জাতীয়
বিমানবন্দরে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা

উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাত ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করবে।
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ উপলক্ষে শাহজালাল বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বিমানবন্দরে আগমনকে কেন্দ্র করে বিশেষ এই সতর্কাবস্থা নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বিমানবন্দরের বাইরে (ল্যান্ডসাইড) নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি ও সোয়াটের মতো স্পেশাল টিম।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবির ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লন্ডনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আমরা মনে করি, এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে আসবেন। তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমি নিজে পরিদর্শন করেছি।”
তিনি বলেন, আমাদের এখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এভসেক, এপিবিএনসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে তার (খালেদা জিয়া) যেন কোনও ধরনের সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বিমানবন্দরে আগত অন্য যাত্রীদের যাতে কোনও ধরনের নিরাপত্তা সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারেও আমাদের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকা ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়া। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-দোহা এবং দোহা থেকে লন্ডনের হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দেবে এটি
কাতারের আমিরের পাঠানো ওই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বু্ল্যান্স হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এই অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সকে বলা যেতে পারে একটি উড়ন্ত হাসপাতাল।

জাতীয়
শাপলা প্রতীক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবি করা শাপলা প্রতীক নিয়ে আবারও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন আইন-বিধি পর্যালোচনা করে শিগগির এনসিপির প্রতীকের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে সংস্থাটি।
শাপলা প্রতীকের বিকল্প বেছে নিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সময় বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শেষদিন দলটির একটি প্রতিনিধিদল আবারও শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন জানিয়েছে।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনসিপির পছন্দের প্রতীক শাপলা নিয়ে আবারও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা এনসিপিকে ৫০টি প্রতীক থেকে বাছাই করে জানাতে বলেছিলাম। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। শেষদিন দলটির একটি প্রতিনিধিদল এসে ফের শাপলা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।
তিনি বলেন, দলটির পুনঃআবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আবার কমিশনের কাছে তোলা হবে। কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে কোন প্রতীক দেওয়া হবে তাদের।
যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে তাদের প্রতীক পছন্দ করতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো- আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার। তবে এনসিপি শাপলার বিষয়ে অনড়।
রোববার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। কমিশনে এসে এনসিপি নেতারা বলেন, কোনো ধরনের চাপিয়ে দেওয়া প্রতীক তারা নেবে না। শাপলা প্রতীকের বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথা তুলে ধরে ইসির চিঠির জবাব দিয়েছে দলটি।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি যে নির্বাচন কমিশন একটি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া। প্রতীক বাছাইয়ে ইসির চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
জাতীয়
জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের বিনা খরচে পড়ার সুযোগ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সন্তানদের বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দেবে সরকার। ইতোমধ্যে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের (জুলাই শহিদ পরিবারের সন্তানদের) অবৈতনিক শিক্ষা সুবিধা দিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বয় শাখার সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষর করা একটি স্মারকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গত ২১ সেপ্টেম্বর পাঠানো একটি চিঠির বরাতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য দেশপ্রেমিক নারী-পুরুষ ও ছাত্রজনতা জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে জুলাই শহিদ পরিবারের সন্তানদের অবৈতনিকভাবে পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে। সেজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

সরকার জনস্বার্থে নয়জন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সব সুবিধা পাবেন।
অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা হলেন—
১. মো. মনজুর হোসেন (৫৪৯০), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
২. মো. মশিউর রহমান, এনডিসি (৫৫৬৮), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৩. মো. সামসুল আরেফিন (৫৭৭৩), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৪. মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি (৫৯২৪), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৫. মো. আজিজুর রহমান (৫৯২৯), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৬. মো. নূরুল আলম (৫৯৯৪), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৭. ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ (৬০৬৫), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৮. ড. এ কে এম মতিউর রহমান (৭৬৩১), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৯. শফিউল আজিম (৬৩৬৫), বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জাতীয়
সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তা- আবু সাঈদ মো. মাসুদ ও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খানসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বাকি ছয়জন হলেন- হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা রহমান খান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট’ ব্যক্তি মো. শহীদ, মোহাম্মদ জাহিদ, মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও তার স্ত্রী জহুরা আহম্মদ শুভ।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মাসুদ, হাবিবুর রহমান খানসহ অন্যরা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে জড়িত দাবি করে দুদক আদালতকে বলে, এসব ঘটনার অনুসন্ধান চলছে। এই ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেলে সেই অনুসন্ধান ব্যাহত হতে পারে।
জাতীয়
চার হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের চার হাজার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিয়োগ দেবে সরকার।
সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-৩ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত বিভিন্ন ইউনিটের বিপরীতে ৪ হাজার এএসআই (নিরস্ত্র) গ্রেড-১৪ পদ রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে সৃজনে বছর বছর সংরক্ষণের ভিত্তিতে সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করছি।
শর্তে বলা হয়, সাংগঠনিক কাঠামোতে অনুমোদিত পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে হালনাগাদ সাংগঠনিক কাঠামো এ কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। পদ সংরক্ষণ ও স্থায়ীকরণ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক জিও পৃষ্ঠাঙ্কনের তারিখ থেকে পদ তৈরি হবে। ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেজল্যুশন অব বেঙ্গল অনুযায়ী পূরণযোগ্য।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন ও অর্থ বিভাগের আরোপিত শর্তাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।