জাতীয়
নভেম্বরে ৪৮৬ দুর্ঘটনা, ঝরেছে ৫৮২ প্রাণ

সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে গত নভেম্বর মাস জুড়ে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটেছে ৪১৫টি, যেখানে ঝরে গেছে ৪৯৭টি প্রাণ। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৪৭ জন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমগুলোতে।
এতে বলা হয়েছে, বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত, ৪৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়া নৌ পথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলে সর্বমোট ৪৮৬টি দুর্ঘটনায় ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছে।
এই সময়ে ঘটে যাওয়া ৪১৫টি সড়ক দুর্ঘটনার ১৬৭টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, যেখানে ১৯২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১১১ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪০.২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮.৬৩ শতাংশ ও আহতের ১৪.৮৬ শতাংশ।
নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ মাসে ঢাকায় ১০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত ও ২৬৪ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে। এ বিভাগে ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৫৩ জন চালক, ১১৬ জন পথচারী, ১১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৭ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ৬৭ জন নারী, ৩৫টি শিশু, সাংবাদিক ৭ জন, ১ জন চিকিৎসক, ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং ০২ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর ২ সদস্য, ১৬৭ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৫ জন পথচারী, ৫৫ জন নারী, ২৭টি শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ২১ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক, ০১ জন চিকিৎসক, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দুর্ঘটনায় পতিত যানবাহনের মধ্যে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ১০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস, ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস। মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৬৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ বিবিধ কারণে ঘটা ঘটনা, শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনে সংঘর্ষের ঘটনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে মোট দুর্ঘটনার ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং ০ দশমিক ৭২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ও মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এছাড়া রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা, সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা, উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৬২

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৫ জনে দাঁড়াল। এ ছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৭৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০০, খুলনা বিভাগে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রাজশাহীতে ৩৯, রংপুরে ৩ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৯৭১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৪৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৩৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৫৫ জনের।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সরকার সব কিছু করছে : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি এখানে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
বৈঠক চলাকালীন, রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরো বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।’ তিনি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে কথা বলতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও দেশের এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদে সই করার জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে একটি চমৎকার কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য এবং পরিবর্তনের জন্য একটি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছিল। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতে সহায়তা করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে।’
রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান।
তারা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি এবং এ ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং নতুন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
অন্যান্য
জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় এনসিপি এবং সন্ধ্যা ৬টায় জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্ভব্যতা যাচাইসহ তাদের পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সিটি করপোরেশন তাদের পর্যায়ের কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। এরপর তা নিকার (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উঠবে।
জাতীয়
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বেতন কমিশন

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায়সংগত ও কার্যকরী নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত বেতন কমিশনের কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অনলাইনে চারটি প্রশ্নমালায় প্রাপ্ত সর্বসাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই এবং পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত বা সুপারিশ দিয়েছে। প্রাপ্ত সুপারিশ ও মতামত কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কমিশন আশা করছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ১-১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার ক্যাটাগরিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছ।