ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পর এবার অনির্দিষ্টকালের সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’
প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ইউজিসি এ নির্দেশনা দেয়।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিক্যাল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সকল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসাসহ) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত
চলমান এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। ২১ জুলাই থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি পরীক্ষা চলবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বলা হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশব্যাপী নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইবিতে শিক্ষার্থীদের ঢল
দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার প্রাঙ্গণে সমবেত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।
শিক্ষার্থীরা এসময় আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই; কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; আমার ভাইকে মারল কেন, প্রশাসন জবাব চাই; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম কিছু গতকালকে আমরা দেখতে পেয়েছি দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার ভাইবোনদের উপর ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনী বর্বরোচিত, ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। আমরা পাকিস্তানি বাহিনীর বিপরীতে শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারকে পেয়েছিলাম কিন্তু এই আন্দোলনে আমরা আমাদের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রাধক্ষ্যবৃন্দ কাউকেই পায়নি যা অত্যন্ত হতাশাজনক। অনতিবিলম্বে আমরা ছাত্রলীগের হামলায় বিচার চাই।
এসময় এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের জানের ভয় নাই, আমরা জানের মায়া ত্যাগ করে ১ ঘন্টার নোটিশে আসছি। গতকাল রাতে আমরা কেউ ঘুমাইছি? ঘুমাই নাই কারণ আমাদের ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়েছে। আপনারা কেউ উত্তেজিত হয়ে হামলা, মারামারি বা রাস্তা অবরোধের দিকে যাবেন না। রাস্তা বন্ধ করা আমাদের কাজ না, আমরা কোন ধ্বংসাত্মক কাজ করার সংগঠন না। ন্যায্য দাবীতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে, চলবে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফারহা তানজীম বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি মনে করি যে আদিবাসি, প্রতিবন্ধীর মতো কিছু কিছু জায়গায় কোটা থাকা দরকার। এখানে হতে পারে যে নানা কারণে নানাজন সংশ্লিষ্ট আছে কিন্তু আমাদের মূলত যে দাবি বেকারত্বের সংকট ঘোচানো, ছাত্ররা এই ন্যায্য দাবীতে মাঠে রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ছাড়তে ঢাবি প্রক্টরের অনুরোধ
বহিরাগতদের দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কর্তৃপক্ষের মাইকিংয়ে কর্ণপাত করছেন না ছাত্রলীগের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম কয়েকজনের হাত থেকে ৫-৬টি লাঠি, স্ট্যাম্প ও রড সংগ্রহ করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এই অবস্থা দেখা যায়। এ সময় তারা বহিরাগতদের সরতে বললেও তাদের সামনে দিয়েই স্ট্যাম্প, রড নিয়ে পাশ কাটাতে দেখা যায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের।
মাইকিংয়ে ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেউ অবস্থান করবেন না, লাঠি, রড নিয়ে কেউ অবস্থান করবেন না, সবাইকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে বলতে দেখা যায়। তবে কর্তৃপক্ষের মাইকিং কর্ণপাত করছেন না, বরং তাদের সামনে দিয়েই রড স্ট্যাম্প নিয়ে চলাচল করছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। তারা সবাই বহিরাগত ও অছাত্র বলেও নিশ্চিত হওয়া যায়। এ সময় তারা কয়েকজনের হাত থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্প ও রড নিয়ে নিলেও কাউকেই তারা সরাতে পারেননি।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টিএসসি এলাকায় এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. আবদুল মুহিত৷ তখন তিনি সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন৷
আবদুল মুহিত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁরা বহিরাগত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন৷ এ জন্য তাঁরা মাইকিংও করবেন।পরিবেশ ঠিক রাখতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। এর ১০ মিনিট পর প্রক্টর মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে এসে বহিরাগত ব্যক্তিদের চলে যেতে মাইকিং শুরু করেন।
এদিকে বেলা ১২টা থেকে ঢাকার দুই মহানগর, থানা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নেন। অবস্থানরত নেতাকর্মীদের হাতে রড, স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র লক্ষ্য করা যায়। ছাত্রলীগের ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি রাজু ভাস্কর্যে দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে বিকেল পৌনে ৪টায় তা শুরু হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান আসিফ আল মতিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকায় থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। অনেক পুলিশ সদস্য এতে আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছে বলে শুনেছি তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা বলতে পারছি না।