অর্থনীতি
রপ্তানি উন্নয়নে ইপিবির বড় ভূমিকা আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![রপ্তানি উন্নয়নে ইপিবির বড় ভূমিকা আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Ahsanul-Islam-2.jpg)
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নতি হচ্ছে। দেশের ৬৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি একটা সময় অবিশ্বাস্য ছিল। সরকারের লক্ষ্য পরের ৩ অর্থবছরে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। সে লক্ষ্য পূরণে পরিবর্তন ও সহযোগিতা লাগবে। রপ্তানির সংখ্যার তুলনায় কীভাবে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহার করা যায়, কত বেশি কর্মসংস্থান করা যায় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর টিসিবি ভবনের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালনা পর্ষদের ১৪৬তম সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, আগামীতে পণ্যের সেক্টর করে আলাদা করে মেলা করতে হবে। মেলায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে, এতে করে মেলার উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে পূজার সময়ে কলকাতায় দেশীয় শাড়ির মেলা করা হবে।
এ সময় পর্ষদের সদস্য হিসেবে হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী থাই বাণিজ্য মেলা
![ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী থাই বাণিজ্য মেলা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/thai-faire.jpg)
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী শুরু হচ্ছে টপ থাই ব্র্যান্ডস ২০২৪ বাণিজ্য মেলা। আগামী ১০ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ঢাকাস্থ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে থাইল্যান্ড সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রোমোশনে (ডিআইটিপি) উদ্যোগে। থাইল্যান্ড ট্রেড ফেয়ার উভয় দেশের জন্যই একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এই মেলার মাধ্যমে থাইল্যান্ড হতে তাদের ব্যবসা খুঁজে নিতে সমর্থ হন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর বলেন, এই মেলায় ৬৪টি থাই প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে থাই পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় খাদ্যপণ্য, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, বেডিং, স্পা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল, অন্তর্বাস, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্যসহ নানা ধরনের বিশ্বমানের থাই পণ্য প্রদর্শিত হবে।
তিনি আরও জানান, থাই সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে মেলায় থাকবে থাই নৃত্য এবং ব্যবসায়িক মিটিং। আরও থাকছে র্যাফেল ড্রতে ঢাকা ব্যাংকক ঢাকা বিমান টিকেট জেতার সুযোগ।
১০ জুলাই বেলা আড়াইটায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড হলরুমে মেলার উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, থাই ট্রেড সেন্টার এর মিনিস্টার কাউন্সিলর খেমাতাত আরচাওয়াথাম্রং ও সোনারগাঁও হোটেলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুনেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি, খাদ্যে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে
![জুনেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি, খাদ্যে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/price-inflation.jpg)
দেশে দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই পুরো সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে, মাঝেমধ্যে কেবল সামান্য একটু ওঠানামা করছে। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও।
রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএসের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে, গত মে মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। চলতি বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসের তুলনায় জুনে কমেছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। জুনে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। মে মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে মে মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ থাকলেও জুন মাসে সেটি কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া জুন মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ টাকা
![সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ টাকা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/onion-1.jpg)
পেঁয়াজের ঝাঁঝে বেশ বিপাকেই পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাত্র এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ টাকা। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামে যেখানে নাকানিচুবানি খাচ্ছে মানুষ, সেখানে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি জীবন বিপন্ন করে তুলছে।
রোববার (৭ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর নিউমার্কেট, আজিমপুর, পলাশী এবং চাঁনখারপুল এলাকার বিভিন্ন খুচরা দোকান ঘুরে পেঁয়াজের বাড়তি দামের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এলাকাভেদে এসব দোকানে সর্বনিম্ন ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজের দাম চাইতে দেখা গেছে।
সরকারি সংস্থার ঢাকা মহানগরীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা বাজার দরের প্রকাশিত তথ্যেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে নতুন দেশি পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে যার বিক্রয়মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ৯০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এই একই পেঁয়াজ ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায়। আর ১ বছর আগে এই সময়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা দরে। সেই হিসাব অনুযায়ী ১ বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি।
অপরদিকে টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা পেঁয়াজ এখন খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে এর বিক্রয়মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। আর ১ মাস আগে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকায়। আর ১ বছর আগে এই সময়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে।
পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাম্প্রতিক সময়ে খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যার ফলে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বাড়ার কারণ হতে পারে।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিবহন সমস্যা, সরবরাহ চেইনের অব্যবস্থা এবং পণ্য মজুতের অভাবকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, এখন চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। সেকারণেই দাম বেড়েছে। এবার আরও দাম বাড়বে। বন্যা ও পানির কারণে সার্বিকভাবে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে। এখনও উত্তরাঞ্চলে বন্যা বিরাজ করছে। যার কারণে পণ্য সরবরাহ কম। আর আড়তেই দাম বেশি। আমাদের তো কিছুই করার নেই। তবে সহসাই দাম কমবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
‘জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে বড় বাধা চোরাকারবারি’
![‘জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে বড় বাধা চোরাকারবারি’ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/a-1.jpg)
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে স্বর্ণের চোরাকারবারসহ জুয়েলারি শিল্পের জন্য যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে বা একে সামনে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে স্বর্ণের চোরাচালান বা চোরাকারবার। চোরাকারবারিরা স্বর্ণের চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে। চোরাকারবার বন্ধ হলে চাহিদা বাড়বে এবং শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে অচিরেই জুয়েলারি পণ্য রপ্তানি হবে৷
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা’র (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছে হলে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪’র সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি দীলিপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু, রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, গুলজার আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
অনুষ্ঠানে ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে আমি এই প্রদশর্নীতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আগামীতে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা আর বিদেশি অলংকার বিক্রি করবো না। দেশে ছোট-বড়-মাঝারি শিল্প গড়ে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি বাড়াবো। দ্রুতই বিশ্ববাজারে আমাদের দেশেই তৈরি অলংকার নিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, আমাদের এই জুয়েরারি শিল্প বাঁকে বাঁকে এগিয়েছে। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। এই জুয়েলারি শিল্পের দুটি সমস্যা যা আমাদের পেছনের দিকে টানছে। প্রথমত চোরাকারবারি, যা একটি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা এই প্রদশর্নী থেকে প্রতিজ্ঞা নিতে চাই দেশে আর কোনো চোরাকারবারির প্রশ্রয় দেবো না। বাজুস এর প্রতিবাদ করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো একটি বাজার ও শিল্পকে ধ্বংস করছে এই অবৈধ পথ। সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে, তা না হলে আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে এই শিল্প করছি সবকিছু পণ্ড হয়ে যাবে।
বাজুসের মুখপাত্র বলেন, আমাদের দ্বিতীয় বাধাটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান। কিন্তু প্রশাসনের দিক থেকে একটু কার্পণ্য লক্ষ্য করছি। আইনগত বিষয় নিয়ে আমদানি রপ্তানিতে ভ্যাট, ট্যাক্স ও উৎসে করের নামে নতুন করে যে আরেকটি কর আরোপিত হতে যাচ্ছে, এসব কিছুকে আমরা রুখে দিয়ে প্রশাসনকে বলতে চাই, স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে স্বর্ণ চোরাকারবারিসহ এই শিল্পের জন্য বাধাগ্রস্ত করে যে বিষয়গুলো রয়েছে- সবকিছু দূর করে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। জুয়েলারি শিল্প বিশ্ববাজারে সমাদৃত হবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলবো, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বাজুসের সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু বলেন, প্রথমবারের মতো এই প্রদশর্নী আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে আমরা আরও বড় পরিসরে করবো। এই প্রদশর্নীর মাধ্যমে আমরা অনেক মেশিনারির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। এই শিল্প বড় করতে সবচেয়ে বড় বাধা সোনা চোরাচালান বা চোরাকারবারি। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কখনো এর সঙ্গে জড়িত নন। চোরাকারবারি যারা তাদের পরিচয় তারা চোরাকারবারি। আর যারা ব্যবসায়ী, আমরা সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দেই, তাদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের যেন মিশিয়ে না দেওয়া হয়। এ খাতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বক্তারা বলেন, আমরা ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হতে চাই। আর যারা চোরাকারবারি তারা চোরাকারবারি হিসেবেই থাকবে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া প্রদশর্নীতে মেশিনারিজ নিয়ে এলে ভালো হতো। এতে করে এ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখেশুনে মেশিনারিজ কিনতে পারবেন। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাজুস ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে এ প্রদশর্নীর আয়োজন করে। প্রদশর্নীর প্রতিপাদ্য ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’।
প্রথম আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০ দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ভারতরেই ৮টি প্রতিষ্ঠানঅংশ নিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি হিসাব নিয়ে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
![রপ্তানি হিসাব নিয়ে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank1.jpg)
দুই অর্থবছরের ২০ মাসের রপ্তানি হিসাব থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ওপর দায় চাপিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারকে দেওয়া এক চিঠিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বড় এই ঘাটতির ফলে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান ওলট–পালট হয়ে পড়েছে। রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে পড়েছে। আর রপ্তানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ আসার লক্ষ্য কমে যাওয়ায় আর্থিক হিসাব ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে ফিরে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই চিঠি সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এক সভায় এনবিআরের প্রতিনিধি সরবরাহকৃত রপ্তানির ডেটাসেটে একাধিকবার রপ্তানির হিসাব থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি আয়ের তথ্য–উপাত্ত তফসিলি ব্যাংকগুলোর শাখা থেকে সংগ্রহ করে থাকে। ফলে সেই তথ্য–উপাত্তের সঙ্গে প্রকৃত রপ্তানির তেমন পার্থক্য থাকে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ এবং ইপিবি কর্তৃক প্রকাশিত রপ্তানিসংক্রান্ত তথ্যে পার্থক্য থাকার কারণগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে, একই রপ্তানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট দেওয়া হয়েছে। পণ্যের কাটিং, মেকিং এবং ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু তৈরির মাশুল পাওয়ার কথা, কিন্তু ইপিবি কাপড়সহ সব যন্ত্রাংশের হিসাব করেছে। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট দিয়েছে, অথচ নমুনা পণ্যের কোনো দাম হিসাবে আসার কথা নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রয়কে রপ্তানি হিসবে এবং এসব পণ্য আবার বিদেশে রপ্তানির সময় হিসাব করা হয়েছে। সাধারণত পণ্য রপ্তানির সময় রপ্তানির প্রাথমিক ঋণপত্র মূল্য থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে, যা ইপিবি সমন্বয় করে না। এ ছাড়া স্টকলট, ডিসকাউন্ট এবং কমিশনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি ইপিবি কর্তৃক সমন্বয় করা হয় না।
এই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক, ইপিবি, এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি ব্যয়, রপ্তানি আয়, অদৃশ্য ব্যয়, অদৃশ্য আয়, রেমিট্যান্সের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে সংগ্রহ করে লেনদেন ভারসাম্যের বিবরণী প্রস্তুত করে থাকে। সাম্প্রতিক কালে রপ্তানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ আসা কমে যাওয়ায় ট্রেড ক্রেডিট উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত রপ্তানি (শিপমেন্ট) ও প্রকৃত রপ্তানি আয়ের ব্যবধানের কারণে হয়ে থাকে।
চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক হিসাবে প্রকৃত ট্রেড ক্রেডিট বলতে রপ্তানি (শিপমেন্ট) ও রপ্তানি আয়ের পার্থক্য এবং আমদানি (শিপমেন্ট) ও আমদানি ব্যয়ের পার্থক্যের যোগফল বোঝানো হয়ে থাকে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের রপ্তানি (শিপমেন্ট) তথ্য–উপাত্ত এনবিআর প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির কাছে পাঠায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রপ্তানি (শিপমেন্ট) তথ্য/উপাত্ত ইপিবি প্রকাশ করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সংশোধিত ডেটাসেট ব্যবহার করার কারণে লেনদেন ভারসাম্যের বিবরণীতে ট্রেড ক্রেডিটসহ চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাব সংশোধিত হয়েছে। তবে এর জন্য সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ, চলতি হিসাবে থাকা উদ্ধৃত সংশোধিত হয়ে আর্থিক হিসাবে সমন্বয় হয়েছে।
এসএম