অর্থনীতি
প্রভাবশালীদের জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার কোটি টাকা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৬ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা আছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ তালিকায় রয়েছেন আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় তাদের অনেকের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এর বাইরে ১১২ ঘটনায় ৩৬৬ ব্যক্তি ও ২০০ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিএফআইইউ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (তলব) করেছে। অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যসহ প্রায় ২৫০টি তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সিআইডি এবং দুদকে। পর্যায়ক্রমে এসব সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানায় বিএফআইইউ সূত্র।
আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত ২০ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার, ঋণ জালিয়াতি, সরকারি তহবিল তছরুপসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত এস আলম গ্রুপ এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি এবং দুদকে পাঠানো হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের তদন্ত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেছে বিএফআইইউ। এছাড়া সামিট, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, সিকদার, নাসা, নাবিলসহ আরও ১৭টি ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে চলছে তদন্ত। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিগগির এসব রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠানো হবে।
যাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ, তার ৬ ভাইসহ পরিবারের ১৩ জন এবং তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আকিজ উদ্দীন, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমান।
এছাড়া আছেন- সামিট গ্রুপের মোহাম্মদ আজিজ খান, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানসহ তাদের পরিবারের ১১ সদস্য, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের ৮ সদস্য, ওরিয়ন গ্রুপের ওবায়দুল করিম পরিবারের ৬ জন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার স্ত্রী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সাহিদ এবং ছেলে রাহীব সাফওয়ান সরাফাত চৌধুরী, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলামের পরিবারের ৬ জন, নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী, প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের পরিবারে ১৪ জন।
হিবাস জব্দ করা হয়েছে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), সিআরআই-ইয়ং বাংলা প্রজেক্ট এবং সাবেক মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পরিবারের ৭ জন, চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পরিবারের ৯ জন, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পরিবারের ৫ জন এবং শেখ হেলাল উদ্দিন, তার স্ত্রী রূপা চৌধুরী ও ছেলে শেখ তন্ময়ের। এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের পরিবারের ৪ জন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্তকৃত) জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী।
ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইউসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রুখমিলা জামানের। এছাড়াও রয়েছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচ বি এম ইকবাল, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও সিএফও মো. জাফর ইকবাল হাওলাদার, এসবিএসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনিন আকতার, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পরিবারের ৮ জন এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম ও তার সংশ্লিষ্ট ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের।
রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরিবারের ৫ জন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের ২ জন, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরিবারের ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পরিবারের ৪ জন, তার ভাই এ কে এম সেলিম ওসমানের পরিবারের ৫ জন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া, মাহবুবউল-আলম হানিফ ও তার স্ত্রী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী সিকদারের পরিবারের তিনজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে কমেছে লেনদেন

দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৫ শতাংশ। একইভাবে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। তবে খরচ বেড়েছে বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে খরচের পরিমাণ ছিল ৩১৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ১৬ কোটি টাকা কমে গেছে। আর শতকরা হিসাবে প্রায় ৫ শতাংশের বেশি।
আলোচিত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে খরচ করা হয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৬২ কোটি টাকা। যা শতকরা হিসাবে প্রায় ১৬ শতাংশের বেশি।
আলোচিত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী বা ভ্রমণে আসা বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছিলেন ২৫৩ কোটি টাকা। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে তাদের খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিদের বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ বেড়েছে ১৫ কোটি টাকা।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। একইভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডধারী নাগরিকরা। চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাৎ দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডধারীদের।
এর আগে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতেন ভারতে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আর জানুয়ারিতে ছিল প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। আলোচিত ফেব্রুয়ারিতে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার ছিল থাইল্যান্ডে। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। সেখানে জানুয়ারিতে খরচের পরিমাণ ছিল ৬৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়াতিতে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করা হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে দেশটিতে খরচ হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রতীক গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের দুই কর্মকর্তা

করমুক্ত ও নগদ প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে রেমিট্যান্সের নামে ৭৩১ কোটি টাকা দেশে এনেছেন প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই কর ছাড়ের সুবিধা দিতে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল কর অঞ্চল-৫, ঢাকার দুই কর্মকর্তা। আলোচিত এই করছাড়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সহযোগিতা করা সেই দুই কর কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সহকারী সচিব মো. জাকির হোসেন সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দুই কর কর্মকর্তা হলেন-এনবিআর সদস্য (চলতি দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. মুস্তাক। করছাড় দেওয়ার সময় তিনি কর অঞ্চল-৫, ঢাকার কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি দায়িত্বে থাকায় তিনি কর কমিশনার হিসেবে অবসরকালীন সুবিধা পাবেন। অপর কর্মকর্তা হলেন-ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইব্যুনাল, দ্বৈত বেঞ্চ খুলনার সদস্য ও কর কমিশনার মো. গোলাম কবীর। করছাড় দেওয়ার সময় তিনি কর অঞ্চল-৫, ঢাকার রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুজনেরই চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। জনস্বার্থে তাদেরকে অবসরে পাঠানো হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।
এই বিষয়ে এনবিআরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভাগীয়ভাবে এনবিআরের হাতে যে ক্ষমতা আছে, তার সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এনবিআর সূত্রমতে, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুকী হাসান। তিনি কানাডার অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়া তিনটি চীনা কোম্পানির নাম ব্যবহার করে তিনি ৭২১ কোটি টাকা প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে দেখিয়েছেন তিনি। ফারুকী হাসান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নানা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কর সুবিধা নিয়েছেন। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন কর অঞ্চল-৫, ঢাকার তৎকালীন কর কমিশনার, রেঞ্জ কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনার। ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তারা ফারুকী হাসানের চার করবর্ষের ২৩১ কোটি টাকার এসব অনিয়মের ফাইলটি পুনঃউন্মোচন করেও মাত্র সাড়ে ১৫ হাজার টাকার কর দাবি সৃষ্টি করে নিষ্পত্তি করেন। অভিযোগ উঠার পর এনবিআর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পায়।
তবে চলতি বছরের ১৭ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান একটি অনুষ্ঠানে কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আইন করলাম- প্রবাসে যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন; তাদের বললাম, এই টাকাটা আয়করমুক্ত। এটা প্রবাসীকর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য ও তারা যেন রোজগারটা ফরমাল চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠান। আপনারা শুনে আশ্চার্য হবেন, এমন একজন করদাতা পাওয়া গেলো, যিনি ৭৩১ কোটি টাকা নিয়ে এলেন। উনি বলছেন, এটা ওয়েজ আর্নার ও করমুক্ত। আমরা এ ধরনের অন্যায় হয়তো দেখি নাই, বুঝি নাই কিংবা দেখেও না দেখার ভান করছি।’ চেয়ারম্যান বলার পরপরই বিষয়টি সামনে চলে আসে।
সূত্রমতে, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম ফারুকী হাসান তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন লিমিটেড, চায়না শিপবিল্ডিং ও অফসোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির থেকে ৯টি করবর্ষে ৭২১ কোটি টাকা নিয়ে আসেন। তিন চীনা কোম্পানি থেকে নিয়ে আসা টাকাকে প্রবাসী আয় হিসেবে দাবি করেন। তিনি ২০১৭-১৮ করবর্ষে প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১০৪ টাকা; ২০১৮-১৯ করবর্ষে ৯ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২; ২০১৯-২০ করবর্ষে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৩২৩ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে প্রদর্শন করেন ২৩১ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩১৪ টাকা। অর্থাৎ চার করবর্ষে প্রবাসী হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ২৭২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অথচ চার করবর্ষের এই বিশাল অঙ্কের টাকার বিপরীতে কর আইনের ৯৩ ধারায় করদাতার ফাইল পুনঃউন্মোচন করে দুই করবর্ষের মধ্যে ২০১৭-১৮ করবর্ষে মাত্র ৪৪৮ টাকা এবং ২০১৮-১৯ করবর্ষের মাত্র ১৫ হাজার ৯৫ টাকা কর দাবি সৃষ্টি করেন। আর ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে কোনো দাবি না করেই নিষ্পত্তি করেন। আর এই কাজটি করেছেন কর অঞ্চল-৫-এর তৎকালীন কমিশনার, রেঞ্জ-১-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার ও তৎকালীন এক উপকমিশনার। সূত্র আরও জানায়, প্রতীক গ্রুপের চেয়ারম্যান সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়ে প্রদর্শন করেন ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ করবর্ষে। আলোচ্য সময়ে তিনি প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করেন ৫০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০২২-২৩ করবর্ষে প্রবাসী আয় হিসেবে আয়কর ফাইলে প্রদর্শন করেন ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬১ টাকা আর ২০২৩-২৪ করবর্ষে প্রবাসী আয় দেখান ৮১ কোটি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৪ টাকা। এর আগে ২০১৭-১৮ করবর্ষে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১০৪ টাকা; ২০১৮-১৯ করবর্ষে ৯ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২; ২০১৯-২০ করবর্ষে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৩২৩ এবং ২০২০-২১ করবর্ষে ২৩১ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩১৪ টাকা প্রবাসী আয় দেখান। এরও আগে ২০১২-১৩ করবর্ষে প্রবাসী আয় দেখান ১ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৪ টাকা ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা। তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনী বছর এবং সরকারের কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগের বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ অস্বাভাবিক প্রবাসী আয়ের নামে টাকা নিয়ে এসেছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রভাশালী নেতা এস এম ফারুকী হাসান। এনবিআরের আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৯১-এর ষষ্ঠ তপশিলের পার্ট-এ অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুযায়ী, দেশে অবস্থান করে প্রবাসী আয় হিসেবে করমুক্ত আয় দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। একই আইনের ৯৩ ধারা অনুযায়ী, পরবর্তী করবর্ষে কর মামলা হিসেবে আয়কর ফাইল পুনঃউন্মোচন করার সুযোগ রয়েছে।
ফারুকী হাসান মূলত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। তিনি কানাডার অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মালিকানাধীন প্রতীকে গ্রুপের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রাজধানী গুলশান-২ অবস্থিত হোটেল লেক ক্যাসেল, প্রতীক সিরামিক লিমিটেড, প্রতীক ডেভেলপার্স লিমিটেড, প্রতীক ফুড অ্যান্ড এলাইড, প্রতীক লজিস্টিকসহ বেশকিছু কোম্পানি। ফারুক হাসান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইরও সদস্য। বিগত সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদায়ও ভূষিত করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে আইএমএফ

স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। শিগগির এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএপের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হবে আগামী ২১ এপ্রিল। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯০ দেশের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দেবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর এ বৈঠকের আয়োজন করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের চুক্তি তার বর্ধিত ঋণসুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা, টেকসই এবং স্থায়িত্ব সুবিধা বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইএমএফ।
আইএমএফের একটি মিশন দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি পর্যালোচনা করতে ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। মিশনটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, কঠোর নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে এই মন্দা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছিল মূল্যস্ফীতি, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ থেকে ৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আইএমএফ রাজস্ব একত্রকরণ, আরও নমনীয় বিনিময় হার, উন্নত কর সম্মতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুপারিশ করেছে।
আইএমএফ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল, যার বিপরীতে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়তি, কমেছে মুরগির

শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগে। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। একই সঙ্গে তেল, চাল, পেঁয়াজের দামও বাড়তি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল, কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজেরও। গতকাল এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে গত মাসে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়েছিল। সেই দাম কমেনি; বরং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আরও দুই থেকে তিন টাকা করে বেড়েছে।
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছে। পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। তবে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে আলু, ডিম ও মুরগিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম।
বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে অর্থাৎ গত মাসের শেষে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
নতুন করে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। শেওড়াপাড়ায় কাঁচাবাজার করতে এসে মামুন নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন করে কারসাজি শুরু। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সরকাররে দেখা উচিত।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শজনে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ টাকা। প্রতি পিস চালকুমড়া ৬০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রামে গ্রিন ডাটা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জন্য গ্রিন ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটিতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার ফটিকা মৌজায় বিটিসিএলের ১৪৯ দশমিক ৪৮ একর অব্যবহৃত জমির ওপর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে একটি অত্যাধুনিক গ্রিন ডাটা সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ডাটা স্টোরেজ ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে বিটিসিএলের রাজস্ব আয় বাড়বে। এ অবস্থায় প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা যায়, নীতিগত অনুমোদনের পর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে এবং পিপিপি গাইডলাইন অনুযায়ী উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচন করা হবে। প্রকল্পে এডিবি কারিগরি সহায়তা এবং ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিস দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।