রাজনীতি
যমুনায় বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার দুপুর ২টার পর মির্জা ফখরুল ইসলামসহ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা যমুনায় প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, আলোচনার টেবিলে মূল ইস্যু হিসেবে থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশনের কার্যক্রম, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিকে দিয়েই আজ এই সংলাপ শুরু করা হলো। বিএনপির পর আজ বেলা তিনটায় জামায়াতে ইসলামী, সাড়ে তিনটায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকেল চারটায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাড়ে চারটায় হেফাজতে ইসলাম, পাঁচটায় ইসলামী আন্দোলন ও সন্ধ্যা ছয়টায় গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হবে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন। এখন তৃতীয় দফায় সংলাপ করছেন আজ থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে হবে। সেজন্য আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেটা কতদিনের, তা আমরা পরে জানাবো।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আগামীতে জাতির সামনে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া বর্তমান সরকারের মূল কাজ। সেজন্য মৌলিক বিষয়ে তাদের কিছু সংস্কার করতেই হবে। কি কি মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াতের পক্ষ থেকে সরকারকে দুইটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে। একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এজন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে বিভিন্ন রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে জামায়াতের পক্ষ থেকে।
জামায়াত আমির বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে, তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।
এদিন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের আহ্বানে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যমুনায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ঘণ্টাখানেক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনায় বসেন বিএনপির প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনী রোডম্যাপসহ নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোড ম্যাপ চেয়েছি: ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী। এদিন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারগুলো আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের মতামতও দিয়ে এসেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাস, দিনকাল নিয়ে কথা বলি না। উনি যেটা আমাদের বলেছেন, নির্বাচনই আমাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিরাজনীতিকরণ দেখতে চাই না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিচ্ছি, সময় দেবো। কিন্তু কতদিন? আমরা সেই পর্যন্ত সময় দেবো, যতদিনে যৌক্তিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে।
তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ দেখতে চাই না। মাইনাস টু দেখতে চাই না। জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। সাময়িক বিজয় হয়েছে, যা ধরে রাখতে হলে সুসংহত থাকতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এখন দলে দলে বেরিয়ে আসছেন। নানা দাবি নিয়ে আসছেন। আর আগে জমি বিক্রি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের কাছে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন। দেশ পরিবর্তন না করতে পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় যেন না ভাসি, না, ক্ষমতায় আসেনি। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নানা চক্রান্তের বেড়াজালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে মন্তব্য করেন তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পরও দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা। যে দলটি গণতন্ত্রের পুরোধা বলে দাবি করেছিল, সেই দলটির কারণে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। পতিত সরকার দেশে বৈষম্যের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ৩১ দফায় আমরা সব সমস্যা ও সমাধানের কথা বলছি।
দুর্নীতির ভূত দূর করতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, না হলে কোনো কিছুই করতে পারবে না। আমরা ব্যর্থ হয়নি, আগেও জয়ী হয়েছি, এবারও জয়ী হবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি
তৃতীয় দফায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এ দফায় আলোচনা শুরু হবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় যমুনায় বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠক শুরু হবে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এতে অংশ নেবেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনসহ কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন তারও বিস্তারিত ছিল। আর নির্বাচন পরবর্তী রাষ্ট্রের কী ধরনের সংস্কার করা হবে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছিল। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সেই ৩১ দফা থেকে নির্বাচন পূর্ববর্তী কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব কী তা বোঝার চেষ্টা করবে বিএনপি।
জানতে চাইলে দলের নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি।
এই প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আলোচনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সংবিধান পুর্নগঠন ও প্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কোনো ব্যক্তির পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার সুপারিশ করবে বিএনপি। স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত প্রশাসন আর স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রস্তাবও দেওয়া হবে।
এছাড়া ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করায় জোর দেয়ার কথা জানালেন শিল্প ও বাণিজ্য সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
দলের স্থায়ী কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা রয়ে গেছে, যেটা আমাদের নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন। তাদের সরানোর বিষয়টি তো উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা তুলে ধরা হবে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ইতোমধ্যে দুই দফায় উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সভা হয়েছে। সবশেষ গত ৩১ আগষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তারই চলমান প্রক্রিয়ায় আজ (শনিবার) থেকে আবারও নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা হবে। এ আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে ছয় সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দলগুলোকে অবহিত করা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
থানায় জিডি করলেন ঢাবি শিবির সভাপতি
ষড়যন্ত্র ও মানহানির অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) শাহবাগ থানায় জিডি করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে “অপরাজেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে দৈনিক প্রথম আলোর টেমপ্লেট ব্যবহার করে আমাকে কোট করে একটি কার্ড পোস্ট করা হয়। যেখানে লেখা আছে “শিবির এ পর্যন্ত যাদের রগ কেটেছে, তারা কেউ ঈমানদার ছিল না। ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়িম”।
তিনি আরও বলেন, এটি স্পষ্ট মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট। আমাকে ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে হেয়প্রতিপন্ন ও অপমান করার জন্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও অন্যান্য দলমতের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য ওই পোস্ট করা হয়েছে।
পোস্টটি এনোনিমাস করা হয়েছে এবং পোস্টকারী ওই গ্রুপের এডমিনদের পরিচিত। আমার জানমাল ও সম্মানের ক্ষতি করার জন্য এরূপ মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানান তিনি।
কাফি