পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার উন্নত করতে সু-শাসনের বিকল্প নেই: ডিএসই চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে উন্নত করার জন্য সু-শাসনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
বুধবার (১০ জুলাই) নেদারল্যান্ড ভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথ উদ্যোগে তালিকাভুক্ত ৭৫টি কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দের অংশগ্রহণে ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে ‘লঞ্চ সিরিমনি অব গাইডেন্স ডকুমেন্ট ফর সাসটেনেবিলিটি রিপোর্টিং অন দ্য জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডস-২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্তিক আহমেদ শাহ, ঢাকা সুইডেন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফ্রেডরিকা নরেন, ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের, মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম, জিআরআই সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্কের পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ম্যানেজার রাহুল সিং, আইওটিএ কনসালটিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এবং সাসটেনেবিলিটি নেক্সাস লিমিটেডের পরিচালক মুনতাসির নাহিদ।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ। বাংলাদেশ সরকার অতি সম্প্রতি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছে। সরকার দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে উন্নত করার জন্য সু-শাসনের কোন বিকল্প নেই। জিআরআই প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। জিআরআই আমাদের রিপোর্টের মান বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। আমি আশা করি জিআরআইর সহযোগিতা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের (জিআরআই) এর গাইডলাইনগুলো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, বিশ্বস্ত এবং ব্যবহারবান্ধব। কোম্পানির প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হলো সততা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোম্পানির ব্র্যান্ডিং, খ্যাতি এবং পণ্যের গুণগত পার্থক্য কাঙ্খিত পর্যায়ে বৃদ্ধি করে। জিআরআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিন-চতুর্থাংশ কোম্পানি সাসটেইন্যাবল রিপোর্ট তৈরিতে জিআরআইর কাঠামো ব্যবহার করে।
ড. হাসান বাবু বলেন, আমি বিশ্বাস করি জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডস ২০২১ এর উপর ভিত্তি করে সাসটেনেবিলিটি রিপোর্টিং-এর জন্য গাইডেন্স ডকুমেন্ট চালু করার ফলে এটি একটি সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট তৈরিতে তালিকাভুক্ত, অতালিকাভুক্ত এবং বড় কোম্পানিগুলিকে গাইড করার জন্য প্রতিশ্রুতি এবং সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করবে। যা তাদের কোম্পানি, সমাজ এবং সামগ্রিকভাবে দেশ উভয়ের পরিবর্তনে সাহায্য করবে। ড. হাসান বাবু উল্লেখ করেন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ব্যাপকভাবে সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং পরিবেশের দৃঢ়তার উপর জোর দিয়েছে৷ ডিএসই ও জিআরআই-এর সহযোগিতায় সাসটেইন্যাবল রিপোর্টিং নির্দেশিকার উপর এই সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং এই কর্মশালা থেকে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাভবান হবে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান আরো বলেন, সাসটেনেবিলিটি রিপোর্ট এখন মূলধারার ব্যবসায়িক অনুশীলন। যা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু ও লয়ালিটি বৃদ্ধি করে। আর এর ফলে এক্সটারনাল স্টেকহোল্ডারগন প্রতিষ্ঠানের সঠিত মূল্য এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সম্পর্কে অবগত হন। সকল মহলের প্রধান চাহিদা কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি রিপোর্ট৷ বিশ্বব্যাপী যেটা গ্রহণযোগ্য৷ বাংলাদেশে কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী রিপোর্ট করে। কিন্ত আরও অনেক ভাল কোম্পানি এটি করতে পারে৷ এই প্রক্রিয়ায় আমাদের পুঁজিবাজার, জিডিপি এবং অর্থনীতি সবই আরো উচ্চ স্তরে যেতে পারে।
তার আগে ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আধুনিক ব্যবসায়িক অনুশীলন, একটি কোম্পানির কৌশল এবং দৈনন্দিন কার্যাবলীতে পরিবেশগত, সামাজিক এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স নীতি এবং অনুশীলনগুলো একীভূত করে৷ আজকের প্রোগ্রামটি জিআরআই স্ট্যান্ডার্ড ২০২১-এর উপর ভিত্তি করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের জন্য গাইডেন্স ডকুমেন্টের লঞ্চিং অনুষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে কমপ্লায়েন্ট, টেকসই এবং সু-শাসিত এক্সচেঞ্জ তৈরিতে ভবিষ্যতে এর প্রভাব ফেলবে। আমি জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডস ২০২১-এর উপর ভিত্তি করে টেকসই প্রতিবেদনের জন্য গাইডেন্স ডকুমেন্টের লঞ্চিং অনুষ্ঠান সফল করার জন্য উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানাই। ডিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ, সেমিনারের আয়োজন করে এবং জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডের মাধ্যমে টেকসই প্রতিবেদনের ব্র্যান্ডিং করার জন্য ডিএসই ক্রমাগত জিআরআইকে সহায়তা করছে। আমরা পুঁজিবাজারের আরও স্টেকহোল্ডারদের সাথে সামনের দিনগুলিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির জন্য জিআরআই স্ট্যান্ডার্ড ২০২১-এর উপর ভিত্তি করে একটি টেকসই প্রতিবেদন তৈরির চেষ্ঠা অব্যাহত রাখবে।
জিআরআই সাউথ এশিয়ার নেটওয়ার্কের পরিচালক ড. অদিতি হালদার ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশ। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক খাতেও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত। একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হয়ে উঠতে একটি দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বাজার কাঠামো অবদান রাখে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম মাধ্যম এবং প্রায় ৭০ বছর ধরে দেশের শিল্পায়ন, অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। অর্থনীতির অগ্রগতির সাথে, ডিএসই দেশীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি পরিপূণ পুঁজিবাজার গড়ে তুলেছে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে টেকসই প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী প্রচারণার সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ। বিভিন্ন বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ডিএসই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সহযোগিতার অংশ হিসেবে, ডিএসই গত ৬ বছর ধরে গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই)-এর সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বজায় রেখেছে।
ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাস-এর সেকেন্ড সেক্রেটারি ফ্রেডরিকা নরেন বলেন, সুশাসন ও স্থায়ীত্ব উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। নতুন এই সাসটেইনেবিলিটি স্টান্ডার্ড অনুশীলন করার ফলে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কম্পিটিটিভনেস বৃদ্ধি পাবে। জিআরআই এর মান অনুশীলনের জন্য সুইডেন অত্যন্ত আনন্দিত এবং বাংলাদেশের জনগণের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে, তালিকাভুক্ত বা অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে সাসটেইনেবিলিটির অনুশীলন করার জন্য, একটি টেকসই প্রতিবেদনের মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিআরআই, এই সেক্টরে অগ্রগামী হওয়ায়, তাদের মান বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাসটেইনেবিলিটির বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিতকরণ এবং সংজ্ঞায়িত করতে সহায়তা করবে। কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট করার উদ্দেশ্যে হলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সকল স্টেকহোল্ডারদের সকলের উন্নতির জন্য এই ধরনের একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে এবং এটি জিআরআই ইএসজি ডিসক্লোজারের সাহায্যে খুব অর্জনযোগ্য হতে পারে। জিআরআই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনীয় ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল, এবং গভর্নেন্স) ডিসক্লোজারের বিষয়ে তালিকাভুক্ত এবং বড় কোম্পানিগুলিকে গাইড করতে ‘ডিএসই’ এবং ‘জিআরআই’ ২০১৮ সাল থেকে একসাথে কাজ করছে। আমি খুবই আনন্দিত যে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট তৈরির জন্য “জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডস ২০২১ এর উপর ভিত্তি করে স্সাসটেনেবিলিটি রিপোর্টিং-এর জন্য গাইডেন্স ডকুমেন্ট’ চালু করার আজকের উদ্যোগ কোম্পানি এবং সমাজ উভয়কেই ইতিবাচক উপায়ে সাহায্য করবে।
পরে জিআরআইর বিশ্বব্যাপী আপডেট ও জিআরআই গাইডেন্স ডকুমেন্ট সম্পর্কে বর্ণনা করেন জিআরআই সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্কের ম্যানেজার রাহুল সিং, জিআরআই গাইডেন্স ডকুমেন্টের বিস্তারিত এবং বাংলাদেশে সাসটেনিবিলিটি রিপোর্টিং এর ট্রেন্ড সম্পর্কে আলোকপাত করেন আইওটিএ কনসাল্টিং বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এবং বাংলাদেশে সাসটেনেবিলিটি রিপোর্টিং এর সুবিধা সম্পর্কে বর্ণনা করেন সাসটেনেবিলিটি নেক্সাসের পরিচালক মুনতাসির নাহিদ।
সমাপনী বক্তব্যে ডিএসই’র প্রধান রেগুলেটর কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আমরা জিআরআই-এর গাউডলাইনসমূহ অনুসরণ বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ। আমরা এই বিষয়গুলো লিস্টিং রেগুলেশন্স-এ অন্তভূক্ত করতে চাই। ২০১৮ সাল থেকে ডিএসই জিআরআই এর সাথে সানটেইনেবল প্রতিবেদনের মান উন্নয়নে কাজ করছে। আমি আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে এই মান অনুসরণের জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই করা। আমরা জিআরআই-এর মানগুলো অনুসরণ করলে বাংলাদেশ এসজিডি গোল বাস্তবায়ণ অধিকতর সহজ হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসান বেড়েছে ৯ গুণ, লভ্যাংশ দেবে না জিএসপি ফাইন্যান্স
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৭৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ০৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল। তাতে কোম্পানিটির লোকসান ৯ গুণের বেশি বেড়েছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৮ টাকা ০৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এসকে ট্রিমসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি পৌনে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।
এমআই