জাতীয়
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আর শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ০৮টা ৫০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৭৫। বায়ুর এই মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার নিয়মিত বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয়।
তবে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে তা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ২৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল ভিয়েতনামের হ্যানয়। ২০৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৯০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আর ১৭৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। সকালে ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
এনআইডির তথ্য বিক্রি চক্রের সদস্য গ্রেফতার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ ও গ্রুপে রাষ্ট্রের নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য সমূহ ক্রয় বিক্রয়কারী চক্রের সদস্য তোফায়েল হোসেনকে (২৯) গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সিআইডি সাইবার মনিটরিং টিম জানতে পারে, আইনশৃংখলা বাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে যেসব তথ্যাবলী যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, জন্ম নিবন্ধনপত্র, মোবাইল অপারেটর কর্তৃক কললিস্ট, লোকেশন, বায়োমেট্রিক তথ্য, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্য, পাসপোর্ট, মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশনের ডেটাসহ বিভিন্ন গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য অর্থের বিনিময়ে অসৎ উদ্দেশ্যে সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করছে।
জসীম উদ্দিন জানান, সিআইডির কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে অভিযুক্ত মো. তোফায়েল হোসেনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে অপরাধকর্মে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল, ৪টি সিম ও ১ টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ চালু, রেটিং-রিভিউ ও অভিযোগ জানানোর সুবিধা

বাংলাদেশের প্রধানতম পর্যটন স্পট ও বাস পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ রুট কক্সবাজার রুটের যাত্রীদের ভ্রমণকে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ট্র্যাফিক পুলিশ যাত্রীদের যাত্রী সেবা নিয়ে রেটিং, রিভিউ ও ছবিওসহ অভিযোগ জানানোর সুবিধা চালু করেছে।
জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাস ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ ওয়েবসাইটে এই ফিচার চালু করা হয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তা জোরদারে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগের ফলেও থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিলেও অনেক চালক মানছে নির্ধারিত গতিসীমা। তাছাড়া প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।
তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এবং ঈদ পরবর্তী কক্সবাজারে পর্যটকদের ভ্রমণকে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার জনাব মো. সাইফউদ্দীন শাহীনের নির্দেশনায় চালকদের রিয়েল-টাইম তদারকি ও পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে যথাযথ জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরিকল্পনা থেকে এই ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার রুটে চলাচলরত বাসগুলোর দৃশ্যমান স্থানে রয়েছে কিউআর কোড সম্বলিত ওবিটি’র স্টিকার। বাসের যাত্রীরা উক্ত কিউআর কোড স্ক্যান করে কিংবা অনলাইন বাস টার্মিনাল এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আসনে বসেই চালকের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, বেপরোয়া গতি, পরিবহনের যাত্রী সেবা, যাত্রী হয়রানি, যেকোনো ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক বিষয় নিয়ে রেটিং, রিভিউ দিতে পারবেন। এমনকি ছবি সহ অভিযোগ জানাতে পারবেন। যাত্রীদের প্রদত্ত রেটিং এর উপর পরিবহনের সার্বিক রেটিং নির্ধারিত হবে। যাত্রীদের প্রদত্ত অভিযোগ ট্র্যাফিক পুলিশ ও স্ব স্ব পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। গুরুত্ব বিবেচনায় ট্র্যাফিক পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
ওবিটির ডাটাবেসে কক্সবাজার রুটে চলাচলরত আন্তঃজেলা ও লোকাল সর্বমোট ১২৬টি বাস পরিবহনের প্রায় ১হাজার ৮০০টি বাসের তথ্য, প্রায় ২হাজার ছবিসহ চালক ও গাইডের তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সকল বাসের ফিটনেস ও রুট পারমিটের হালনাগাদ তথ্যও রয়েছে ওবিটি’র ডাটাবেসে। যার ফলে ফিটনেস মেয়াদোত্তীর্ণ বাসগুলো চিহ্নিত করা সহজে সম্ভব হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রেলের অনলাইন টিকিটে কালোবাজারি বিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অনলাইন টিকিটে কালোবাজারি বিরোধী অভিযান চালিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক। অভিযানে পেশাদার কালোবাজারি মো. রাকিব মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালায় পুলিশ।
জানা গেছে, ঢাকা-টু কিশোরগঞ্জ রুটের ভিন্ন ভিন্ন তারিখের এগারো সিন্ধু গোধূলি/প্রভাতী/কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ২১ টি আসনের টিকিট ও ০১ টি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয় রাকিবকে। এসব টিকিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে বিক্রি করে সে।
গ্রেপ্তারকৃত রাকিব ১৮০ টাকার টিকিট ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে তার নিজের ও পরিচিত ৪ জনের এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে মোট ৫টি রেলওয়ে সেবা অ্যাপস খোলে নিয়মিত ঢাকা টু কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইন হতে সংগ্রহ করে থাকেন।
এরপর এ টিকিটগুলো ‘কিশোরগঞ্জ ট্রেন টিকিট বাই, সেল এন্ড এক্সচেঞ্জ’ নামক ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে আগ্রহী যাত্রীদের নিকট টিকিট বিক্রয় করে বিকাশ/ নগদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর গ্রাহকের মোবাইলে টিকিটের পিডিএফ কপি পাঠিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার আসামি ঈদ পরবর্তী কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রুটের অনলাইনভিত্তিক টিকিট কালোবাজারির প্রস্তুতিসহ ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ.লীগ পুনর্বাসন প্রসঙ্গে যা বললেন আসিফ মাহমুদ

গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক- এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ পোস্টে লেখেন, আমরা কবে থেকে জার্মানি, ইতালির থেকে বেশি ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেটিক হয়ে গেলাম? গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায়। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।
তিনি লিখেন, আমাদের আরও বলা হয় যে, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে। এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।
এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরনের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক।
আলোচনার এক পর্যায় বলি, যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দেবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স।তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া `ইনক্লুসিভ` ইলেকশন হবে না।
উত্তরে বলি, আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে। আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।
মিটিং অসমাপ্ত রেখেই চলে আসার কথা উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময়ও আমাদের দিয়ে অনেককিছু করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো এজেন্সি কখনো বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নানা ধরনের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করতে চাপ দেয়া হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের উপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সঙ্গে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি।
আজকেও ক্যান্টনমেন্টের চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের উপরেই ভরসা রাখতে চাই। এ পোস্ট দেওয়ার পর আমার কী হবে আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোন ধরনের আপস করার সুযোগ নাই।
জুলাইয়ের দিনগুলোতে জনগণের স্রোতে ক্যান্টনমেন্ট আর এজেন্সির সকল প্রেসক্রিপশন আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আজ আবারও যদি আপনাদের সমর্থন পাই, রাজপথে আপনাদের পাশে পাই তবে আবারও এই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের ভারতীয় ষড়যন্ত্রও আমরা উড়িয়ে দিতে পারবো।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দেবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লিঙ্গ সমতার অগ্রগতিতে বৈশ্বিক সহায়তা ও বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। একই সঙ্গে তিনি অংশীদারত্ব জোরদার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নতুন প্রতিশ্রুতি গ্রহণের মাধ্যমে নারী ও কন্যাশিশুদের পিছিয়ে না রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নিউইয়র্কে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ৬৯) ৬৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে নারীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও অগ্রভাগে ছিলেন নারীরা, যা মোট বিপ্লবীদের ৬৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব গ্রহণ করে, যা বাংলাদেশের লিঙ্গভিত্তিক কাঠামোকে আমূল পরিবর্তন করে।
শারমীন এস মুরশিদ জানান, বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে একটি রূপান্তরকামী সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রথমবারের মতো ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে, যা নারী ক্ষমতায়নের জন্য সহিংসতা দূরীকরণকে মূল শর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
এছাড়া, সহিংসতার শিকার নারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সহায়তা দিতে ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল’ (কুইক রেস্পন্স টিম) চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের নারী অধিকার সনদের (সিইডিএ ডব্লিউও) ১৩(ক), ১৬.১(চ), এবং ১৬.১(ফ) অনুচ্ছেদ থেকে বাংলাদেশের সংরক্ষণ (রিজার্ভেশন) প্রত্যাহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সিএসডব্লিউ৬৯ অধিবেশনের অংশ হিসেবে উপদেষ্টা ‘নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসমতার জন্য জাতীয় কাঠামো: বেইজিং কর্মপরিকল্পনা পুনরায় প্রতিশ্রুতি, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও উত্তম চর্চাগুলো তুলে ধরেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বেইজিং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাফল্য তুলে ধরেন।
সিএসডব্লিউয়ের ফাঁকে উপদেষ্টা মুরশিদ চীন, সুইডেন, মেক্সিকো ও ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং নারী উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে ‘কেয়ার ইকোনমি’ (সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে যত্ন খাত) বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বাংলাদেশ, নেপাল ও ফিনল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘যত্ন খাতে বিনিয়োগ: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও লিঙ্গ সমতার পথ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এই ইভেন্টে নেপালের মন্ত্রীরা, বাংলাদেশ, নেপাল ও ফিনল্যান্ডের উচ্চপদস্থ সরকারি প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান, আইএলও, এডিবি, বিশ্বব্যাংক, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তিনি তুরস্ক ও তিউনিসিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ গত ১০ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে এবং লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে অংশীদারত্ব সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হতে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারি সফরে রয়েছেন।