জাতীয়
২৪ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা মেয়র তাপসের
এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১২ জুন) জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, আমরা প্রতিবার বর্জ অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকি সেটা হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ। সুতরাং ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে এবং পরের দিন যে বর্জ্য অপসারিত হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে। মগবাদি পশুর হাটের বর্জ্য ঈদের আগের রাত থেকে অপসারণ শুরু হবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা জানি যে, রাতের পরে পশুর সংখ্যা কমে যায়, বিক্রি কমে যায়, হাটের পরিধিও কমে যায়, সেজন্য আমরা এই কাজটি আগের রাতে শুরু করব যাতে করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা না থাকে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় হাট রয়েছে।
দুই ধাপের বর্জ্য অপসারণের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, হাট এবং কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের জন্য আলাদা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছেন তারা। যাতে একটার সাথে আরেকটার কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। দুইটাই এক নাগাড়ে চলবে। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবারের কর্মপরিকল্পনা একটু ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, আলাদা কর্মকর্তা এবং আলাদা যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি। একসময় আমাদের যান-যন্ত্রপাতির কিছু দূর্বলতা ছিল, এবার ইনশাল্লাহ আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই; আমরা পূর্ণভাবেই সক্ষম।
মেয়র বলেন, আমাদের বহরে এবার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫টা নতুন যান-যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছি। ২৫টা ১০ টনের যান-যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে আমরা চালু করে ফেলেছি, ১০টা পে-লোডার লাগে, যেগুলো ময়লা অপসারণ করে, সেইগুলো সংযোজন হয়েছে। আরও প্রায় ১৫টি যান-যন্ত্রপাতি গাড়ি সংযোজন হচ্ছে। এক কথায় আমাদের যান-যন্ত্রাপাতির বহর অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমরা আশাবাদী, আমরা ঢাকাবাসীকে গতবার যে সুবিধা দিতে পেরেছি, তারচেয়ে আরও সুষ্ঠুভাবে আমাদের কার্য্ক্রম দিতে পারব।
ঈদের দিন বর্জ্য অপসারণের কাজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ইনশাআল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সেইভাবে আমাদের জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা ইনশাল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হব এবং ঢাকাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সবার জন্য উপহার দিতে পারব।
গতবছর কোরবানির ঈদ ঘিরে ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৪১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এর মধ্যে উত্তর সিটি এলাকায় ২২ হাজার ৩৮৭ টন এবং দক্ষিণে ১৮ হাজার ৮৫২ টন বর্জ্য সরানোর কথা জানিয়েছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। সর্বশেষ শুমারির তথ্য অনুয়ায়ী বর্তমানে সেখানে ১১টি বাঘ বেড়ে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫। এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে ২০২৩-২০২৪ সালে সুন্দরবনে পরিচালিত বাঘ জরিপে বাঘের সংখ্যা ১২৫ পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটার বনে বাঘের ঘনত্ব পাওয়া যায় ২ দশমিক ৬৪। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০১৫ সালের তুলনায় বাঘের সংখ্যা ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে আধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হয় এবং এ জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১০৬টি এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ১৭। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ৫৫। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাঘ বেড়ে দাঁড়ায় ৮টি এবং বাঘ বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
এর আগে, বাঘ জরিপ কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের বলেন, বনদস্যু ও জলদস্যু বিতরণের পরে প্রচুর বাঘের বাচ্চার ছবি পেয়েছি। আমরা এবার চাঁদপাই, শরণখোলা এবং খুলনা ও সাতক্ষীরাতে প্রচুর বাঘের বাচ্চার ছবি পেয়েছি।
জরিপ দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ডাকাত বিলুপ্ত হওয়ার পরে যে অর্জন সেটার প্রতিফলন আমরা আমাদের সবশেষ জরিপে দেখতে পেয়েছি। এই নাজুক পরিস্থিতিতে যদি আবার সুন্দর বনে ডাকাতের আস্তানা গড়ে ওঠে তাহলে যে আশাবাদ আমরা দেখছি তা আবার হারিয়ে যাবে। দেশের যেকোনো বাহিনী থেকে কিছু সদস্য নিয়ে বাঘের নিরাপত্তায় একটা বিশেষ বাহিনী করা যেতে পারে।’
সুন্দরবনে যে বাঘ বাস করে নাম নাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার। প্যান্থেরা টাইগ্রিস উপজাতির এই বাঘ সাধারণত বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যায়। বাঘের যতগুলো উপপ্রজাতি আছে তার মধ্যে বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যাই বেশি।
২০০৪ সালের বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ৪০০টির বেশি বাঘের সন্ধান মিললেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। তবে সবশেষ জরিপে আবারও বাঘের সংখ্যা বাড়ার আভাস মিলল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
একদিন বাড়লো দুর্গাপূজার ছুটি
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ছে। আগামী বৃহস্পতিবারও (১০ অক্টোবর) ছুটি পাওয়া যাবে। এতে টানা চারদিন সরকারি ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
মঙ্গলবারই (৮ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপন জারি করে বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, অনেকদিন ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দাবি ছিল দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ানোর। ওনারা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আনন্দ উদযাপন করেন। এবার দুর্গাপূজার দশমীর আগে শুক্র-শনিবার পড়েছে। তাই আমরা চিন্তা করেছি এবার একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেবো যেন ওনারা একটা বড় সময় পান পূজা উদযাপনের জন্য।
সরকার বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করে আজকের মধ্যে হয়তো একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এর মধ্যদিয়ে পূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হবে।
বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর, রোববার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। বৃহস্পতিবার ছুটি পেলে টানা চারদিন সরকারি ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লেবাননে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন। প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুত নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
লেবাননের স্থানীয় সময় সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে দূতাবাস এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, লেবাননে যুদ্ধের কারণে যেসব প্রবাসী কর্মস্থল ও আবাসস্থল ত্যাগ করেছেন তাদেরকে লেবানন প্রবাসী বিভিন্ন বাংলাদেশি ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে তুলনামূলক নিরাপদ এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া, কিছু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি লেবানিজ সরকার ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক বিভিন্ন সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র ও আবাসস্থলে অবস্থানকারী প্রবাসীদের কাছে খাদ্যসামগ্রীসহ অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র পৌঁছানো হয়েছে। এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দূতাবাস বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আশ্রয়কেন্দ্রে বিছানাপত্র, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এখনও কেউ আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে না পারলে অথবা অন্য যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের ফ্রন্ট ডেস্ক নম্বর- ৭১২১৭১৩৯, হট লাইন-৭০৬৩৫২৭৮ এবং হেল্প লাইন- ৮১৭৪৪২০৭ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে দূতাবাস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ শতাংশই বাইক আরোহী
সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গেছেন, তাদের ৪২ শতাংশই ছিলেন বাইক আরোহী।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, গত মাসের ৩০ দিনে দেশে ৩৯২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে; এতে ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৮১৩ জন।
এর মধ্যে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা মোট দুর্ঘটনায় ৪১.৮৩ শতাংশ। আর নিহতদের মধ্যে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৭৯ জনের, যা মোট মৃত্যুর হিসেবে ৪২ শতাংশ।
দেশের নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
নিহতদের মধ্যে নারী ৬১ এবং শিশু ৫৩ জন; এছাড়া ৯৭ জন পথচারী মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এ সময় ৫৪ জন যানবাহনের চালক ও সহকারীও নিহত হয়েছেন, এই হিসেব হল মোট মৃত্যুর ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, নিহতদের মধ্যে ২৫ জন বাসের যাত্রী, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২২ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২৪ জন, তিন চাকার যান, (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৬৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু) ৬ জন,এবং বাইসাইকেল প্যাডেল রিকশা আরোহী ছিলেন ১০ জন।
প্রায় চারশ সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ১৬২টিবা ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে।
এছাড়া ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৩৪টি শহরের সড়কে এবং ৫টি দুর্ঘটনা অন্যান্য জায়গায় হয়েছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১২ দশমিক ২৪, বরিশাল বিভাগে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবদের যে ২৫ নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এসব নির্দেশনা সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিব ও সিনিয়র সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ৪ সেপ্টেম্বর সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিনি সিনিয়র সচিব/সচিবদের উদ্দেশে এ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো চিঠিতে জানানো হয়েছে।
সচিবদের যে ২৫ নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ‘মার্চিং অর্ডার’ অনুসরণ করতে হবে।
২. সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে জরুরি-ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা এবং একই সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের মতামত নিতে হবে।
৪. বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৫. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৬. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৭. বাজেটের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৮. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
৯. বর্তমানে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
১০. নিজ কর্তব্যকর্মে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে হবে।
১১. সেবা-প্রার্থীদের কেউ যেন কোনরূপ ভোগান্তি, হয়রানি কিংবা কোনো কারণে দীর্ঘসূত্রিতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম নিতে হবে।
১৪. জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
১৫. কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১৬. সরকারকে জনবান্ধব সরকারে পরিণত করতে সমবেতভাবে কাজ করতে হবে।
১৭. মানবসম্পদ উন্নয়নে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যাচাই করে প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে।
১৮. বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে।
১৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
২০. গ্যাসের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
২১. খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহ সন্তোষজনক রাখতে হবে।
২২. আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানির বিকল্প উৎস বের করতে হবে।
২৩. ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়মিত তদারকি করতে হবে।
২৪ . শিল্প উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৫. আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া এসব নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে সচিবদের একান্ত সহযোগিতা ও উদ্যোগ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সেই বিষয়ে অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
এমআই