জাতীয়
কামালকে দিয়েই শুরু হবে, এরপর একে একে: প্রেস সচিব
জুলাই মাসের গণহত্যার মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত। তবে সেই প্রত্যর্পণের শুরুটা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, তিনি বিশ্বাস করেন, জুলাইয়ের ঘটনাবলির অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে একদিন বাংলাদেশের আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। ভারত এরই মধ্যে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা করছে।
প্রেস সচিব লিখেছেন, আমরা জানি, হাসিনার শক্তিশালী সমর্থক রয়েছে। তবুও আমি ক্রমেই আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে আসাদুজ্জামান খান কামাল যিনি ঢাকার কসাই হিসেবে পরিচিত। খুব শিগগির বিচারের মুখোমুখি হতে বাংলাদেশে প্রত্যর্পিত হবেন। হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত অপরাধগুলো সম্পর্কে যতদিন যাচ্ছে ততই আলো পড়ছে, এবং সেই সঙ্গে গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় কামালের ভূমিকা বৈশ্বিক গণমাধ্যমের আরও বেশি মনোযোগ পাবে।
শফিকুল আলম আরও লেখেন,কামাল বা অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা যত অর্থই ব্যয় করুক না কেন, চিরদিন দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। আমরা জাতি হিসেবে যদি জুলাইয়ের গণহত্যার শিকারদের জন্য এবং হাসিনা আমলে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করতে দৃঢ় ও মনোনিবেশ থাকতে পারি, তবে যারা এসব ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের পক্ষে পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এটি শুরু হবে কামালকে দিয়ে, এরপর একে একে…।
জাতীয়
গৃহশ্রমিকের অধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের প্রতিক্রিয়া
গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্কভুক্ত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিগণ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাদের বিদ্যমান শ্রম আইনের দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ অধ্যায়ের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তি ও সংজ্ঞায়িত করার জন্য গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানানো হয়।
তবে নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে গৃহপরিচারককে শ্রম আইনে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, মজুরি, কর্মঘণ্টা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, সামাজিক সুরক্ষার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে। যদিও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় নীতি অনুসরনীয় কিন্তু গৃহশ্রমিককে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’-এ বর্ণিত নির্দেশনা এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে গৃহশ্রমিকদের বিষয়ে সুপারিশসমূহ অনুসরণ করা হয়নি। নীতিতে ও কমিশনের প্রতিবেদনে গৃহশ্রমিকের সুরক্ষা, কল্যাণ, মজুরি, নিয়োগচুক্তি, কর্মঘণ্টা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকলেও শ্রম আইনের সংশোধনীতে গৃহশ্রমিকের জন্য এসব অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে।
শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান থাকাকালে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’ ও শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব বরাবর যে সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছিল তার অধিকাংশই শ্রম আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে গৃহীত হয়নি।
নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে আরও উল্লেখ করা হয়, গৃহশ্রমিকের শ্রম আইনে আংশিক অন্তর্ভুক্তি তাদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয়, উপরন্তু প্রায়োগিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক মনে করে, যে সকল অধ্যায়ের জন্য গৃহশ্রমিককে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার প্রয়োগ যথাযথভাবে নিশ্চিত করার জন্য স্পষ্ট ব্যাখ্যা শ্রম বিধিমালায় যুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপশি শোভন কর্মপরিবেশ ও কর্মক্ষেত্রে গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে শ্রম আইনের যে সকল অধ্যায়ের ক্ষেত্রে গৃহশ্রমিক প্রযোজ্য হয়নি, সে অধ্যায়গুলোতে গৃহশ্রমিককে অন্তুর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। দেশের অন্যান্য শ্রমিকের ন্যায় গৃহশ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে শ্রম আইনের সকল অধ্যায়ে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে পুনরায় অধ্যাদেশ জারি এবং অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে শ্রম বিধিতেও সংশোধন আনা জরুরি। নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করা হয়, ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫’, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এর মানদন্ডে আলোকে গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমেই দেশের চরম অবহেলিত গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এ ধারা ১ এর উপ-ধারা (৪) এর দফা (ণ) সংশোধন করে ‘গৃহপরিচারক’-কে এই আইনের দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ অধ্যায়ের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপশি ধারা ২-এর উপ-ধারা (৯খ) সন্নিবেশনের মাধ্যমে ‘গৃহপরিচারক’ এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়
সবুজ প্রযুক্তি, পাট ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সবুজ প্রযুক্তি, পাট, টেক্সটাইল ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন চায়না এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের (এক্সিম ব্যাংক) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় ইনস্টিটিউট অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির প্রেসিডেন্ট ড. মা জুন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের কথা তুলে ধরে এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে ইয়াং ডংনিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চীন বাংলাদেশের বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আসলেও এখন তারা ক্রমশ মনোযোগ দিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন খাতে। এর মধ্যে রয়েছে ছাদে স্থাপনযোগ্য সৌর প্যানেল এবং পাটভিত্তিক পণ্য, বিশেষ করে জ্বালানি, জৈবসার এবং প্লাস্টিকের বিকল্প উৎপাদনে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সোনালি আঁশকে কেন্দ্র করে পাটভিত্তিক শিল্পে সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও আগ্রহী চীনা কোম্পানি ও এক্সিম ব্যাংক, যেখানে অতীতে বাংলাদেশের বড় অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
বৈঠকে ড. মা জুন বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প চীনা বিনিয়োগকারীদের অন্যতম প্রধান আগ্রহের ক্ষেত্র। তারা বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তুলতে আগ্রহী। চীনা কোম্পানিগুলো সবুজ জ্বালানি, সার ও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনে এক মিলিয়ন টন পর্যন্ত কাঁচা পাট ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, চীনের অর্থায়নে পাটখাতে যৌথ বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ই্উনূস চীনের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির বিনিয়োগ বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে, যা উন্নত দেশসহ চীনে রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করতে পারবে।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এই খাতগুলোতে পূর্ণ গতিতে এগোতে পারি। তিনি ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতকেও চীনা বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, সৌর জ্বালানির বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে। বিশেষ করে সৌর প্যানেল এবং রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনে বিনিয়োগ বাংলাদেশের এই রূপান্তরে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনকে বাংলাদেশে উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের বিপুল যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে পুনরায় চালু করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা এটি স্বাগত জানাই। আমরা চাই এই আগ্রহ বাস্তব বিনিয়োগে রূপ নিক।
ইয়াং ডংনিং জানান, চীনা কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ই-কমার্স খাতেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে, যে খাতগুলোতে চীন বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিচ্ছে।
প্রতিউত্তরে প্রধান উপদেষ্টা চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের জন্য দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান। এ অঞ্চলে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর রয়েছে এবং মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের নিকটবর্তী হওয়ায় এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের এই অংশের সমুদ্রপথের প্রবেশাধিকার অসাধারণ। চীনা কারখানাগুলো এখানে স্থানান্তরিত হলে তারা উন্নত দেশসহ চীনে রপ্তানি করতে পারবে।
অধ্যাপক ইউনূস চীনা অবকাঠামো কোম্পানিগুলোকে দক্ষিণ চীনের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দেন, যাতে স্থানান্তরিত উৎপাদন কারখানায় তৈরি পণ্যের রপ্তানি এবং আঞ্চলিক সংযোগ আরও সহজ হয়।
বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা হংকংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ৪৪টি নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন
উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ১১ জেলার ৪৪ উপজেলায় নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষ থেকে লাইব্রেরিগুলোর উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, লাইব্রেরিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের সমাপ্তি নয়, আমাদের প্রতিশ্রুতি, দায়িত্ব এবং শিক্ষিত-জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়েছে। লাইব্রেরিগুলো জ্ঞান, আলোক ও মানবিকতার প্রতীক হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দেশে বিদ্যমান আঞ্চলিক বৈষম্যকে মাথায় রেখে লাইব্রেরিগুলোর স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। বিশেষত রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৪১ উপজেলা এই প্রকল্পের আওতায়। প্রতিটি লাইব্রেরির নির্মাণ খরচ ৫৩ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্পের মোট বাজেট ২৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, নবনির্মিত লাইব্রেরিগুলোতে ডিজিটাল লাইব্রেরি, ই-বুক এবং অনলাইন রিসোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষায় অভ্যস্ত হবেন। নবনির্মিত প্রতিটি পাবলিক লাইব্রেরিতে ২টি করে নতুন পদ সৃজনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। পদৃজনের পূর্ব পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লাইব্রেরিগুলো পরিচালনা করবেন।
প্রতিটি লাইব্রেরিতে বই এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে পৃথকভাবে ৫ লক্ষ টাকা বিশেষ বরাদ্দের ঘোষণা দেন আসিফ মাহমুদ। আগামী ১ বছরে সকল উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয়
ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক বাড়িভাড়া নির্ধারণ করে দেবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের কোন এলাকায় বাড়ি ভাড়া কেমন হবে, বাড়ির সেবা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ ও তালিকা করে দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের অধিকার নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা উত্তরের প্রশাসক বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ সালে জারি হলেও আইনের অনেক কিছু মানা হচ্ছে না। আমরা আইন অনুযায়ী ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করব। যা আমরা ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে করে ফেলব।’
তিনি বলেন, ‘ভাড়াটিয়ারা তাদের ভাড়া বাসায় যখন ইচ্ছা তখন প্রবেশ বা বাহির হতে পারবেন। বাসায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভূমিকম্প সহনীয়সহ সকল কম্প্লাইন্স মেনে ভাড়া দিতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স ঠিকমতো না দিলে আমরা কোনো সেবা ওই বাড়িতে দিব না।’
বৈঠকে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক আরও বলেন, ‘ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের মধ্যে এগ্রিমেন্টের একটি দলিলের ফরমেট ওয়েবসাইটে দিয়ে দিব। রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় কমার্শিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা কাজ করব।’
বাড়িভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকাভিত্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে দিব। কোন এলাকায় সর্বোচ্চ ভাড়া কত হতে পারে তেমন একটা রেটকার্ড আমরা দিয়ে দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে যে হারে ভাড়া নেন, সে অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন না। তাই বাড়িওয়ালার হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে ভাড়াটিয়াদের জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনকে রাখতে হবে।’
আইন-আদালত
পিছু হটলেন পান্না, হাসিনার পক্ষে লড়বেন না
ইচ্ছা প্রকাশ করেও গুমের দুই মামলায় পলাতক ও শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হওয়ার তিন দিন পর সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। অর্থাৎ তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার গুমের মামলায় আদালতে লড়বেন না।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জেড আই খান পান্না বলেন, ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এসেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ফজলুর রহমানকে ডিফেন্ড করবো। এই কারণে এবং যে আদালতের প্রতি শেখ হাসিনার আস্থা নেই, সে আদালতে তো আমি তাকে ডিফেন্ড করতে পারি না; উচিত না, অনৈতিক।
তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন, আমি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। না পেলে এটাই আমার সিদ্ধান্ত, আমি আদালতে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবো না। যা হবার হবে, দেখা যাক।
ভিডিও বার্তায় দুর্নীতি দম কমিশনের (দুদক) মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পক্ষে আইনি লড়াই করার ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন ফ্রিডম ফাইটার। একাত্তরে আমি যুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তার আহ্বানে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার কন্যা (শেখ হাসিনা) উইদাউট প্রপার ডিফেন্স, আগেও প্রপার ডিফেন্স ছিল। আমি কাউকে ছোট করছি না। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে আরও প্রপার ওয়েতে ডিফেন্স দেওয়ার দরকার। দ্যাটস হোয়াই আমি স্টেট ডিফেন্স….। আমি প্রথমে বলেছি অন বিহাফ অব শেখ হাসিনা। তো (আদালত) বলছে যে এটা তো আপনি পারেন না। বিকজ সি ইজ ফিউজিটিভ। আমি তখন বলছি ওকে। প্রসিকিউশন বললো স্টেট ডিফেন্স। আমি বললাম আমার কোনো আপত্তি নেই। দ্যাটস অল।



