ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুলের পদত্যাগ দাবি
শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ। সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা দফা এক দাবী এক, হাফিজের পদত্যাগ; হাফিজের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; স্বৈরাচারের দোসর, হাফিজ হাফিজ; হাফিজকে হটাও, ডিএস বাঁচাও; হাফিজের ঠিকানা, ডিএস এ হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থী লামিয়া বলেন, স্যার ক্লাসে এসে কী বা কী বলে অপমান করবে সেই ভয়ে কাটাতে হয়েছে। আমি কি ড্রেস পড়লাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে ঘুরলাম, কোন বাসে ঢাকা গেলাম সেসব কৈফিয়ত দিতে হয় আমাকে। আমাকে সবার সামনে বলছে যে আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাবে। যে স্যারের গুণগান গায় সে ইন্টার্নাল মার্কে পায় ২৭, আমি পাই ১৭। আমি বৃষ্টিতে ভিজে চা খাইলে সে বলে আমি নাকি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছি৷ সে একজন শিক্ষক হয়ে সে সবার সামনে মেয়েদের গালি দেয়। আমি হাফিজের পদত্যাগ চাই, সে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
অপর শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান বলেন, বাপ মা তুলে গালি দেওয়া স্যারের আগের অভ্যাস। যারা নাচ করি তাদের নর্তকী, বাকিদের বাজারের মেয়ে এগুলো বলেছে। আমাদের সামনে আমাদের ফ্রেন্ডদের বলেছে এসব কাস্টমমার ধরার ধান্দা৷ আমি আবার বন্ধুর সাথে কোথায় বসব না বসব, সেসব নিয়ে সে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়েছেন। সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ১০০ পেজের এসাইনমেন্ট করিয়েছে অথচ জমা নেয়নি। তার জঘন্য অপমানের ভাষা বলে শেষ হবে না।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ তুলেছে সেগুলো সত্য হলে অবশ্যই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু যেকোন বিষয়ের একটা পদ্ধতি আছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি তাদের একটি প্রতিনিধি দল যেয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলতে। তারা চাইলে প্রশাসন অবশ্যই তাদের কথা শুনবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ আমরা শুনেছি, এবিষয়ে খুব দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির এএসএম স্টুডেন্টের আত্মপ্রকাশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি’র (এএসএম) উদ্বোধন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবনের ১০২ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক এএসএম কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর ও শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রথমে জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাইক্রোবায়োলজির বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৫০ নম্বরের একটি কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শায়লা আক্তার টুম্পা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আমিন খান শুভ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ আলম রানারআপ হয়েছেন। পরবর্তীতে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, খালি চোখে দেখতে পাই না সে জগতটি আরো বৈচিত্র্যময় এবং আরো সুন্দর। সেই জগতটি দেখার সুযোগ শুধুমাত্র জীববিজ্ঞান বিষয়ের সাথে যুক্ত তাদের রয়েছে। এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে যে যে জায়গাগুলোতে আমাদের যাওয়ার অধিকার রয়েছে বা সুযোগ রয়েছে সে জায়গাগুলো আমরা নিতে পারব। পাশাপাশি নির্দেশনা মোতাবেক যে যে কাজগুলো করলে আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের সুনাম আরো বেড়ে যাবে এবং আমেরিকান সোসাইটিতে ইবি চ্যাপ্টার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে, সেদিকে নজর রাখবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব নসরুল্লাহ বলেন, আমি সবসময়ই গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করি। যেহেতু এই সংগঠনে ১৭টির মতো জার্নাল আছে এবং এখানে ফ্রি মেম্বারশিপ একসেস আছে, আমি শিক্ষার্থীদের বলবো তোমরা বেশি বেশি কাজ করবে এবং প্রকাশিত আর্টিকেল পড়বে। আর্টিকেল না পড়লে তোমরা তোমাদের বদ্ধমূল ধারণা থেকে বের হতে পারবে না। শিক্ষকদের অনুরোধ করবো ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্ট চালু করার অথবা রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট বা রিসার্চ কেন্দ্রীক বিষয়ে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এতে করে শিক্ষার্থীদের রিসার্সের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে, রিসার্চ জার্নালের সংখ্যা বাড়বে এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতাম্পূর্ণ বিশ্বে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হবে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (এএসএম) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি’র অধীনে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের জন্য একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা যা সারা বিশ্বে মাইক্রোবায়োলজি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সম্পর্কে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এশিয়ায় সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সবচেয়ে কম। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের বেতন দেয়া হয় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর গ্রেডে, যা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সামাজিক মর্যাদা ও বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি না করলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপি। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকের স্বীকৃতি পাওয়া এই শিক্ষক দুই যুগ ধরে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু তিনি যা বেতন পাচ্ছেন তা দিয়ে পরিবারের খরচ মেটানোতো দূরের কথা; ঢাকায় মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করতেই হিমশিম অবস্থা।
একই অবস্থা অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদেরও। যুগের পর যুগ নেই পদোন্নতি। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয় ১৩ তম গ্রেডে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর গ্রেডে বেতন দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরির দায়িত্ব দেয়াকে বৈষম্যমূলক বলছেন তারা।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কম বেতন পান বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অংকের হিসেবে যা ১৭০ ডলার। মালদ্বীপের শিক্ষকরা বাংলাদেশের শিক্ষকদের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ ৯৫৩ ডলার বেতন পান। নেপালে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ৪৬৭ , ভুটানে ৩৪১, শ্রীলঙ্কায় ২৫০, ভারতে ২৮৪, পাকিস্তানে ২০৬ ডলার। আর মিয়ানমারে ১৮৯ ডলার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলছেন, মেধাবী শিক্ষক ছাড়া জাতি বির্নিমাণ অসম্ভব। আর মেধাবীদের এ পেশার আকৃষ্ট করতে সামাজিক মর্যাদা, বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাকিম বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের সুযোগ আরো বাড়ানোর বিষয়ে তারা আন্তরিক। ইতোমধ্যে সরকার কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতায়ও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফদরের মহাপরিচালক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২ নভেম্বর
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তিকৃত স্নাতক ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আগামী ২ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ মেধা তালিকা থেকে প্রাথমিক নিশ্চয়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সকল শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ মেধা তালিকা থেকে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চয়ন করেছে সে সকল শিক্ষার্থীর আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর অফিস চলাকালিন (সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
এছাড়াও ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অফিস খোলা থাকবে।
এমআই/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।
রবিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে রাজধানীর মিরপুর থানার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় অনেকেই ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা স্পষ্টতই একটা বড় বৈষম্য।
উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন দাবি করে তারা বলেন, একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই পে-স্কেলেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
এসময় মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মিরপুর থানার প্রধান সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের গ্রেড বৈষম্য দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দেন।
কর্মসূচিতে সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এ কে এম ইলিয়াস আল মাহমুদ, রাবেয়া বাসরী, শফিউল আলম চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. জাকির হোসেন, এম এ মান্নান, এ কে এম আসাদুজ্জামান, রিনা আক্তার, দিলরুবা জাহান, আফরোজা বেগম, তাছলিমা হক, রবিউন নাহার তমা, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, শায়লা আশরাফ, আদিল বিন এফসারুল হক প্রমুখ।