জাতীয়
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব

ভারতে বন্যা হলে ভাটির দেশ বাংলাদেশে অবধারিতভাবে এর প্রভাব পড়ে। তাই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মতো দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নতুন কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ ধারণার বিষয়টি সামনে আনেন।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের আলোচনায় ত্রিপুরার বৃষ্টির প্রসঙ্গটি এসেছে। ত্রিপুরার বাঁধের কথা এসেছে এবং এটি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ (চলে আসা) হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পানির উচ্চতা বেশি থাকায় বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এ ধরনের কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না… যখন বন্যা পরিস্থিতি হবে, তখন বৈঠক করা যায়। আমরা এবং ভারত একই অববাহিকায় রয়েছি। এ ছাড়া আমরা একই পানি ব্যবহার করি। সে জন্য দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি ব্যবস্থায় কাজ করা যায় কি না।’
প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি তুলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, পানিবণ্টন নিয়ে যেসব বিষয় আছে, সেটি যেন যৌথভাবে কাজ করে নিষ্পত্তি করা যায়।
নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ
ভারতীয় হাইকমিশন এবং তাদের স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। প্রেস সচিব বলেন, ‘ভারতের হাইকমিশনার জানিয়েছেন যে দূতাবাস এবং বাংলাদেশে ভারতের অন্যান্য স্থাপনা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন। সামাজিক গণমাধ্যমে কিছু পোস্ট দেওয়া হচ্ছে, যেটি দুঃখজনক। যাঁরা এটি করছেন, এটি খুব দুঃখজনক।’
সংখ্যালঘু পরিস্থিতি আলোচনায়
প্রেস সচিব জানান, আলোচনায় সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গটি এসেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন যে সংখ্যালঘু নিয়ে কিছু সংবাদ অতিরঞ্জিত। এটির জন্য তিনি ভারতের সাংবাদিকদের আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ সফরের জন্য এবং তাঁরা যেন নিজের মতো করে ঘুরে দেখেন—কোথায় কী হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ নিয়ে কথা হয়েছে। হাইকমিশনার জানিয়েছেন, গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসা, পর্যটনসহ নানা কারণে ভারত সফর করেছেন।

জাতীয়
জামায়াতের সমাবেশের নিরাপত্তায় ১২ হাজার পুলিশ, রয়েছে র্যাব-ডিবিও

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলটির আশা করছে, জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ।
ডিএমপি জানায়, ঢাকায় অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় যুক্ত রয়েছেন। ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি করছেন ডিবির সদস্যরা। ১২ হাজার পুলিশ ছাড়াও আরও কয়েক হাজার র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও জামায়াতের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল যেন কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশের। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং চলছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রমনা বিভাগের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম ও সিভিল ড্রেসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর বাইরে সারাদেশ থেকে যেসব গাড়ি আসবে সুনির্দিষ্ট করে পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। রমনা এলাকায় যেন কোনো গাড়ি প্রবেশ না করে এজন্য সব জেলার জন্য রুট নিদিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পুরো ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য ঢাকার সব জায়গায় পুলিশ রয়েছে।
সমগ্র ঢাকায় কত হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরেও থানা-ফাঁড়িতে রয়েছে আরও আট হাজার পুলিশ। সবমিলিয়ে ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য। এছাড়া ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে।
র্যাবের নিরাপত্তার ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে এলিট ফোর্সটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, সমাবেশস্থলের চতুর্দিকে র্যাবের পেট্রোল ডেপ্লয় করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া র্যাবের অতিরিক্ত জনবল কাজ করছে। যদি কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় র্যাব নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও। মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক মনিটরিং সেল। দলে ছয় হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক আটটি বিভাগের আওতায় কাজ করছে।
যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন জামায়াত নেতারা। ঢাকার বাইরের বাসগুলোর ড্রপিং পয়েন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, সমাবেশস্থলে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসবেন, তাদের জন্য কমপক্ষে ১৫টি পার্কিং পয়েন্ট রাখা হয়েছে। সারাদেশ থেকে রাজধানীতে মানুষের ঢল নামবে আজ।
জানানো হয়েছে, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি সমাবেশে একটি ‘ঐক্যের ডাক’ এবং কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাতে পারেন। আসতে পারে নির্বাচনকেন্দ্রিক বার্তাও।
জাতীয়
গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
কারফিউ শিথিল থাকায় গোপালগঞ্জের রাস্তাঘাটে ও বাজারে লোকসমাগম বেড়েছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানে আসছে। সকাল হওয়ায় অন্য সময়েরে চেয়ে মানুষের উপস্থিত একটু কম ছিল। তবে শহরের কাঁচাবাজার, ফল বাজারে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক রয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জের সকল ধরনের মার্কেট শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকার কারণে সেসব দোকান এখনও খোলেনি। হোটেল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুক্রবার জানানো হয়, গত বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ বলবৎ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এমন পরিস্থিতিতে ওইদিন রাত ৮টা থেকে গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরে গতকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পরে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল থাকবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
কারফিউ জারির আগে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।
জাতীয়
জুলাই শহীদদের স্মরণে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আজ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আজ শনিবার (১৯ জুলাই) প্রত্যেক জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পালন করা হবে।
জেলায় যতজন শহীদ হয়েছেন ততগুলো গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হবে।
গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস ১৯ জুলাইয়ের স্মরণে মিউজিক্যাল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হবে। যার থিম মিউজিক হবে ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা’।
কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিনে ‘একটি শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য’ ডকুমেন্টারির পার্ট-৫ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণের ভিডিও শেয়ার করা হবে। সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।
সকল মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিও’র ইউআরএল প্রেরণ করা হবে। এছাড়া ঢাকার সাভারে শহীদদের স্মরণে সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
এদিনে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ‘এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’, ‘আবরার ফাহাদ’ ও ‘আয়নাঘর স্টোরিজ’সহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
জাতীয়
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সহায়তায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এবং বাংলাদেশ সরকার চলতি সপ্তাহে একটি মিশন খোলার জন্য তিন বছরের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, এই স্মারকলিপি স্বাক্ষর মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যা উত্তরণের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করবে।
‘এটি আমার অফিসকে আমাদের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনে প্রদত্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে সহায়তা করতে সক্ষম করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ যে মৌলিক সংস্কারগুলো এগিয়ে নিচ্ছে তাতে আমাদের দক্ষতা এবং সহায়তার মাধ্যমে সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে সরাসরি মাঠে যুক্ত হতে সহায়তা করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তিটা আনুষ্ঠানিকভাবে বসে হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম চুক্তি সই করেছেন এবং সেটি জেনেভায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
তিন বছরের চুক্তি পরে নবায়ন করা সুযোগ রয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আপাতত তিন বছরের জন্য করা হয়েছে। পরে চাইলে চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব।
মানবাধিকারবিষয়ক অফিস বলছে, নতুন মিশনটি বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ করবে।
কাফি
জাতীয়
স্পেসএক্স প্রতিনিধিদল ঢাকায়, স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে আজ

বিশ্বখ্যাত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিতে পারে। এরই অংশ হিসেবে স্পেসএক্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
প্রতিনিধিদলটি শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করেছে। যেখানে স্টারলিংকের সেবার ধরন, প্যাকেজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সূত্র জানায়, স্টারলিংক আজই বাংলাদেশে অফিসিয়াল যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিতে পারে। এর আগে তারা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ লাইসেন্স যেমন- স্যাটেলাইট অপারেটর লাইসেন্স ও রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স পেয়েছে, যার মেয়াদ ১০ বছর।
বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হলে দুর্গম, সীমান্তবর্তী ও ব্রডব্যান্ডবিহীন এলাকাগুলোতে উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ইতোমধ্যে জানা গেছে, স্টারলিংক তাদের গ্রাহকদের জন্য দুটি প্যাকেজ চালু করেছে—একটি মাসে ৬,০০০ টাকায়, অন্যটি ৪,২০০ টাকায়। তবে সেবা নিতে হলে এককালীন ৪২ হাজার টাকা দিয়ে সেটআপ কিট কিনতে হবে।
অন্যদিকে, সফরসূচি অনুযায়ী স্পেসএক্সের প্রতিনিধি দল আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বিকেলে উত্তরা দিয়াবাড়িতে গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং (জিসিসিএন) পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। এরপর বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেবেন।
আর দিনের শেষে প্রতিনিধিদলটি ঢাকার হাতিরঝিলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জন্ম’ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানে অনুষ্ঠিতব্য ড্রোন শো উপভোগ করবেন। সফর শেষে ১৯ জুলাই তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন বলেও জানানো হয়েছে।