রাজনীতি
শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা

সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ২০২৫ সেশনের জন্য ৪৬ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ গঠন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ১৪ জনকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে ২৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট গঠন করেন।
এতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ। আর আর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি শিবিরের আলোচিত সদ্য সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় অন্য পদগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে আজিজুর রহমান আজাদ, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুস সোয়াদ রফি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাঈম, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিছবাহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মো. মিছবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান, ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূইয়া, ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবু মুসা, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. নোমান হোসেন নয়ন, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত উল আলম, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন এবং কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক পদে ইঞ্জি. এস এম তানভীর উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজনীতি
জামায়াত সুযোগ পেলে কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে: ড. হেলাল

আগামীতে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল পূর্ব থানা কর্তৃক কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর মাঝে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পুরস্কার বিতরণ পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াত সুযোগ পেলে আদর্শ ও নৈতিক জাতি গঠনে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলা হবে। অতীতে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে তারা তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে বিপদগামী করে জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ তারা চেয়েছে চিরকাল তারাই জাতির নেতৃত্ব দিবে। কিন্তু জাতি কোন দূর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বকে কখনো মেনে নেয়নি, নিবে না। আদর্শ ও নৈতিকতাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবে না। নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত আল্লাহভীরু নেতৃত্বতে নির্বাচিত করবে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যারাই ক্ষমতা বসেছে তারাই শিক্ষাকে দলীয়করণ করেছে। তাদের শিক্ষানীতি ছিল কুশিক্ষা নীতি। যেখানে বাস্তব শিক্ষা ও জীবন এবং কর্মমূখী কোন শিক্ষা নেই। যার ফলে সমাজে নৈতিকার অবজ্ঞা দেখা দিয়েছে। সমাজকে আলোকিত হলে শিক্ষিত সমাজ গঠন করতে হবে। সেই শিক্ষা দলের প্রধানের জীবনী নয়। সেই শিক্ষা হতে হবে মহানবীর (সা.) আদর্শিক শিক্ষা। ইসলামী নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সৎ ও আদর্শ তরুণ প্রজন্ম গঠন করে বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামী নৈতিক ও আদর্শিক মানুষ তৈরির কারখানা। যেখানে ইসলামিক নৈতিক ও আদর্শ শিক্ষা দেওয়া হয়। তাই জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, ন্যায়পরায়ন, আল্লাহভীরু নেতৃত্ব। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে না, করবে না। এজন্য নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর নুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ স্থানীয় ইসলামি ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, জানালেন ডা. জাহিদ

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের বহু আগেই দেশে থেকে তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দেবেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র কাজে দেবে না, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার পেছন দিক দিয়ে এসে জনগণের অধিকার হরণ করার পাঁয়তারা করছে।’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়, তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
পিআর পদ্ধতি বেআইনি আবদার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধান ইচ্ছা করলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া যায় না। আবেগী না হয়ে জন-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে।’
রাজনীতি
আ.লীগের ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেবে জাপা: মোস্তফা

আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও যারা ক্লিন ইমেজের এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই, তারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকাদ্দমা নেই, আমরা যদি মনে করি সে যোগ্য প্রার্থী, তাহলে আমরা দেবো না কেন? অবশ্যই দেবো। আমাদের ক্যান্ডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা অবশ্যই করবো।’
তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেবো। এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চাইতে যদি ভালো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া যায়, তার যদি ক্লিন ইমেজ থাকে এবং তার বিরুদ্ধে সহিংসতার কোনো আলামত না থাকে, তাহলে মনোনয়ন দেবো না কেন? অবশ্যই দেবো।’
ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘সেখানে যদি ক্লিন ইমেজের লোক জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন, তাহলে আমরা তাকে মনোনয়ন দেবো।’
জাপার এই কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নেই, তাদের বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা নাহলে বিএনপি একা হয়ে যাবে। সামনে যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকে, তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ দলগুলো একদিকে থাকতে চায়, আরেকদিকে থাকতে চায় বিএনপি; এখন তারা যদি বলে, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, তখন তারা যদি সরে দাঁড়ায়, তাহলে বিএনপি একা হবে। তাহলে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা কিন্তু চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা দেখছে বিএনপি তো এগিয়ে আছে, তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। এখন বিএনপিকে আঘাত করতে গেলে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জামায়াতে ইসলামী। এরকম একটা খোঁড়া অজুহাত খুঁজে বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা চলছে।’
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয়: রিজভী

আজ আমরা নিজেরা দ্বিধাবিভক্ত। আমরা কারো মাজার ভাঙছি। কোনো লাশ পুড়িয়ে দিচ্ছি। এটা তো রাসুলের শিক্ষা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ আমরা গণতন্ত্রের চেতনাই বলি, আমরা রাষ্ট্রীয় চেতনাই বলি– পৃথিবীর কাছে নিদর্শন দিয়ে গেছেন আরবের সেই মহামানব। আমরা সেখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে আমরা নিজেদের যে ধর্ম, নিজেদের যে ইসলাম, সেটাকেই আমরা কত ফেরকা, কত ফিতা, কত ধরনের কথাবার্তা দিয়ে শুধু বিভাজন করছি। অথচ ঐক্যের প্রতীকই ছিলেন আমাদের মহানবী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ যে মহামানবকে নিয়ে এখানে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে, মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে, তার সম্পর্কে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র মানুষের বিস্তারিত বলা খুবই কঠিন ব্যাপার। এটা সম্ভব নয়। শুধু তার রেখে যাওয়া যে আদর্শ এবং তিনি আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত যে বাণী সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছেন, ছড়াতে গিয়ে তিনি যে অনুপম নিদর্শন এবং তার ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তিনি রেখে গেছেন। যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম বা আমরা লালন করতাম তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়-অনাচার, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি রক্তারক্তি সব বন্ধ হয়ে যেত।
তিনি বলেন, যিনি আমাদের মডেল, যিনি আমাদের আদর্শের প্রতীক, তাকে আমরা কেউ অনুসরণ করি না। তাকে আমরা কেউ অনুকরণ করি না। এটাই হলো মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ যে দেশে বাস করছি, সেই দেশের যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও মুসলমান ছিলেন, কাজে না হলেও নামে ছিলেন। একবার বলেছিলেন মদিনা চার্টার অনুযায়ী দেশ চালাবেন, সেটা আমরা কি দেখলাম– তার এক মন্ত্রীর ১৪০টা বাড়ি লন্ডনে, তার বাড়ি থাকার পরও তার ছেলেমেয়ের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জায়গা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের ওপর বিপদ আসে, আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী দেশেই থাকেন, মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর তিনি নির্যাতনে কারাবন্দি অবস্থায় থাকেন, আমরা কোনো পন্থি দল নই, বাংলাদেশপন্থি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আপনারা কি পন্থি আপনারা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। ১৯৮১ সালের দেশে যখন ফিরলেন, জিয়াউর রহমান যখন আপনাকে ফেরার অনুমতি দিলেন, দেশে ফিরলেন কোন দেশ থেকে? আপনি এসেছিলেন, আবার ৫ আগস্টে কোন দেশে পালিয়ে গেলেন? আপনাদের অধিকাংশ লোক কোন দেশে পালিয়ে গেছে? এটা জনগণ দেখেছে। এখনো দেখছি। আবার ওই দেশ থেকেই আমরা অডিও বার্তা, ভিডিও বার্তা শুনি যে তোমরা উল্টে দাও, পাল্টে দাও, কারো হাত ভেঙ্গে দাও, কারো পা ভেঙ্গে দাও, এটা কীভাবে সম্ভব।
তৌহিদী জনতার নামে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার নৈতিক দেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে। এই দেশের পূজামণ্ডপ পাহারা দেয় আলেম-ওলামারা। সেই দেশে মাজার ভেঙে সেখানে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এটার আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই এর পেছনে আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপির আমলে চক্রান্ত করেছিলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করার জন্য এখন আবার সেই প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী শফু। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।
রাজনীতি
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
এ সৌজন্য সাক্ষাতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।