। যারা বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি হিসেবে নেয় এবং শান্তির পথকে উপেক্ষা করে—এমন অল্প কয়েকজনের কারণে এই অগ্রযাত্রা আমরা কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দিতে পারি না এবং দেব না।
নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট কেবল রাজনৈতিক অনুশীলন নয়; এগুলো একটি গুরুতর জাতীয় অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে সেই স্বপ্নের সঙ্গে, যার জন্য শহীদ শরিফ ওসমান হাদি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার প্রয়োজন।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ–এর সাংবাদিকদের প্রতি আমরা বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। সন্ত্রাসের মুখেও আপনাদের সাহস ও সহনশীলতা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা। আমরা আপনাদের পূর্ণ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছি।
ময়মনসিংহে একজনকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই। নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাই—সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে শহীদ হাদির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করুন—বলা হয় বিবৃতিতে।
এমকে
জাতীয়
দুই সম্পাদককে প্রধান উপদেষ্টার ফোন, পাশে থাকার ঘোষণা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী অকুতোভয় সৈনিক ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যাক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে।
টেলিফোনে আলাপকালে সম্পাদকদের ও সংবাদমাধ্যমগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।
খুব শিগগিরই এই সম্পাদকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এমকে




