আন্তর্জাতিক
অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করা লাখ লাখ মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে তার কিছু করার নেই। তাদের তিনি ফেরত পাঠাবেনই।
ট্রাম্প বলেন, অবৈধদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি কোনো পণ্যের মূল্যতালিকা নয়। এটি সত্যিই এমন কিছু নয়। আমাদের আসলে কিছু করার নেই। যখন কেউ খুন ও হত্যা করে, যখন মাদক সম্রাটরা দেশকে ধ্বংস করেছে, তখন তাদের সেসব (নিজ) দেশে ফেরত যেতে হবে। কারণ তারা আর এখানে থাকবে না।
এদিকে ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফেরত পাঠাতে চাইলেও বিষয়টি এত সহজে হবে না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তারা বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকার আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করতে চায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশাল এবং ব্যয়বহুল লজিস্টিকজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে।
ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন তখন বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান চালানো হতো। ২০২১ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিতর্কিত এই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশক ধরে বছরে ১ লাখের কম অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় এটি বছরে ২ লাখ ৩০ হাজারে পৌঁছেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাতিল হচ্ছে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার প্রথমদিনেই বন্ধ হবে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে লাভ ক্ষতির হিসেব চলছে বিশ্বজুড়ে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েই অনুপ্রবেশ আর অভিবাসন রুখতে কড়া নীতি গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারকালেই ট্রাম্পের অঙ্গীকার ছিল নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই তিনি দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে আদেশ দেবেন। ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বন্ধ হতে যাচ্ছে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ।
আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জেডি ভ্যান্স। ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রচারাভিযানের অফিশিয়াল সাইটে পোস্ট করা এ সংক্রান্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের এক দিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।
খসড়া ওই নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেই কোনো শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। সন্তানের পিতা-মাতার মধ্যে অন্তত একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে অথবা থাকতে হবে গ্রিনকার্ড। তবেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারবে। এ কারণে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের সন্তানরাও আর সুযোগ পাচ্ছে না আগামী দিনে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার।
অন্যান্য দেশের পাশাপাশি দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে দেশটির বৈধ কাগজপত্র বিহীন অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশি দম্পতি। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে বৈধতার জন্য আইনি লড়াই করা অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার।
২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। তাদের মধ্যে ১৬ লাখেরই জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্পের নয়া নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের পিতামাতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন বা তাদের গ্রিনকার্ড নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন যারা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের জন্য ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, তার একটি ধারণা উঠে এসেছে। সম্ভাব্য তালিকাটি নিম্নরূপ—
সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী
স্কট বেসেন্ট: ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেসেন্ট। তাকে সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প।
জন পলসন: অর্থমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের বিবেচনায় আসতে পারেন জন পলসন। পলসন একজন ধনকুবের। তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক।
ল্যারি কুডলো: ল্যারি কুডলোকেও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
রবার্ট লাইথাইজার: লাইথাইজারকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা হতে পারে। তিনি ট্রাম্পের একজন অনুগত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
হাওয়ার্ড লুটনিক: ট্রাম্পের সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন লুটনিক। তিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের কো-চেয়ার।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
রিচার্ড গ্রেনেলকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প। তার পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন গ্রেনেল। তাকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রবার্ট ও’ব্রায়েন: ও’ব্রায়েনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ (চতুর্থ) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
বিল হ্যাগারটি: হ্যাগারটিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। টেনেসির এ সিনেটর ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মার্কো রুবিও: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। রুবিও ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সিনেটর।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মাইক ওয়াল্টজ: ওয়াল্টজকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য।
মাইক পম্পেও: প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পম্পেওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প।
টম কটন: কটন হার্ভার্ড কলেজ ও হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। ট্রাম্প দাতাদের পছন্দের মানুষ আরকানসাসের এই সিনেটর।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তার প্রশাসনে কাজ করেছিলেন তিনি।
একই পদে আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এই পদে মার্ক গ্রিনকেও নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। গ্রিন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া
শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিলটি পাস হলে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন কোনো আইন পাস হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উত্থাপন করা হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতি কমানো।’
আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি মা এবং বাবাদের জন্য তারা, আমার মতো, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমি চাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবারগুলো জানুক যে সরকার আপনার পেছনে রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো জরিমানার বিধান রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে শিশু-কিশোরদের প্রবেশ রোধ করার জন্য যুক্তিসংগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আইন উত্থাপিত হয়েছিল। এটি ব্যাপক দ্বিদলীয় সমর্থনও পেয়েছিল। ফলে আইনটি পাস হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ এই আইনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মনোবিকাশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এমনকি ইউটিউবও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংসদে আইনটি পাস হওয়ার ১২ মাস পরে কার্যকর হবে। কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন সময় পর্যালোচনা করে হবে।
তবে বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগের বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করে বলেন, অনলাইনে বয়সসীমা মেনে চলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ায় শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বৃহত্তম সংস্থা ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান চাইল রাইটস টাস্কফোর্স’। প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘খুব ভোঁতা একটি যন্ত্র’ বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদ্য নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসকে বেছে নিয়েছেন। ৬৭ বছর বয়সী সুসি হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ।
গুরুত্বপূর্ণ এই পদে গতকাল বৃহস্পতিবার সুসির নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম-সংক্রান্ত দুই ব্যবস্থাপকের একজন সুসি।
৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হন। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।
শপথ গ্রহণের আগেই ট্রাম্প তাঁর প্রশাসন সাজানোর কাজ সারবেন। এ জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের জন্য তাঁর পছন্দের ব্যক্তিদের বাছাই করবেন। তাঁদের নাম ঘোষণা করবেন। প্রথম তিনি সুসির নাম ঘোষণা করলেন।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বাররক্ষক (গেটকিপার) হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সাধারণত অনেক প্রভাব থাকে। তিনি হোয়াইট হাউসের কর্মীদের পরিচালনা করেন। প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করেন। সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।
সুসিকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সুসি বলিষ্ঠ, স্মার্ট, উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ। তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রকে গৌরবান্বিত করবেন, তা নিয়ে তাঁর কোনো সন্দেহ নেই।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন ট্রাম্প। এর পর থেকে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে তাঁর মালিকানাধীন মার-এ-লাগো ক্লাবে সময় কাটাচ্ছেন।
চারটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নিজ প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে কাকে কাকে নিয়োগ দেবেন, তা নিয়ে এখন ভাবছেন ট্রাম্প। নিয়োগের জন্য যাঁদের নাম বিবেচনায় আছে, তাঁদের অনেকেই ট্রাম্পের আগের প্রশাসনে কাজ করেছেন।
সুসি ফ্লোরিডাভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলবিদ। তিনি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্রিস লাসিভিটার সঙ্গে একত্রে ট্রাম্পের প্রচার কার্যক্রম-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবার ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ক্রিস ও সুসি উভয়ে বাহবা পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের আগের প্রচারাভিযানগুলোর তুলনায় এবারের প্রচারাভিযান ছিল অনেক বেশি শৃঙ্খলাপূর্ণ।
নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প নিজেও এই দুজন ব্যবস্থাপককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের সমর্থনকারী ইলন মাস্কের সম্পদ বাড়ল ১৫০০ কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। গতকাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় ইলন মাস্কের সম্পদ হু হু করে বাড়ছে। একদিনের ব্যবধানে মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ১৫০০ কোটি বা ১৫ বিলিয়ন ডলার। খবর সিএনএন।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দামই বেড়েছে ৪১১ মিলিয়ন ডলার। এক লাফে ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক এ অর্থ দিয়ে এখন কী কী করতে পারেন, তারও একটি হিসেবে দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বলা হয়েছে, মাস্ক এই ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিশ্বের সব মানুষকে এক ডলার করে দিলেও যে অর্থ থাকবে তা দিয়ে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের পুরো সম্পত্তি (তিন বিলিয়ন ডলার) কিনে নিতে পারেন।
তা ছাড়া, মাস্ক যদি নিজের কোম্পানি টেসলার তৈরি ব্যয়বহুল সাইবারট্রাকও কেনার কথা ভাবেন, তাহলে ১৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার সাইবারট্রাক কিনে ফেলতে পারবেন।
স্পোর্টসে বিনিয়োগের ইচ্ছে হলে ডালাস কাউবয়েসের মতো দলকেও কিনে নিতে পারেন। এজন্য গুনতে হবে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ।
উল্লেখ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য দু-হাত খুলে খরচ করেন মাস্ক। রিপাবলিকান শিবিরের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রায় ১১৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন।
এমআই