জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে অগ্রাধিকার পাবে যেসব বিষয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ৮ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন। তার এই সফরে ঢাকা-বেইজিং উভয়পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ঘিরে উভয় পক্ষই ১৫টি চুক্তির প্রস্তুতিও নিয়েছে।
চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে উন্নয়ন ইস্যুকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
যেসব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এসব খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে অন্তত ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বেইজিং কী চায়:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বার্তা দিয়েছে বেইজিং। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পারিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকে আরও গভীর করতে চায় দেশটি। একই সঙ্গে দুই দেশের উন্নয়ন কৌশলগুলোকে আরও একত্রিত, বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার উচ্চ অগ্রগতি, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে গতি বাড়ানো, বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে চায় বেইজিং।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এই খাতে অন্তত ৭ চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে এই গ্যাস আনার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে একশ কোটি মার্কিন ডলার। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হতে পারে।
রিজার্ভ সঙ্কটে সহায়তা:
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রিজার্ভ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। রিজার্ভ সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে চীন। এদিকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক নগদের সঙ্গে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন যেন আরো সহজ হয়, সে লক্ষ্যে এই চুক্তি সই হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু:
রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে একযোগে কাজ করছে। তবে রাখাইনে অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা উঠতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও চীনা রাষ্ট্রদূত যা বলছেন:
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতুসহ অনেক আইকনিক স্থাপনায় চীন আমাদের সহায়তা করেছে। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় চীন ভূমিকা পালন করে আসছে। উন্নয়ন অভিযাত্রা যেন বেগবান হয়, সফরে এটাই প্রাধান্য পাবে।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর হবে আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর হবে গেম চেঞ্জার।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ জুলাই বেইজিং পৌঁছাবেন। ৯ জুলাই তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে। আগামী ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া চীন সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন। তারা সেখানে চীনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে গিয়েছিলেন। ৫ বছর পর আবারও চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। তবে দিবসটি যতটা না উৎসবমুখর তার চেয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশি সোচ্চার শিক্ষকরা। এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকের কন্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা ও গুণী শিক্ষকদের সম্মাননার আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদিদিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়, বিশ্বিবদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ। এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান।
মানুষ গড়ার কারিগর হলেও শিক্ষকরা নিম্ন বেতনে চাকরি করে যাচ্ছেন। প্রাথমিক থেকে উচ্চ স্তরের শিক্ষকরা পর্যন্ত নানা দাবি আদায়ে মাঠে রয়েছেন। এদের মধ্যে চার লাখ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চলে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাহী বি চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা রাত ৩টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে মাহী বি চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল ৮টায় মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে বাদ জোহর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের বাইতুল আতিক সেন্ট্রাল জামে মসজিদে হবে দ্বিতীয় জানাজা। রোববার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাজা হবে।
এরপর বাদ জোহর গ্রামের বাড়িতে (দয়হাটা, মজিদপুর, মুন্সীগঞ্জ) চতুর্থ জানাজা শেষে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। গত বুধবার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
৯৫ বছর বয়সী সাবেক রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তিনি আগেও একাধিকবার এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা যায়। নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সেসময় তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। জিয়াউর রহমান সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আসিয়ান সংলাপে অংশীদার হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান ড. ইউনূস
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন অর্ন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২৫ সালে আসিয়ানের আসন্ন সভাপতি পদে মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য মালয়েশিয়ার সক্রিয় ভূমিকার অপেক্ষায় রয়েছি।
দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর এটি হচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থনের স্বীকৃতি।
দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা উভয়েই দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো জোরদার করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব নজিরবিহীন গণআন্দোলন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীনতা ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়বিচারপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ মালয়েশিয়ার অবিচল সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করি।
অভিন্ন মূল্যবোধ, আস্থা ও জনগণের কল্যাণের স্বীকৃতির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, তারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন করার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা ইস্যুটি সমাধানের জন্য তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ইস্যুটি আসিয়ান ফোরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ যৌথ কমিশনের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, তারা কৃষি, জ্বালানি, যোগাযোগ, সুনীল অর্থনীতি, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ও সংকল্প ব্যক্ত করেছি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে আজ বিকেলে ঢাকায় আসেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টা তাকে স্বাগত জানান এবং সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ঢাকা ছেড়ে গেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।
এদিন দুপুর ২টায় ইসলামাবাদ হয়ে ঢাকায় আসেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। পরে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফের বৈঠক করেন তারা। বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস কনফারেন্স করেন দুই শীর্ষ নেতা। বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১১ বছর পর মালয়েশিয়ান কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করলেন। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে ঢাকা সফরে এলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। সফরকালে তার সঙ্গে ছিল মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরও জনশক্তি রপ্তানিতে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ থেকে যাতে আরও দক্ষ ও আধা দক্ষ জনশক্তি মালয়েশিয়ায় যেতে পারে সে ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গভবনে মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ সহযোগিতা চান বলে তার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা জানানো হয়েছে।
এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামীতে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, শ্রমবাজার এবং রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে মালয়েশিয়ায় সহযোগিতা চান।
মালয়েশিয়া আসিয়ানের সভাপতি হওয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আশিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে আগ্রহী। মালয়েশিয়া এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনশক্তি রপ্তানির গন্তব্য। আগামীতে যাতে আরও দক্ষ জনশক্তি মালয়েশিয়ায় যেতে পারে সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বাংলাদেশি জনশক্তি মালয়েশিয়ার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
এসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।