আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে যে ১০ দেশে
বিশ্বজুড়ে স্বর্ণকে একটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে দেখা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবার স্বর্ণের প্রতি বেশ আবেগও রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বর্ণের ব্যবহার এবং উপহার হিসেবে স্বর্ণ কেনার রীতিও রয়েছে বহুকাল থেকেই। ফলে দেশে বিদেশে স্বর্ণের চাহিদাও ব্যাপক। বিশ্বে নারীদের অলঙ্কার হিসেবেও স্বর্ণের চাহিদার কমতি নেই। বিশ্ববাজারে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা ও দাম।
একটি দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, নাকি অচিরেই বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে, তা নির্ধারণেও স্বর্ণের মজুত বিশেষ ভূমিকা রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের ওপর আস্থা রাখে।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) জানিয়েছিলেন, কোন দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রয়েছে। এ হিসাব ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল থেকে জুন) শেষের।
ডব্লিউজিসির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রাখা দেশের তালিকায় কারা রয়েছেন জেনে নিন—
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির কাছে মজুত রয়েছে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন স্বর্ণ। ইউরোপের দেশ জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। দেশটির মজুত ৩ হাজার ৩৫১ দশমিক ৫৩ টন স্বর্ণ।
তৃতীয় অবস্থানে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দেশটির রয়েছে ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন স্বর্ণ। এর কাছাকাছি অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত আছে। স্বর্ণের মজুতে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। দেশটির কাছে মজুত আছে ২ হাজার ৩৩৫ দশমিক ৮৫ টন স্বর্ণ।
ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন ও জাপান। চীনে মজুত আছে ২ হাজার ২৬৪ দশমিক ৩২ টন স্বর্ণ। জাপানে ৮৪৫ দশমিক ৯৭ টন। আর ৮৪০ দশমিক ৭৬ টন স্বর্ণ নিয়ে ভারত আছে অষ্টম অবস্থানে।
এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের অবস্থান যথাক্রমে নবম ও দশম। নেদারল্যান্ডসে মজুত আছে ৬১২ দশমিক ৪৫ টন স্বর্ণ এবং তুরস্কে ৫৮৪ দশমিক ৯৩ টন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এক সপ্তাহে ৯ শতাংশ বেড়েছে তেলের দাম
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ৯ শতাংশ। তার মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই এই বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)- উভয়েরই। শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১ অংশ। চলতি বছর এই প্রথম মাত্র এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে এই পরিমাণ উল্লম্ফণ ঘটল।
জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজারে অপরিশোধিত তেলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ইরান থেকে। ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইরানের তেল খনিগুলোতে ইসরায়েলের হামলার হুমকি বাজারের এই আকস্মিক উল্লম্ফণের জন্য দায়ী।
যুক্তরাজ্যের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা স্টোনএক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের তেল অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩ থেকে ৫ ডলার বাড়বে।
গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ক্ষেত্রেগুলোতে হামলা করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি তেলের চালান আসা বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন এই ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদে তা সম্ভব হবে না ওপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পক্ষে।
ইরান ওপেক প্লাসের সদস্যরাষ্ট্র। প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজারে ৩২ লাখ ব্যারেল পাঠায় দেশটি যা শতকরা হিসেবে বাজারের মোট তেলের ৩ শতাংশ।
শতকরা হিসেবে হার একেবারেই কম, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইরানি তেলের যোগান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে মন্দাভাব চলছে। এই মন্দাভাব দূর করতে ২০২৩ সাল এবং ২০২৪ সালে তিন দফায় জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাস করেছে ওপেক প্লাস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পেল বাংলা
ভারতে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলা ভাষা। বাংলাসহ মোট পাঁচটি ভাষাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। দিল্লির সংবাদমাধ্যম এবং জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়। এর আগে সংস্কৃত, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও ওড়িয়া ভাষাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ভারতের অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য, গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও অন্য ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড ব্যবহার করা হবে।
বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্ছ্বাসিত হয়ে তিনি বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, দীর্ঘ লড়ায়ের পর আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। অনেকদিন ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিপুল তথ্য জমা দিয়ে দাবি করেছিলাম যাতে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভাষা আগে এই স্বীকৃতি পেলেও বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, আমাদের সরকার ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে। আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে জনপ্রিয় করতে দায়বদ্ধ। অসমীয়া, বাংলা, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা, আমি অত্যন্ত খুশি। এ ভাষাগুলো অপূর্ব, তারা আমাদের অসাধারণ বৈচিত্র্যের সাক্ষী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তঃসরকার সংস্থা সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর, এনডিটিভি’র।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, জয়শঙ্কর ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইউরেশীয় নেতাদের সম্মেলনে পাকিস্তানে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে এই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কোনো পাকিস্তানি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা, সেটি জানাননি জয়সওয়াল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জয়শঙ্কর জানয়েছিলেন, বহু বছরের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সমস্যার সমাধান করতে চায় ভারত। তিনি তখন বলেছিলেন, এটি কোনো ভালো প্রতিবেশীর নীতি হতে পারে না।
সবশেষ ২০১৫ সালে ভারতের কোনো মন্ত্রী পাকিস্তান গিয়েছিলেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আফগানিস্তান সংক্রান্ত একটি সফরে সে দেশে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এসসিও বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এই সংস্থার সদস্যের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘের মহাসচিব
চলতি ২০২৪ শালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রেফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং অর্থনীতি— এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রদান করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। শান্তি ব্যাতীত বাকি ৪টি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদানের ব্যাপারটি দেখভাল করে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি; আর শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হবে।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরে উভয়কেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফল সফর, চিন্তায় নয়াদিল্লি: আনন্দবাজার
যুক্তরাষ্ট্র সফর সফলভাবেই শেষ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক হাইপ্রোফাইল বিশ্ব নেতার সাথে আন্তরিক বৈঠক করেছেন তিনি। আর এই বিষয়টিই দিল্লির আশঙ্কা বাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে নিজে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান এবং এডিবি-র শীর্ষকর্তার সঙ্গেও আলাদা করে আলোচনা হয়েছে তার। এই সব আলোচনার মূল সূর একটাই। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারি নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমি দুনিয়া এবং আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকবে ভবিষ্যতে। যে সহায়তার কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।
ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের আলোচনার তালিকা প্রসারিত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, সার্ককে জাগিয়ে তোলা ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে কথা হয় ইউনূস-শরিফের। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনে কার্য তালিকায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ না থাকলেও এই মুহূর্তে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের কৌশল রচনাই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখতে হবে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত দু’টি বিষয় স্পষ্ট। এক, এই অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক বৈধতা পেয়ে গিয়েছে সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে। দুই, ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক আগামী দিনে এগোলে তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কূটনৈতিক অস্ত্র এখনও ভারতের হাতে নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন ইউনূস। এই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের জাতিসত্তার স্বকীয়তাতেই তিনি বিশ্বাসী।
জাতিসংঘের এই সফরে মোদির সাথে ড. ইউনূসের কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। যদিও নানা গণমাধ্যমে প্রথমদিকে একটি সাইডলাইন বৈঠকের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, এখানেও কূটনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে ভারত।