পুঁজিবাজার
ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন পেলো ছয় ব্রোকারেজ হাউজ

এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করণের লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আরো ছয় ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করলো।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছয় ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়। সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর প্রোডাক্ট ও মার্কেট ডেভেলোপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়্যিদ মাহমুদ জুবায়ের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ, প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক এ ভারপ্রাপ্ত সিওও মো. ছামিউল ইসলাম, ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার, ভারপ্রাপ্ত আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মো. তারিকুল ইসলাম।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেড সিএএল (ক্যাল) সিকিউরিটিজ লিমিটেড, দোহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি খারাপ সময়ের পর একটি নতুন যাত্রার সূচনা হয়। আমার মনে হয় সেটি শুরু হয়েছে। বিগতদিনে পুঁজিবাজারকে উপক্ষো করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজকে ৬টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করছে। এটি চালু করা হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে একটি দেশীয় কোম্পানি সাশ্রয়ী খরচে এই সেবা প্রদান করছে। আমাদের অনেক ট্যালেন্ট রয়েছে। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে তাদের ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ছোট ছোট উদ্যোগ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। যা দেশের পুঁজিবাজারসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবদান রাখতে পারে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান আরো বলেন, যদি পর্যায়ক্রমে সব ব্রোকারেজ হাউজ নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার মান অধিকতর উন্নতি হবে। যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা সব সময় মনে করি শেয়ারবাজার যদি তার প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়, সেক্ষেত্রে উন্নত ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প কিছু নেই। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের যে সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) রয়েছে সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার কাঠামো রয়েছে। এটা সকল ব্যবহারকারীর জন্য সমান। ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (বিএইচওএমএস) মাধমে একজন ব্রোকার তার বিনিয়োগকারীদের নিজের সুবিধামত ভ্যালু এডেড সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক এ ভারপ্রাপ্ত সিওও মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি তার গ্রাহকদের সেবা ও বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলো অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার করতে পারে। ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ওএমএস ব্যবহার করার পরিবর্তে কাস্টমাইজড ওএমএস ব্যবহার করে প্রতিযোগিতামূলক পরিষেবা প্রদান করার একটি সুযোগ।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগটি কেবল প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়; এটি আমাদের পুঁজিবাজারের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পুঁজিবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। স্বচ্ছতা, গতি, এবং নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সূচনা ডিএসইর একটি পদক্ষেপ, যা আমাদের ব্রোকারদের অর্ডারগুলো আরও কার্যকর এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলোর আইনগত যে কোন সহযোগিতার জন্য ডিএসই সবদা প্রস্তুত৷ তিনি পরিপূর্ণ আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানান।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ফিক্স সার্টিফিকেশন একটি চলমান ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তিনি নিজস্ব আইটি অবকাঠামোকে অধিকতর সুরক্ষা করার জোড় দাবী জানান।
এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসইর আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম, ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত সিএএল (ক্যাল) সিকিউরিটিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ্যান্ড্রু ডিসান পুষ্পরাজ, দোহা সিকিউরিটিজের কন্সালটেন্ট খন্দকার মাজহারুল হক, মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশিকুর রহমান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, সিএফএ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনির্বান দাশ গুপ্ত, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক পিয়ার আহমেদ তুসার এবং কোয়ান্ট ফিনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাটেক মিনার ৷
উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিত্তিক বুম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন ২০২০ সাল থেকে। এরই প্রেক্ষিতে ৫৯টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন। ইতোমধ্যে ১৬টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে। ১২টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাচিত ভূমি কেনাকাটায় ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার, বিলাসবহুল গাড়ি বাজেট ব্যবহার, অতিরিক্ত সিটিং ভাতা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করার মতো গঠনমূলক কেন্দ্র নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান ও তদন্ত চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এম এ কাসেমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক আজিজুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা হস্তন্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কাসেম কম মূল্যের জমি বেশি দামে ক্রয় দেখানো, ডেভেলপার কোম্পানি থেকে কমিশন নেওয়া, ছাত্রদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়, লাখ টাকা করে সিটিং অ্যালাউন্স, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স গ্রহণ, নিয়ম ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও অজ্ঞাত কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি পূর্বাচল সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তারা ২০১৪ সালে আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি দেখিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। এরপর নিচু জমি ভরাটের নামে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির অর্থ থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ জন সদস্যের জন্য ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি কেনা হয়। এ গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেলের খরচও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে বহন করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে আটটি কমিটির বিপরীতে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং অ্যালাউন্স আদায় করেন। এসব কমিটির মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ২০২১ সালের ৩১ আগস্টের হিসাব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অর্থের ৪৩ শতাংশেরও বেশি ৪০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা রেখেছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে এম এ কাসেমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সালমান-শিবলী-শায়ান আজীবন অবাঞ্ছিত, আদেশ জারি

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড আল ইসতানিয়া ও আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো ক্যুপন বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে অনিয়ম, প্রভাব খাটানো, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দায়িত্বশীল আচরণ না করার অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
একইসঙ্গে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে আজীবন, বিএসইসির সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টের সাবেক সিইও ইমরান আহমেদকে ৫ বছর পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা, আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা ও ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিংকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো কুপন বন্ড ও বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড আল ইসতানিয়া ইস্যুর ক্ষেত্রে ‘প্রতারণামূলক যোগসাজশ’ হয়েছিল। সালমান এফ রহমান তার প্রভাব খাটিয়ে এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। তার কর্মকাণ্ড ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিএসইসির মতে, বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ও মূলধন বাজারের সুষ্ঠু বিকাশে তার এ কর্মকাণ্ড মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এজন্য তাকে আজীবনের জন্য সিকিউরিটিজ বাজার থেকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো কুপন বন্ড ও বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড আল ইসতানিয়া ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম যথাযথ দায়িত্বশীল আচরণ না করেপুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, বিধি লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসি একটি তদন্ত ও অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল। তদন্ত কমিটি কর্তৃক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকেই কমিশন আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমানকে ১০০ কোটি ও ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার এবং পুঁজিবাজারে উভয়কে আজীবন অবাঞ্ছিত (পারসোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
একই সঙ্গে বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার এবং তৎকালীন কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের তৎকালীন সিইও ইমরান আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সব ধরনের কাজে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে অ্যানফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংককে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক এ আর এম নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ এবং তৎকালীন স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী হিসেবে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা সৈয়দ মুনসিফ আলী তার কাছে থাকা ব্যাংকটির ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
এরআগে, গত ২৬ আগস্ট উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবেন বলে ঘোষণা দেন এই উদ্যোক্তা।
এসএম
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ৩৩ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এদিন কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৫ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১ কোটি ৪২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিটি ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ১ কোটি ২২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা এবং হাক্কানী পাল্প ও পেপার মিলসের ৬৯ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজার
ঢাকা ব্যাংকের উদ্যোক্তার ৫ লাখ ১৭ হাজার শেয়ার গ্রহণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা তার বোনের কাছ থেকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার গ্রহণ করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা এ.টি.এম. হায়াতুজ্জামান খান তার বোন জাহেদা ওয়াহেদ খানের (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) কাছ থেকে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫টি শেয়ার উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এই উদ্যোক্তা। গত ০২ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।
এসএম