আন্তর্জাতিক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ আজ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
এ জন্য বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধান ও রাজনীতিবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তীব্র শীতের মধ্যে হালকা বরফের কারণে এবার পরিবর্তন আনতে হচ্ছে স্থান নির্বাচনে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠিত হবে ক্যাপিটল ভবনের অভ্যন্তরে (ইনডোরে)। যা হবে গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম। কারণ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠিত হতো বাইরে (আউটডোরে)।
এরই মধ্যে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছেছেন। শপথ অনুষ্ঠানের আগে তিনি রাজধানীতে ক্যাম্পেইন স্টাইলে একটি সমাবেশ করেছেন। সেখানে তিনি একটি ভাষণও দিয়েছেন। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, টিকটক, প্রথম দিনের কার্যক্রম ও সফর নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম দিনই রেকর্ড সংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারি করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অভিষেক ভাষণের পরপরই এসব আদেশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্রাম্প জানান, ঠিক কতগুলো আদেশ জারি করবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটি রেকর্ড ভাঙবে।’ ১০০’র বেশি হতে পারে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, অন্তত ওই সংখ্যার মধ্যেই থাকবে।

আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় দরপতন

বিশ্ববাজারে সোনার দামে পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালের পর মঙ্গলবার সবচেয়ে বড় পতনের পর বুধবারও এর দাম আরো কমেছে। কিছুটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়া এবং ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কারণে নতুন করে বিক্রয় চাপ সৃষ্টি হওয়ায় এ পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম ২.৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ১৭ দশমিক ২৯ ডলারে নেমে এসেছে, যা প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে দিনের শুরুতে দাম চার হাজার ১৬১ দশমিক ১৭ পর্যন্ত উঠেছিল। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ৩২ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন ডলার সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে, যা ডলারের মূল্যে নির্ধারিত সোনার দামকে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের জন্য আরো ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
এর আগের সেশনে সোনা চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১-এর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছলেও মঙ্গলবার এর দাম ৫.৩ শতাংশ কমে যায়।
ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং শক্তিশালী ইটিএফ প্রবাহের কারণে এ বছর এখনো পর্যন্ত সোনার দাম ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কথা। এই তথ্য ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। সোনা, যা একটি অ-উৎপাদনশীল সম্পদ, তা কম সুদের হারের পরিবেশে লাভবান হয়।
রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের এক জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরেও তার মূল সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যান্য ধাতুর মধ্যে স্পট সিলভারের দাম ১.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৭ দশমিক ৮৪ ডলারে নেমে এসেছে। এটি মঙ্গলবার ৭.১ শতাংশ কমেছিল।
প্লাটিনামের দাম ১.৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৫৩০ দশমিক ৩৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.২ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ শতাংশ কমলো

রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিশ্ববাজারে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সোনার দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। সাধারণত অনিশ্চিত সময়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত মূল্যবান এই ধাতুটির মূল্য এদিন ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
মঙ্গলবার বেচাকেনায় সোনার দাম ৫.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ১৩০.৪০ ডলারে নেমে আসে। যা করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১.৫২ ডলার ছুঁয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক রেকর্ড দামের পর বিনিয়োগকারীদের লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা এই পতনের প্রধান কারণ।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশিসহ সব বিদেশি কর্মীর বড় সুখবর দিলো সৌদি

বিদেশি কর্মীদের জন্য যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ৫০ বছরের পুরোনো কাফালা (পৃষ্ঠপোষকতা) ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে দেশটির সরকার। বহুদিন ধরেই এই প্রথার কারণে বিদেশি কর্মীদের ভাগ্য নির্ভর করত নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার ওপর। দাসপ্রথার মতো এ ব্যবস্থার কারণে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে গিয়ে অমানবিক শোষণের শিকার হতে হয়েছে অগণিত শ্রমিককে।
২০২৫ সালের জুনে ঘোষিত এই বড় সংস্কারের ফলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিক সরাসরি উপকৃত হবেন, যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সৌদিতে কাজ করতে গেছেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই সংস্কারের মাধ্যমে প্রবাসীরা এখন থেকে কাজ পরিবর্তন, দেশ ত্যাগ বা ভিসা নবায়নের ক্ষেত্রে আগের মতো কঠোর নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়বেন না। কাফালা ব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন এক চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান মডেল চালু করেছে সৌদি সরকার, যা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর তথ্যমতে, নতুন এই ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীরা এখন থেকে তাদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন, এক্সিট ভিসা ছাড়াই দেশ ত্যাগ, এবং আগে কাফালা কাঠামোর অধীনে প্রাপ্য আইনি সুরক্ষা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এই সংস্কার মূলত সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ উদ্যোগের অংশ, যার লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে আধুনিক করা এবং বিদেশি শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।
নতুন এই পদক্ষেপকে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে দেখছে সৌদি সরকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একে সৌদির শ্রম ইতিহাসে ‘একটি নতুন অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে। তবে সংস্থাগুলোর মতে, প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে এই সংস্কারের বাস্তবায়ন ও তদারকি আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরবি ‘কাফালা’ শব্দটির অর্থ ‘স্পন্সরশিপ’। ১৯৫০-এর দশকে উপসাগরীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠে এই আধুনিক আইনি কাঠামো। মূলত, সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে এই কাফালা ব্যবস্থা চালু ছিল।
এই ব্যবস্থার অধীনে অভিবাসী শ্রমিকদের আইনি মর্যাদা সরাসরি তাদের নিয়োগকর্তা বা ‘কাফিল’-এর সঙ্গে যুক্ত থাকত। ফলে নিয়োগকর্তা শ্রমিকের কাজ পরিবর্তন, দেশ ত্যাগ, এমনকি আইনি সহায়তা নেওয়ার বিষয়েও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বহু শ্রমিককে শোষণ, নির্যাতন ও অধিকারহীনতার মুখে পড়তে হয়েছে। নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া চাকরি পরিবর্তন বা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার কোনও সুযোগই পেতেন না বিদেশি শ্রমিকরা।
আন্তর্জাতিক
পর্তুগালে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধের বিল পাস

পর্তুগালে জনসমক্ষে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধের একটি আইন পাস করা হয়েছে। সংসদে এ বিলটি দিয়েছে ডানপন্থি চেগা দল। সমালোচকদের মতে, এটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, কেউ ‘ধর্মীয় বা লিঙ্গজনিত কারণে’ মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না। তবে বিমান, উপাসনালয় ও কূটনৈতিক স্থাপনায় মুখ ঢেকে রাখা যাবে।
আইন ভাঙলে ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৩ হাজার থেকে ৪ লাখ ৬০ হাজার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এখনও আইনটি কার্যকর হয়নি। প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সোসা এটি সই করবেন কি না, তা ঠিক হয়নি। তিনি এটি অনুমোদন বা বাতিলও করতে পারেন।
যদি তিনি অনুমোদন দেন, তবে পর্তুগাল ইউরোপের অন্যান্য দেশ—ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসের মতো—বোরকা নিষিদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হবে।
যদিও পর্তুগালে খুব কমসংখ্যক নারী বোরকা বা নিকাব পরেন, তবু বিষয়টি নিয়ে দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
চেগা দলের দাবি, মুখ ঢেকে রাখা নারীদের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
কিন্তু বামপন্থি এমপি পেদ্রো দেলগাদো আলভেস বলেছেন, এই বিল আসলে বিদেশি ও মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে। তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
আন্তর্জাতিক
চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক টেকসই নয়: ট্রাম্প

চীনের ওপর আরোপিত ১০০ শতাংশ শুল্ককে দীর্ঘমেয়াদে অটেকসই বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি দাবি করেন, বেইজিংয়ের আচরণের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। ট্রাম্প আরও জানান, সবকিছু সত্ত্বেও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “এটা টেকসই নয়, কিন্তু সংখ্যাটি এটাই। তারা আমাকে এটা করতে বাধ্য করেছে।”
এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ঘোষণা করে এবং ১ নভেম্বর থেকে ‘সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার’ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। চীনের পক্ষ থেকে বিরল ধাতুর (রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস) রপ্তানি সীমিত করার প্রতিক্রিয়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রযুক্তি নির্মাণে অপরিহার্য এসব ধাতুর বাজারে চীনের প্রভাব প্রায় একচেটিয়া।
যদিও বাণিজ্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, তবুও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে প্রশংসা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে, তবে চুক্তি হতে হবে ন্যায্য।” হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময়ও ট্রাম্প জানান, “চীন কথা বলতে চায়, আমরাও কথা বলতে চাই।”
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ও আকস্মিক শুল্ক আরোপের কারণে টালমাটাল হয়ে ওঠে ওয়াল স্ট্রিট। তবে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের ইঙ্গিতের পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। সূত্র: রয়টার্স।